ফুড রিভিউ- কিছু হোম মেইড মুখোরোচক খাবারের রিভিউ| | written by@maksudakar ||

in hive-129948 •  11 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? মহান আল্লাহুর কাছে দোয়া করি, যে যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন এবং নিরাপদে থাকেন। এখন তো আমাদের ভালো থাকাটাই বেশ কষ্টের হয়ে গেছে। শত চেষ্টা করেও আমরা ভালো থাকতে পারছি না। চারদিকের যে পরিস্থিতি তাতে এখন ভালো থাকাটা আর আমাদের উপর নির্ভর করে না। তবুও সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েই আমাদের ভালো থাকার চেষ্টা করে যেতে হবে। তৈরি করে নিতে হবে নিজেদের কে নিজেদের মত যুগের উপযোগী করে। আর তাই তখনই আমরা ভালো থাকতে পারবো।

প্রিয় বন্ধুরা আমি সব সময়ই চেষ্টা করে যাচিছ যে আপনাদের কে কিছুটা ভিন্ন রকমের কিছু উপহার দিতে। একজন চাকরিজীবি হয়েও আপনাদের সাথে কাজ করে যেতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আর তাই তো সব সময়ই শুধু ভাবনায় থাকি নতুন কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। আর তাই তো আজ আবার নতুন রূপে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের মুখের স্বাদ টা একটু বাড়িয়ে দিতে। তবে হ্যাঁ আমি খেয়ে দেয়ে আমার জিহবার স্বাদ মিটিয়েছি। আর আপনারা চাইলে আমার ব্লগ দেখে দেখে আপনাদের স্বাদ বাড়িয়ে নিতে পারেন।

image.png

image.png

image.png

কিছু হোম মেইড মুখোরোচক খাবারের রিভিউ

খাবারের কিছু তথ্য

স্থানশাহজাহানপুর, ঢাকা
খাবারের ম্যানুহোম মেইড
ধরনভ্যারাইটিজ
ভাষাবাংলা
দেশবাংলাদেশ

খাবারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

image.png

আমার বড় ভাসুরের ওয়াইফ। বেশ আদর করে আমায়। একই এলাকায় বাসা হওয়ায় প্রায় সময় অসময়ে চলে যাই ভাবীর বাসায়। আর ভাবী এমন একজন মানুষ যার বিষয়ে একটি পোস্টে লিখে শেষ করা যাবে না। তবে আজ আমি চেষ্টা করছি ভাবীর কিছু রান্না করা আইটেমের রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। প্রথমেই বলতে হয় স্যুপ এর কথা। ভাবীর হাতের চিকেন দিয়ে তৈরি করা এই স্যুপ এর ফ্লেবারের কথা এক বাক্যে বলে শেষ করা যাবে না। একবার খেলে মুখে লেগে থাকে বহু বছর।

image.png

image.png

মাঝে মাঝে গেলে ভাবী এই ভেজিটেবিল ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন ফ্রাই এর রেসিপি করে। বেশ সুস্বাদু এই রেসিপি গুলোর স্বাদ কিন্তু যে কোন চাইনিজ থেকে বেশ ভালো। বিভিন্ন সবজি, ডিম আর প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে ভাবীর হাতের তৈরি এমন একটি রেসিপি কিন্তু দু প্লেট খেয়ে নেওয়া যায় বেশ অনায়াসে। আর রেইল চিকেন ফ্রাই। কি করে যে নরম আর স্বাদে ভরা এমন রেসিপি তৈরি করে ভাবী। তাই মাঝে মাঝে ভাবী কে অনেক গুনবতীই মনে হয়।

image.png

ছেলেবেলায় মায়ের হাতে অনেক খেতাম বোয়া ভাত। অবশ্য আমার শ্বশুড় বাড়ীতে এই খাবার টিকে উন্নি বলে জানে। আর ভাবীর হাতের এই বোয়া ভাতের কিন্তু জুড়ি মেলা ভার। চাল, ডাল, আলু দিয়ে তৈরি করা এই রেসিপিটি কিন্তু নানা রকমের ভর্তা দিয়ে খেতে ‍খারাপ লাগে না। আর মাঝে মাঝে তার সাথে যদি স্বাদে ভরা ডিম হয় তাহলে তো স্বাদ যেন আরও বেড়ে যায়। আর ভাবীর হাতের এমন সুন্দর রান্না খাবো কিন্তু আপনাদের সাথে রিভিউ শেয়ার করবো না সেটা কি মেনে নেওয়া যায়।

image.png

ডিম কিন্তু আমার দারুন প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু ভাবীর মত করে এমন সুন্দর করে ডিম রান্না করতে আমি কখনওই পারি নাই। কত যে চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। তাই তো আমি গেলে ভাবী মাঝে মাঝে এমন করে ডিম রান্না করে। যেটা পেয়ে আমি অনায়াসে বেশ ভাত খেতে পারি।

image.png

সব খাবারের শ্রেষ্ঠ খাবার হলো শুটকী। ভাবীর বাসায় থাকে রূপালী। সেই রূপালী যে এমন সুন্দর কর শুটকী রান্না করতে পারে সেটা না খেলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। আর আমি তো রূপালীর এমন শুটকী ভূনার পাগল। তাই মাঝে মাঝে যখন রূপালী শুধু আমার জন্য এমন স্বাদে ভরা শুটকী রান্না করে তখন আমি কিন্তু শুধু খাই না। আসার সময় বাটি ভরে নিয়ে আসি। আর সপ্তাহ জুড়ে খাই। হি হি হি।

image.png

সবশেষে যে খাবারটির রিভিউ না করলেই নয়। সেটা হলো চা। আমি নাকি চা খোর। আচ্ছা বলেন তো দুধ চা যদি মজা করে তৈরি করা হয় তাহলে কি আর সেই দুধ চা না খেয়ে থাকা যায়। আমি কিন্তু ভাবীর বাসায় গেলে রূপালীর হাতের স্বাদের ভরা এমন দারুন চা না খেয়ে আসি না। আপনারা চাইলেও আমার সাথে একদিন যেয়ে খেয়ে দেখতে পারেন।

image.png

❤️ব্যক্তিগত মতামত❤️

যদিও ঘরে রান্না যে কোন রান্নাই খেতে বেশ স্বাদের লাগে। কিন্তু ভাবীর হাতের রান্নার কথা এক কথায় বলে শেষ করা বেশ কষ্টকর। এত এত খাবার যদিও আমি একদিনে নয় বহুদিনে খেয়েছি তথাপি খাবারের স্বাদ যেন বহুদিন মুখে লেগে থাকে। আসলে এত এত খাবারের মধ্যে কোনটার কথা বলবো সেটাই মুশকিল। কারন প্রতিটি রেসিপিই ছিল ইউনিক এবং স্বাদে ভরা।

image.png

❤️ব্যক্তিগত রেটিং❤️

১০/১০

image.png

শেষ কথা

মানুষের হাতের রান্নায় যে এত স্বাদ লুকিয়ে থাকে সেটা আমাদের প্রিয় ভাবীর হাতের রান্না না খেলে কেউই বুঝতে পারবে না। তাই তো ভাবীকে বলেছিলাম যে একবার রাঁধুনী প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু না ভাবী করবে না। থাক না করলেই ভালো, আমি মাঝে মাঝে যেয়ে খেয়ে আসলেই হবে।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

image.png

Screenshot_1.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

বাহ্ কি চমৎকার ও মজাদার খাবারগুলো শুধু কিছু ছবি দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু খেতে পারছিনা এটা কি হলো। তবে আপু বলতে হয় আসলেই আপনার ভাবীর হাতের রান্না অনেক মজা।যাই হোক আপু আপনার ভাবীকে বলবেন এবার আমাদের কিছু মজার রান্না দাওয়াত করে খাওয়াতে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ও ভালো কিছু রান্নার রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আচ্ছা বলবো নি আপু। বেশ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ইশ্ আপু প্রত্যেকটা খাবারই তো লোভনীয়। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। এটা কিন্তু মোটেই ভালো না এত সুন্দর সুন্দর লোভনীয় খাবার দেখিয়ে লোভ লাগানো। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর সুন্দর কিছু খাবারে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

দারুন সব খাবারের রিভিউ করলেন আপু।আপনার ভাবী কিন্তু সত্যি ই খুব গুনবতী।সবগুলো রেসিপি খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল তা ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি। রুপালি ও দেখছি কম যায় না।গুনবতী মানুষের পাশে থাকলে যে কেউ গুনবতী হয়ে উঠে।ধন্যবাদ আপু মজার মজার খাবারের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

বাহ্ দারুন চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন তো আপু। ধন্যবাদ আপু আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।