বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আমি কিন্তু ভালো মন্দ মিলিয়েই আছি। কেন জানি মনে হয় জীবনটা যদি মিক্সাচার না হয় তাহলে জীবনে শান্তি পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় না প্রশান্তি। কারন জীবনের জন্য কেন জানি টক ঝাল আর মিষ্টি সব কিছুরই প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়। আর আমার কাছে কিন্তু এমন মিক্সার থাকতেই বেশ ভালো লাগে।
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। নিজেকে নতুন রূপে দেখার মাঝেও কিন্তু স্বস্তি লুকিয়ে আছে। আর তাতে করে নিজের জ্ঞানের ভান্ডারও কিছুটা বেড়ে যায়। তাই তো নতুন নতুন কিছু শিখে আমাদের কে জ্ঞানের চর্চা করা উচিত।
জীবনটা বড়ই বৈচিত্রময়। কারন জীবন যে কখন কিসে সুখী হয় সেটা কিন্তু আমরা কেউ বলতে পারি না। তবে আমার মতে জীবনে দরকার কিছুটা আনন্দ আর শান্তি। তবেই মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া গতি ফিরে পাবে আমাদের জীবন। আর জীবনে নেমে আসবে স্বস্তি। আর আমরাও খুঁজে পাবো আমাদের নিজেদের চলার পথে কিছুটা আনন্দ বা উদ্দীপনা। তাই তো আমাদের শত ব্যস্ততার মাঝেও মাঝে মাঝে একটু ভ্রমণে বের হওয়া প্রয়োজন।
এই তো গত শুক্রবারে হঠাৎ চলে যেতে হলো বাড়ীতে। মানে শ্বাশুড়ীকে দেখতে। কারন কিছুদিন যাবৎ শ্বাশুড়ী বেশ অসুস্থ। যাই যাই করে আর যাওয়া হচ্ছিলো না। আর এর মধ্যে আমি অবশ্য অনেক বার না যাওয়ার বায়নাও ধরে ছিলাম। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আমাকে সেই ক্লান্ত দেহ নিয়েই যেতে হলো শ্বশুড়ীকে দেখতে। তাই মন মেজাজ দুটোই বেশ খারাপ ছিল। সেই খারাপটা তো আর কাউকে দেখানো যায় না। তাই মনে মনে নিজেই কষ্ট পুষে রাখলাম। শ্বাশুড়ীকে দেখে বাড়ীর সবার সাথে দেখা করে বসে আছি। এমন সময় একটি রোগী দেখতে যাওয়ার কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে গেল। বাহিরে এসে যখন দেখলাম রিক্সা ভাড়া করা হয়েছে মুড়াপাড়ার জন্য তখন বুঝলাম যে আমার রাগ কমানোর চেষ্টা। তাই যেতে চাইলাম না। কিন্তু ফিরেও আসতে পারলাম না। শ্বশুড়বাড়ী বলে কথা। তাই যেতেই হলো।
বেশ সুন্দর করে ঘাটলা বাধাঁনো পুকুরের উপর দিয়ে সূর্যাস্থ যাওয়ার দৃশ্য দেখতে অনেক মানুষের ভিড় জমে বিকেল হলেই। আসে পাশের নয়। বেশ দূর দূরান্ত হতেও অনেক মানুষ আসে এই মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ীর দর্শনে। সবার যেন কেমন একটি আগ্রহ এই জমিদার বাড়ী দেখার। সেই সাথে আরও বেশী আগ্রহ বিশাল খোলামেলা জায়গাটায় ঘুরে বেড়ানোর। আর পাশে তো রয়েছে বিশাল শীতলক্ষা নদী। যাই হোক আমরা বেশ সময় সেখানে কাটালাম। আর প্রকৃতি ও জমিদার বাড়ীর দৃশ্য দেখে মন জুড়ানোর চেষ্টা করলাম। অবশেষে যখন সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই ঠিক তখনই যেন নীড়ের পাখি নীড়ে ফিরে যেতে মনে চাইলো।
শেষ কথা
শেষ কথা
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা ভ্রমণ পোস্ট। আশা করবো আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার দেখাশোনা করে আপনি মুড়াপাড়া জমিদার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন, জেনে বেশ ভালো লাগলো আমার। মুড়াপাড়া জমিদার বাড়িটি দেখতে বেশ সুন্দর মনে হচ্ছে। আসলে এখন পর্যন্ত এই জায়গার মধ্যে কোন দিন ঘুরতে যাওয়া হয়নি।তবে, আপনার পোস্ট টি পড়ে এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা জাগলো।সময় করে একদিন ঘুরে আসবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এর আগে আমিও অনেক গিয়েছি এই জায়গায়। আমার কাছে এখানের প্রকৃতি আর দৃশ্যগুলো কিন্তু দারুন মনে হযেছে। কিন্তু ভাবছি আপু আপনি কবে গেলেন? আমাকে তো নিলেন না। রাগ করলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit