আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ দুপুর প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। বৃষ্টির পর রোদ আর রোদের পর বৃষ্টি এই লুকোচুরিতেই যেন যাচ্ছে দিন কেটে। বেশ ভালো লাগে রোদ আর বৃষ্টি মান অভিমান দেখতে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি দেখে মন ভরে যায়। আবার মাঝে মাঝে রোদ দেখেও মনের মাঝে আলো সঞ্চারিত হয়। কারন রোদ আর বৃষ্টির এই লুকোচুরি খেলার মত মানুষের জীবনও। এই সুখ তো এই দুঃখ। এই সুস্থ তো এই অসুস্থ। কয়েকদিন যাবৎ আমার সাথেও তাই হচেছ। তবুও এর মাঝেও প্রতিদিন প্রতিক্ষন আপনাদের সাথে থাকার চেষ্টা করি। তাই আজও সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। আজ নতুন ভাবে নতুন করে একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আশা করি টাইটেল দেখে এতক্ষনে আপনারা বুঝে গেছেন যে আজ আমি কি পোস্ট করতে যাচিছ। তাই না?
চলছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। আর বিশ্বকাপ ক্রিকেট কে ঘিরে বাংলার ঘরে ঘরে আজ চলছে উম্মাদনা। আর উম্মাদনা চলবেই না বা কেন, বাংলার বাঘের বাচ্চা গুলো যে আজ বিশ্ববাসী কে অবাক করার জন্য সামিল হয়েছেন ক্রিকেট খেলার দলে। হ্যাঁ প্রতিবারের মত করে এবারও বাংলার দামাল ছেলেরা গিয়েছে বিশ্বকাপ খেলতে। আর এবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটির নেতৃত্ব দিচেছন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার নেতৃত্বেই বাংলার বাঘের বাচ্চারা জয় ছিনিয়ে আনবে সমগ্র বাঙালির এটাই আশা। এই তো গত দিন হয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। আর নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলার দামাল ছেলেরা আফগান ক্রিকেটারদের উড়িয়ে দিয়ে খুব সহজেই ছিনিয়ে আনলো নিজেদের প্রথম জয়। আর আজ আমি সাকিব বাহিনীর সেই জয় লাভের গল্পটিই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
আফগান জুজু নয়। রশিদ বাহিনী কে সাকিব বাহিনী শুনালো টাইগারের হুক্কার সেনাপতি সাকিব বাহিনীর পাগলাটে উদযাপন চোখে লাগার মত। মিরাজ তাসকিনরা করলেন আফগান ব্যাটারদের ষ্ট্যাম্প নিয়ে ছেলে খেলা। মিরাজও বুঝিয়ে দিলেন কেন তাকে বলা হয় টাইগার দলের ভবিষৎ সাকিব। ধর্মশালায় প্রথমেই টস জিতে সেনাপতি সকিব আল হাসান পিচ দেখে ফিল্ডিং নিতে একদমই কোন ভুল করেন নি। কয়েক জন বোলার ইউজ করেও যখন বাংলাদেশের ঝুড়িতে উইকেট তুলতে ব্যর্থ হলেন বোলাররা, তখন সেনাপতি সাকিব আল হাসান নিজের হাতেই তুলে নেন সেই দায়িত্ব।সাকিবের স্লো বলে খুব সহজেই ক্যাচ তুলে দেন আফগান ওপেনার ইব্রাহী জাদরান। আর সেই ক্যাচটি তুলে নিতে কোন ভুল করেন নি ফিল্ডা তানজিন তামিম। আর সাকিবের পকেটে যোগ হয়ে যায় একটি মহামূল্যবান উইকেট।
এরপর আফগান দলের দ্বিতীয় উইকেট অর্থাৎ রহমত শাহ্ এর উইকেটটিও তুলে নেন বাংলার সেনাপতি সাকিব আল হাসান। আরও একটি স্লো বলে ক্যাচ তুলে নেন লিটন দাস।এবার সাকিবের জোড়া আঘাতের পর মেহেদী মিরাজের ভেলকিতে বাংলার গ্যালারিতে শুরু হয় আনন্দের জোয়ার। মিরাজ ফাঁদে ফেলেন হাসমত উল্লাহ শাহেদী কে। মিরাজের ফাঁদে ফেলা বলটি খুব সহজেই ক্যাচ ধরে নেয় তাওহিদ হৃদয়। এরপর আফগানদের রহমত উল্লাহ দূবার কিছুটা ভয়ের সঞ্চার করলেও তাকে ফিরাতে ভুল করেন নি কাটার মাষ্টার মোস্তাফিজ।
একদিকে জুনিয়র তামিম এর আর একটি ক্যাচ আর অন্য দিকে বাংলার সেনাপতির পাগলাটে উৎযাপন। সব মিলিয়ে টাইগার শিবিরে তখন আনন্দ আর আনন্দ। এরপর সেনাপতির বলের আঘাতে নাজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেটটি উড়ে গেলে টাইগারদের শিবিরে আনন্দ যেন বাধঁ ভেঙ্গে দেয়। এরপর আফগান বিগ ফিস নবী কে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। নবীকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ কে চালকের আসনে ফিরিয়ে আনেন তাসকিন আহমেদ। এরপর রশিদ খান কে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। অলরাউন্ডার মুজিব কে মিরাজ ফিরিয়ে দিয়ে রানার পাহাড় টা আরও ছোট করে আনেন। এছাড়া আজমত উল্লাহ ওমর জাইকে এবং আফগান শিবিরের শেষ উইকেট টি তুলে নেন শরিফুল। আর আফগান দল থেমে যায় ১৫৬ রানের মধ্যেই। টাইগারদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৫৭ রানে।
১৫৭ রানের টার্গেট নিয়ে টাইগার শিবিরে প্রথমেই নেমে আসে অন্ধকারের ঘনগটা। ওপেনার জুনিয়র তামিম ফিরে যায় মাত্র ৫ রান করে । ওদিকে লিটন দাস ফিরে ৮ রান করে। যার কারনে পাওয়ার পেলের ১০ ওভারে বাংলাদেশের ঝুড়িতে উঠে মাত্র ৪৪ রান। তবে তৃতীয় উইকেট ঝুটিতে যেন ব্যর্থতার গল্প প্লাটে দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। রশিদ খান আর মোহাম্মদ নবীদের বেদম পিটিয়ে ৫৮ বলে ৫০ রানের দেখা পান অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। আর মিরাজের সাথে পাল্লা দিয়ে চলে শান্তর খেলাও। যার কারনে ২৩ ওভারে বাংলাদেশ পার করে ফেলে ১০০ রানের মাইল ফলক। মিরাজ ব্যক্তিগত ৫৭ রানে আউট হলেও সাকিব কে সাথে নিয়ে এগিয়ে যান শান্ত। পরবর্তীতে সাকিব আউট হলে শান্তর দায়িত্বশীল ব্যাটিং এ জয় লাভ করে বাংলাদেশ। শান্ত তার ঝুলিতে অপারাজিত ৫৯ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এদিকে বাংলাদেশ দল মাত্র ৩৩ ওভার ৩ বল খেলে এবং ৬ উইকেট হাতে নিয়ে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে আফগান দল কে।
টাইগারদের এই জয়ে উদ্ভাসিত সমগ্র বাংলা। বর্তামানে বাংলাদেশ দলে বেশ ভালো ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। তাই বাংলাদেশ দল যদি প্রথম ম্যাচের মত করে অন্য ম্যাচ গুলো খেলতে পারে তাহলে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। বয়ে আনতে পারে দেশের জন্য সুনাম। তাই আমি আশা করবো আগামী ম্যাচ গুলো তে টাইগার দল নিজেদের সেরাটা দিয়ে দেশের শত কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সাফল্য কামনায় রইলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন ।
পোস্টের ধরন | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | vivo-y22s |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
স্কিন শট | youtube channel |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Tweet
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের খেলা সেই দিন বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ যেহেতু বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল তাই খুব আনন্দ উদযাপন করেছিলাম মেসের সবাই মিলে। আফগানিস্তানে দেওয়া ১৫৭ রানের টার্গেট খুব সহজেই বাংলাদেশ টপকে যায়। বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মধ্যে সবথেকে ভালো খেলা উপহার দিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজ। বল হাতে তিন উইকেট এবং ৫৭ রানের দারুন একটা ইনিংস খেলেছিল। সব মিলিয়ে বেশ দারুন খেলা উপহার দিয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর একটি খেলা উপহার দিয়েছিল। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলেই হয়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit