কেমন আছেন সবাই? আশা করবো যে যেখানে থাকেন না কেন বেশ ভালোই আছেন। আমিও আছি ব্যস্ত জীবনে ব্যস্ত সময় কে নিয়ে চলে যাচেছ দিন আর রাত গুলো। বুঝলাম না কেমন করে যে এমন ব্যস্ত হয়ে গেল জীবনের সময়গুলো, কখন যে সূর্য উঠে আর ডুবে তার কিছুই আজকাল বুঝতে পারি না। আরে ভাই বুঝবো কেমন করে? আমার চোখে তো আবার রঙিন চশমা পড়া আছে। তাই সেই চশমার ফাঁক দিয়ে দিনের আলো আর রাতের অন্ধকার কিছুই দেখা যায় না। তবুও আমি চলে যাচ্ছি। চলে যাচ্ছি জবনের তাগিদে।
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার। ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার। আর নিজের একটিভিটিস ধরে রাখার। কারন দিন শেষে তো নিজের কাজের হিসাব নিজেকেই করতে হবে। প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম নিজের একটি লেখা শেয়ার করার জন্য। হয়েতো আমি আপনাদের মত এত ক্রেয়েটিভ মানুষ নয়। তবুও নিজের যতটুকু মেধা আছে তাই নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। যদি আপনাদের দোয়া পাই।
জীবনের প্রতিটি দিন যদি আনন্দময় হতো তাহলে জীবনটা কতই না সুন্দর হতো। জীবন ফিরে পেত তার গতি। সত্যি বলতে আনন্দময় জীবন গুলো কিন্তু তাদের স্বপ্ন নিয়ে বেশী দিন বেঁচে থাকতে পারে। আর যে জীবনে আনন্দ নেই তা কেবলই মেকি। আমরা কিন্তু চাইলেই সুখী হতে পারি না বা আনন্দময় জীবন পেতে পারি না। তবে আমার মনে হয় ভিন্ন কথা আনন্দ বা সুখ যাই বলেন না কেন তা কিন্তু সবার জীবনে আবার ধরা দেয় না। আমার কাছে এর ব্যাখা আবার বড়ই কঠিন।
ঘুরে ফিরে বারে বারে সুদিন আসে সুদিন চলে যায়। আর সেই সুদিন কে ঘিরে আমরা হয়ে পড়ি আবেগে আপ্লুত। হয়ে পড়ি আনন্দে আত্মহারা। আমাদের মাঝে যেন খুশির অন্ত থাকে না। তাই তো প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশের প্রিয় মানুষগুলোর বিশেষ দিন গুলোতেও আমরা নিজেদের কে উজার করে দেই আনন্দ আর খুশির সাগরে।এই তো আজ যেমন আমরা কমিউনিটির সকলে আমাদের প্রিয় সোনা মনি, রাজপুত্র আর সকলের চোখের মনি টিনটিন বাবুর জন্মদিন কে ঘিরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছি। সত্যি বলতে এমন একটি খুশির দিনে যত কিছু লিখি না কেন আমাদের লেখা কিন্তু শেষ হওয়ার নয়। তবুও কিছু তো না লিখলে নয়।
কয়েক বছর আগে টিনটিন বাবুর আগমন ঘটে @rme দাদা এবং তনুজা বউদির ঘর কে আলোকিত করার জন্য।টিনটিন বাবুর আগমন শুধু দাদার ঘরকেই আলোকিত করেননি। বরং দাদা আর বউদি কে দিয়েছে এক নতুন জীবন। দাদা এবং বউদির ভালোবাসার ছোট ঘরে টিনটিন বাবু কখন যে নিজের জায়গা কে মজবুত করে গড়ে তুলেছে তা দাদা আর বউদি হয়তো নিজেরাও বুঝতে পারেন নি।তবে দিনের পর দিন দাদা আর বউদি এতটুকু বুঝতে পেরেছেন যে তাদের ভালোবাসার আরেক নাম টিনটিন সোনা। আর আজ সেই টিনটিন বাবুরই শুভ জন্মদিন।
প্রতি বছর এই দিন কে ঘিরে দাদার পুরো পরিবার মেতে উঠে আনন্দ আর উদ্দীপনায়। মেতে উঠে টিনটিন কে খুশি রাখার নানান রকমের আনন্দের মহরার আয়োজন করায়। সেই সাথে কিন্তু আমরাও মিস যাইনা। আমরা গোটা আমার বাংলা ব্লগ পরিবার সেই আনন্দ কে নিজেরদের মাঝে ভাগ করে নেই সমান তালে। টিনটিনের আনন্দে আমরাও হয়ে পড়ি আনন্দিত। পুরো ডিসকোড জুড়ে টিনটিন বাবুর জন্য ভরে যায় শুভেচ্ছার বানী। আর এমন কিছু দেখে টিনটিন সোনা নিশ্চয় বেশ খুশি হয়। আনন্দে ভরে যায় তার দেহ আর মন প্রাণ। যতটুকু জেনেছি আমাদের প্রিয় টিনটিন বাবু বেশ বুদ্ধিমান এবং মেধাবী। পড়াশুনায় সে বিশাল পটু। তার দুষ্টুমি এবং বুদ্ধিমত্তা দিনের পর দিন দাদার পরিবার কে করে তুলছে আরও বেশী আনন্দময়ী। টিনটিন হলো দাদার পরিবারের প্রাণ। আর সেই প্রাণ কে ঘিরে দাদার ভালোবাসার ঘরটিও হয়ে উঠেছে আরও বেশী আলোকিত এবং আনন্দময়ী। টিনটিন যেন দাদার জীবনের হাজারও বৃষ্টির মাঝে এক চিলতে রোদ্র। তাই তো দাদার স্বপনে শয়নে কেবল আমাদের টিনটিন সোনা।
তাই এমন একটি দিনে প্রিয় টিনটিন বাবুর জন্য রইল আমার হৃদয় নিংড়ানো হাজারও ভালোবাসা আর দোয়া। আশা করবো টিনটিন আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জীবনে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। জয় করবে এক নতুন পৃথিবী। গোটা বিশ্ব একদিন আমাদের টিনটিন সোনা কে নিয়ে প্রশংসায় ভেসে বেড়াবে। টিনটিন হবে বাবা মায়ের গর্বের এক বারিধারা। টিনটিন এর প্রতিটি জন্মদিন হযে উঠুক আমাদের জন্য আনন্দময়। টিনটিন বেচেঁ থাকুক যুগের পর যুগ বাবা মায়ের চোখের মনি হয়ে। ভালো থাকো টিনটিন সোনা। বেচেঁ থাকো। বাবা মায়ের মুখ কে উজ্জল করও। সেই কামনাই করি তোমার জন্য।
শেষ কথা
শেষ কথা
পরিশেষে আমাদের সবার প্রিয় টিনটিন বাবুর জীবনের সুন্দর আর সুখী জীবন কামনা করি। কেমন লাগলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। ভালো থাকবেন সবাই।
ধন্যবাদ সকলকে
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি আপু দাদা বৌদির ঘর আলোকিত করে রেখেছে টিনটিন বাবু।এমন দিন বারবার ফিরে আসুক টিনটিনের জীবনে।সত্যি টিনটিন আমাদের সবার কাছে অনেক আনন্দের একজন।দোয়াকরি জীবনে অনেক বড় হবে। আর বাবা মার ঘর আলোকিত করে রাখবে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ঠিক বলেছেন, দাদা বৌদির ঘরের আলো হচ্ছে টিনটিন। তার জন্মদিন মানে হচ্ছে আমাদের সবার আনন্দ করার দিন। আজকের দিনটা সত্যি অনেক বেশি শুভ। আজকের দিনে কিন্তু অনেক বেশি আনন্দের খবর পেয়েছি। টিনটিনের প্রতিটা দিন এরকম আনন্দ এবং খুশিতে কাটুক এটাই কামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু্।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, টিনটিন বাবুর জন্মদিনের মধ্যে দিয়ে দাদা বৌদিরও আজ এক উদযাপনের দিন। তাদের সান্নিধ্যে টিনটিন বাবু একজন মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠবে এই আশাই করি। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে শুভেচ্ছা বার্তাটুকু পরিবেশন করলেন। মানুষের বেড়ে ওঠার পথে এই শুভেচ্ছা গুলি বড় প্রয়োজন। আপনার পোস্ট পড়তে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখতে দেখতে আমাদের সবার প্রিয় টিনটিন বাবুর ছয় বছর পূর্ণ হয়ে গেল। আমরাই বছর ধরে টিন্টিন বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে স্পেশাল হ্যাংআউট পালন করে আসছি। গতকাল কও সবাই মিলে অনেক মজা করলাম। দোয়া করি তিনটি বাবু জানো তার বাবার মতই ভালো মনের একজন মানুষ হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া আমিও দোয়া করি টিনটিন বাবু যেন দাদার মত ভালো মানুষ হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টিনিটিন বাবু গোটা আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের চোখের মনি। আপনি কিন্তু বেশ সত্য কথা গুলো আমাদের সাখে শেয়ার করেছেন টিনটিন এর জন্মদিন কে ঘিরে। সত্যি কিন্তু টিনটিন সোনা দাদা আর বউদির জন্য অনেক কিছু। ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit