লাইফ স্টাইল পোস্ট -অল্প দামে দুপুরের খাবার || Written by @maksudakawsar||

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করবো যে যেখানে থাকেন না কেন বেশ ভালোই আছেন। মানুষের জীবন সব সময় এক রকমের যায় না। এই ভালো তো এই মন্দ। আর ভালো মন্দের জোয়ার ভাটায় জীবনটাই হয়ে পড়ে নিস্তেজ। তবুও এত কিছুর মাঝেও মানুষ প্রতিনিয়ত জীবন যদ্ধে লিপ্ত থাকে বেচেঁ থাকার জন্য। কারন একমাত্র মানুষই স্বপ্ন বিলাসী। তাই তো সবার মত আমিও হাজার ব্যস্ততা কে ছাপিয়ে বেচেঁ থাকতে চাই হাজার বছর।

আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। সত্যি বলতে ভালো মন্দ যাই লিখি না কেন, চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। জানিনা কতটুকু আমার লেখা গুলো আপনাদের কে ছুঁয়ে দিতে পারে। আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে।আজ চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে একটি লাইফ স্টাইল শেয়ার করতে।

image.png

image.png

ব্যস্ত জীবন। তার উপর আবার ছুটির দিনেরও শান্তি নেই। থাকবে কি করে? তিতাস গ্যাসের লাইনের এমন সমস্যা যা বলার নয়। সেই ভোর ৭.০০ টায় গ্যাস তার মামার বাড়ী বেড়াতে যায় আর আসে সেই দুপুর ৩.০০। এর মধ্যে আবার চলে এসেছে শীতকাল। এখনতো গ্যাসের আরও আকাল। একেবারে রাত ১০.০০ টার আগে চুলায় আর গ্যাস জুটে না। এই ভাবেই চলছে আমার দিনকাল। মানুষ ছুটির দিনে একটু আরাম করে আর আমার ভাগ্যে সেই আরামটুকুও নেই। কি আর করার। সেই কাক ডাকা ভোরে উঠে আমাকে আমার রান্না শেষ করতে হয়।

image.png

image.png
image.png

গত সপ্তাহ জুড়ে নানা রকমের কাজ করায় শরীরটা আমার বেশ ক্লান্ত। এমন কাক ডাকা ভোরে উঠে রান্না করার মত শক্তি আমার যেন দেহ থেকে উড়ে গেছে। তাই তো আপনাদের ভাইয়া আমাকে একদিন রান্না করার হাত হতে মুক্তি দিলেন। মানে আমাকে সে দুপুরে বাহিরে খাওয়াবে তাই কোন রকমের রান্না যেন না করি এমন অনুরোধই করলেন তিনি। তাই তার কথা মতই বাসার সব কাজ শেয করে ২.৩০ এর দিকে নেমে গেলাম দুপুরের খাবারের খোঁজে। রাস্তায় বের হয়েই মেজাজ গেল গরম হয়ে। চারদিকে কেমন যেন নিরবতা। মানুষ তো দূরের কথা কোন পশু পাখিও নেই রাস্তায়। বেশ কিছু সময় পার হওয়ার পর একজন রিক্সার ওয়ালা তার রিক্সা নিয়ে সমানের দিকে এলো। আমরা মামার রিক্সায় উঠার আগে মামার একটি ফটোগ্রাফি করার অনুরোধ করলাম। মামা ফটোগ্রাফি করতে দিলেও কেন যেন লজ্জা পেল। তারপর আমরা রওনা হলাম আমাদের গন্তব্যের পথে।

image.png

image.png

image.png

আমাদের পরিচিতি দোকানে গেলাম। এই দোকানের সবগুলো আইটেমের দাম বেশ কম। আমরা মুরগীর ঝাল ফ্রাই , মলা মাছ, পাবদা মাছ আরও যেন কি কি সেটা মনে করতে পারছি না। বেশ মজা করে আলাদা ভাবে সব গুলো আইটেমের স্বাদ উপলব্দি করলাম। আমার কাছে সেখান কারন সব গুলোই খাবার ভলো লাগে। । তো খাবারের সব গুলো আইটেম খেয়ে খাওয়া শেষ করে নিলাম। এবার হলো বিল দেওয়ার পালা। আমি তো বিল দেখে অবাক। অবাক হবো না । এত এত খাবারের দাম নাকি মাত্র ২৭০/- টাকা। কি অবাক করার মত। ২৭০ টাকা খাবারের বিল দিয়ে মনের সুখে বাড়ী চলে আসলাম। বাড়ী এসে গ্যাসের চুলার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, গ্যাস না হলেও সমস্যা নেই কম দামে খাবারের সন্ধ্যান পেয়ে গেছি। হি হি হি

image.png

image.png

শেষ কথা

কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি। আশা করি আমার পোস্ট টি পড়ে আপনাদের কাছে বেশ ভালোই লেগেছে।জানার অপেক্ষায় রইল।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

image.png

Twitter_Banner_24.webp

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Screenshot_5.png

Screenshot_1.png

বেশ কম দামেই খেয়েছেন আপু। কলকাতার বাইরে গেলে এই দামে এতো খাবার তো দূর একজনের পেট ভরবে কোন মতে হয়ত। কিন্তু রোজ এতো সময় গ্যাস না থাকলে তো ভীষন মুশকিল। কিভাবে ম্যানেজ করছেন?

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

এটা ঠিক বলেছেন আপু, মানুষের জীবন সব সময় এক রকম থাকে না। মানুষের জীবনে কখনো জোয়ার কখনো ভাটা চলে। এত ধরনের খাবারের দাম মাত্র ২৭০ টাকা। আমার কাছেও কম মনে হয়েছে। ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

গ্যাসের সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ঠিকমতো গ্যাস না পেলে তো রান্না করা মুশকিল। সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে আপনাকে। যাইহোক কমদামে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। তাছাড়া খাবারগুলো দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপু যারা শহরে বাসায় থাকে তারা অনেকে বলে ভোরবেলা থেকে বিকাল অথবা সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। তবে ভোরবেলা এত জলদি উঠে রান্না বান্না করা কষ্টকর। আপনারা দেখতেছি বাইরে ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন। ২৭০ টাকা দিয়ে ভালোমতো খাওয়া-দাওয়া করে আপনারাও খুশি। আর আপু মনে হয় মন থেকে একটু শান্তি ও ফেলেন। গ্যাস না থাকলে এইখানে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

সেদিন আমিও যদি যেতাম তাহলে আমি নিজেও মনে হয় এমন মজাদার খাবার খেতে পারতাম। বেশ ভালো করেছেন এমন দারুন খাবার খেয়েছেন। মাঝে মাঝে এমন মজাদার খাবার খেয়ে নিবেন।

ধন্যবাদ সুুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।