ট্রাভেল পোস্ট- "কাশফুলের জন্য পূর্বাঞ্চলে কিছুটা সময়- ২য় পর্ব " II written by @maksudakawsarII

কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।

মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে কিন্তু মন্দ হয় না । কারন কোথাও ঘুরতে গেলে মনের সাথে সাথে দেহেও ফিরে আমে প্রাণ চঞ্চলতা আর সতেজতা। তাই তো মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে চেষ্টা করি। আর এই কারনেই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি একটু ঘুরে বেড়াতে। আর এই কারনেই কিছুদিন আগে চলে গিয়েছিলাম পূবাঞ্চলে উদ্দেশ্য ছিল যে কাশফুলের বাগান দেখবো। কারন তখন চারদিকে কাশফুলের সমারোহ। সবাই শুধু ছুটছে কাশফুলের সুবাস নিতে। তাই একটু বিকেল করেই চলে গিয়েছিলাম কাশফুলের বাগান দেখতে পূর্বাঞ্চলে।যার প্রথম পর্ব ইতিমধ্যে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আজ সেই কাশফুলের বাগানে ভ্রমন করার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা যারা আমার এই ভ্রমন পোস্টের প্রথম পর্ব পড়েননি তাদের জন্য ভ্রমন পোস্টের প্রথম পর্বের লিংংক নিচে দেওয়া হলো। আপনারা চাইলে একবার পড়ে আসতে পারেন।

প্রথম পর্বের লিংক

পিচঢালা বিশাল পথ পারি দিয়ে আমরা যখন কাঙ্খিত কাশফুলের বাগানে ঢুকে গেলাম তখন প্রায় পড়ন্ত বিকেল। আর বিকেলের এমন এক সময় যে গোটা পৃথিবী এমন সুন্দর হয়ে উঠবে সেটা আমার কিন্তু জানা ছিল না। কারন আমি তো আর কখনও এমন কাশফুলের বাগান দেখিনি।আর সেদিন যখন কাশফুলের বাগান সামনা সামনি দেখলাম তখন তো আমার খুশির সীমা ছিল না। ছিল না আমার আনন্দের শেষ। এত কাছ থেকে এমন দারুন কাশফুল দেখার লোভ কিন্তু আমার দীর্ঘ দিনের ছিল।

কাশফুলের বাগানে প্রবেশ করতেই চোখে পড়লো বেশ কিছু মানুষ নিজেদের আনন্দ আর খুশি নিযে কাশফুলের বাগানে ঘুরে বেড়াছে। কেউ সেলফি তুলছে কাশফুল হাতে নিয়ে, কেউ আবার সেলফি তুলছে সূর্যের সাথে। সত্যি বলতে সাদা মেঘের ভেলার নেচে সাদা সাদা কাশফুলের বাগান যেন সেদিন সবার মাঝে আনন্দর আর উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিয়েছিল বেশ অনায়াসে।

সবাই যখন ফটোগ্রাফি নিয়ে ব্যস্ত তখন আমারও কেন জানি বেশ কাশফুলের সাথে কিছু সেলফি তুলতে মনে চাইলো। আর মনে চাইলো বলেই আমি নিজেও কাশফুলের সাথে আর সূর্যের সাথে ফটোগ্রাফি নিজের কিছু সেলফি করে নিলাম। কিন্তু আমার কি আর জোড় আছে ফটোগ্রাফি করার। সাহেব তো শুরু করলো চলো সামনে যাই, চলো সামনে যাই। রাত হয়ে যাচ্ছে। সামনে অনেক কিছু দেখার আছে। কিন্তু আমি কি তার কথা শুনি। আমি কাশফুল আর সূর্যের খেলা দেখার জন্য বেশ বিভোর হয়ে রইলমা। আর চুরি করে আপনাদের ভাইয়ার কিছু ফটোগ্রাফিও করলাম।

এক সময় দেখলাম যে দিন ফুরিয়ে আসছে। তাই ভাবলাম কাশফুলের সাথে খেলাধুলা আর নয়। কারন এদিকে বেশী সময় দিয়ে দিলে তো আমার প্রিয় নীলা মার্কেট আর দেখা হবে না। তাই গুটি গুটি পায়ে বের হয়ে গেলাম কাশফুলের বাগান থেকে। আর যেতে লাগলাম নীলা মার্কেটের দিকে। কিন্তু নীলা মার্কেটে যেয়ে আমরা কি দেখলাম আর কি করলাম সে বিষয়টা জানার জন্য এই ভ্রমন পোস্টের আগামী পর্বের জন্য আপনাদের কে অপেক্ষা করতে হবে।

জানিনা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্টটি। এই ভ্রমন পোস্টের আরও পর্ব জানতে চাইলে আপনাদের কে অবশ্যই আমার আগামী পোস্টের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সে পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকেন।আল্লাহ হাফেজ।

লোকেশন