বায়োমেট্রি মেশিন নিয়ে বিড়ম্বনা।

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

আজ বুধবার, ২৮ ই , সেপ্টেম্বর,২০২২

আমার বাংলা ব্লগের সকল কে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আবার আপনাদের সামনে হাজির হলাম একটি নতুন পোস্ট নিয়ে। কি ভাবছেন? আজকে আমি কি পোস্ট করবো? বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার অফিসের বায়োমেট্রি মেশিন নিয়ে কথা বলব।

সরকাররি চাকুরীতে যোগদান করার পর হতে আমি চেষ্টা করেছি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো নিয়ম মাফিক পালন করতে। যা আজও অটল আছে। বর্তমানে রাস্তা ঘাটের জ্যাম এতটা অসহনীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যে ভোর পাঁচটায়ও বাসা হতে রওনা দিলে তবু দেখা যাবে রাস্তায় জ্যামে ভরা। তার মধ্যে বর্তমানে সরকারী সকল অফিস আদালত সকাল ৮.00 হতে বিকেল ৩.00 টা পর্যন্ত করা হয়। এর মধ্যে এ কয়দিন কোন ভাবে চলে যাচ্ছিল দিন। এক আধ-ঘন্টা দেড়ি হলেও কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু না রে ভাই মরার উপর খাঁরার ঘাঁ। একে তো রাস্তায় জ্যাম, তার উপর অফিসের বস নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে, আর তা হলো অফিসে বায়োমেট্রি মেশিন স্থাপন করা।

image.png

অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার-মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

গতকাল অফিসের শেষের দিকে বায়োমেট্রি মেশিন স্থাপন করা হয়। যেখানে সকাল ৮.০০ টা ও বিকেল ৩.০০ টায় আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে হবে। এদিকে এই বিষয়টা ছিল আমার জন্য অত্যান্ত চিন্তার বিষয়। এত ভোরে ঘুম হতে উঠে পরিবার সামলিয়ে আবার অফিসে সকাল ৮.00 টায় পৌছানো। কি যে এক টেনশনে পড়ে গেলাম। কি করবো কিছুই ভেবে উঠতে পারছিলাম না। তার মধ্যে সরকারি অফিসের তেলবাজদের বিড়ম্বনা তো আছেই। একটু দেরি হলে রিপোর্ট চলে যায় ডিজির দপ্তরে।

এজন্য গতকাল রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। যাতে সকাল সকাল অফিসে পৌছতে পারি। তারপর ভোর ৫.৩০ মিনেটে ঘুম থেকে উঠে নামায আদায় করে তাড়াতাড়ি করে সংসারের কাজ কর্ম সব দ্রুত গতিতে করে নিলাম। কিন্তু সংসারের কাজ কর্ম করে আমি যখন ফ্রেশ হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হই তখন বাজে সকাল ৭.৩০ মিনিট। আর আধ ঘন্টা হাতে আছে তাই খুব দ্রুত একটা রিকশা নিয়ে মৌচাকে চলে আসি। সেখান হতে উঠে পড়ি গাজীপুর পরিবহনে, মহাখালীর উদ্দেশ্যে। গাজীপুর পরিবহন যখন মগবাজার মোড়ে তখন বাজে সকাল ৭.৪৫ মিনিট। কিন্তু মগবাজার মোড়ে বসে থাকতে হলো আরো ১০.০০ মিনিট। এখানে একবার সিগন্যাল দিলে তা আর ১০-২০ মিনিটের আগে ছাড়ে না।

image.png

অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার-মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

এদিকে আমার তো টেনশন কি করে সকাল ৮.০০ অফিসে পৌছাবো। সিগন্যাল ছাড়লো গাজীপুর পরিবহনও চলতে শুরু করলো। গাড়ীটি যখন সাত রাস্তায় আসলো সেখানেও পাঁচ মিনিটের একটা ছোট সিগন্যাল পড়লো। আবার টেনশনে পড়ে গেলাম। কি করে সকাল ৮.০০ টার মধ্যে অফিসে পৌছাবো। যাক এবার সিগন্যাল ছাড়লো আর গাজীপুর পরিবহনও একটু তাড়াতাড়ি চলছে। গাড়ীটি খুব দ্রুত পৌঁছে গেল নাবিস্কো পাড় হয়ে টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু ততক্ষনে ঘড়ির কাটায় সকাল ৮.০০ বেজে গেল। আর আমারও টেনশন বেড়ে গেল।

image.png

অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার-মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

যাক এরই মধ্যে গাড়ীটি পৌঁছে গেল মহাখালী কাচাঁ বাজারে। তখন সকাল ৮.৫ মিনিট। আমি আস্তে আস্তে গাড়ী থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে অফিসে পৌঁছে গেলাম আজকে অনেক সকাল সকাল অফিসে পৌছে গেছি। কিন্তু ভিতরে অনেকটা টেনশন কাজ করছে আমি যখন ।জীবনে প্রথম আমি বায়োমেট্রি দিচ্ছি। কিন্তু সঠিক সময়ে তো দিতে পারলাম না। এইসব চিন্তা ভাবনা করতে করতে কখন যে অফিসের গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলাম বুঝতে পারলাম না।আমি সকাল৮.১০ মিনিটে আমার রুমে পৌছে যাই। কিন্তু এখানে অবাক করা বিষয় হলো আমি এত টেনশন নিয়ে অফিসে পৌঁছে দেখি অফিসে একমাত্র পিয়ন ছাড়া তখনও কেউ আসেনি। আর যে পিয়নটার কথা বললাম যে আবার অফিসের ভিতরেই থাকে।

image.png

অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার-মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

তাহলে আমি এত টেনশন কেন করলাম। আর কি লাভ বা হলো এ বায়োমেট্রি মেশিন এর ।

image.png

অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার-মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

কেমন লাগলো বন্ধুরা আমার আজকের পোস্টটি, জানাতে ভুলবেন না যেন।

ভাল থাকবেন সবাই , সুস্থ থাকবেন সবাই।

4bEjbgCbFMvA8T33kKpp3RsBvZue1Hns5Cwuz57pgmmNsNm69BvSk1AJmpxNTS4pL3vHiENLbAz3uRYvkzCHo62J16v8SBo7zpHgViW2yotwk1h5RE41hP2qzb7ELuJ3M646bDwEPdWALxxSwivrhMnjnGhcCBFuAKUHSjQuMNQZSJx9eV.gif

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovTUshBEnxRTgb9n2LUqHX7h1H2p2D18YQFUDgxbpg8bp7AxwH9vK7k1SRqaoEJbCQrboh4ga6xfDvigcW6zfkH8S.png

আমি মাকসুদা কাউছার। আমি একজন বাঙ্গালী। ভালবাসি বাংলায় কথা বলতে এবং মনের ভাব প্রকাশ করতে। বাংলা আমার মায়ের ভাষা। আমি পেশায় একজন চাকুরীজীবি। তবে চাকুরীর পাশাপাশি আমি বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ও ইউটিউব চ্যানেলে কনটেন্ট লিখে থাকি। আমি ভালবাসি আমার মাকে, ভালবাসি আমার বাংলাব্লগ কে।

pBMyo3B2Sao2EbuHAFTX1CNWMbam25xJGPs4sKmLS6XL7jPcLJ4PhfmbsQbXEmSBkiJH1y8vcCZLEDiVjH9fUC37Hpjmz6Czw4oJd4hidqWpdsEDnaUW3Rt3p3eTZGQkoiwZDyH4hdDt99wPqRBy3pVZE1qtEmMBB3MC4V4MJCpzUCii.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কোন লাভ নেই।যারা নিয়মানুবর্তী তারাই শুধু আপনার মত টেনশন করবে।বাকিরা তাদের নিজস্ব গতিতে চলবে। আমি বিষয় টা অনেক খেয়াল করেছি।আমি নির্দিষ্ট সময়ের ৫মিনিট আগে পৌছানোর চেষ্টা করি আর মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করায়।

দায়িত্ব এমন একটা জিনিস। সরকারি কাজ করতে হলে সবসময় রোলস এন্ড রেগুলেশন মেনেই করতে হয়। তবে আপু আপনি মহাখালীর দিকে বাসা নিলেও পারেন। খুব সহজেই অফিসে চলে যেতে পারবেন।

আসলে ব্যাপারটা কি বলেন তো এখানে আপনার কোন দোষ নেই। জেনারেল রাইটিং পড়ার লোক খুবই কম এখানে। এজন্য আপনার কমেন্টের সংখ্যা কম আজ। কারণ এই ধরনের পোস্ট এ মন্তব্য করতে গেলে পোস্ট পড়ে তারপর মন্তব্য করতে হবে। না হলে মন্তব্য করা যাবে না।

যেখানে সকাল ৮.০০ টা ও বিকেল ৩.০০ টায় আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে হবে।

বোঝাই যাচ্ছে আপনি বেশ যাতা কলে পড়ে গেছেন এই সিস্টেম চালু করার পর থেকে। কিন্তু একটা বিষয়ে একটু খটকা লাগলো, সেটা হলো অফিসে পিয়নের পর আপনি অফিসে গিয়ে পৌঁছেছেন, তাও দেরিতে। কিন্তু তখনও গিয়ে দেখছেন যে আপনার অফিসের আর কোন লোকজন আসেনি। তার মানে তারা বিষয়টাকে অত গুরুত্ব দেয়নি। যতটা আপনি দিয়েছেন।