লাইফ স্টাইল পোস্ট - ব্যস্ত জীবনের ছুটির দিনও কেটে গেল ব্যস্ততায় || Written by @maksudakawsar||

কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো লাইফস্টাইল। আসলে নিজের জীবনের কিছু ঘটনাকে ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে লাইফস্টাইলের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। লাইফস্টাইলের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টটি অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার লাইফ স্টাইল পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।

সত্যি বলতে মাঝে মাঝে মনে হয় আমাকে যদি চাকুরী করতে না হতো। আমি যদি বাসায় থাকতে পারতাম তাহলে হয়তো জীবন টাকে আরও অন্য ভাবে গুছিয়ে নিতে পারতাম। পারতাম মনের মত করে একটু শান্তির ঘুম ঘুমাতে। পারতাম এক কাপ চা হাতে জানালার কিনারে বসে সকালের মিষ্টি রোদে চুপ চুপ করে চা খেতে। পারতাম মনের ইচেছ হলেই যেখানে সেখানে একটু ঘুরে বেড়াতে। আর আমার প্রতিদিনের ভাবনায় এমনটাই থাকে। কিন্তু ঐ যে কপাল বা ভাগ্য বলে তো একটি কথা আছে। চাইলেই সব চাওয়া পূরন হয় না।

বেশ টাইটফিট চাকুরী করতে হচেছ আমাকে। সেই সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়া। আবার ক্লান্ত দেহ নিয়ে বাসায় ফিরে আসা। তার উপর নেই কোন ছুটিছাটা। মানুষ কম হওয়ায় সারা বছর ধরে ছুটি নিয়ে চলে চাপাচাপি। এর মধ্যে তো আছে ছুটির দিন গুলোতে এই দিবস আর এৗ দিবস। সেখানেও ছুটি মাইর। আর এমন করেই দিনে দিনে আমি মনে হয় চলে যাচিছ এক ট্রমার মধ্যে । এই তো আজ যখন ছিল বন্ধের দিন, তখন সকালে ঘুম থেকে আমার মনে হতে লাগলো আজও আমার অফিস আসে। তাই নিজের মত করে তৈরি হচ্ছিলাম অফিসে যেতে। কিন্তু না সেটা আর হয়ে উঠেনি। আপনাদের ভাইয়াই মনে করিয়ে দিলো আজ আমার অফিস নেই। তো আর কি করার দিলাম এক ঘুম। কেন জানি আজ বিছানাকে বেশ বন্ধু মনে হলো। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব ধরে রাখার ক্ষমতা যে আমার নেই। থাকবে কি করে। সামনে যে রমজান। আর রমজানের সব কেনা কাটা আর ঘরের কাজ। সব মিলিয়ে মাথা হ্যাং হয়ে যাচ্ছিলো।

বেশ প্ল্যান ছিল। ভেবে রেখেছিলাম আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কমিউন্টির কিছু কাজ করে রাখবো। কিন্তু হলো না সেটা। কারন আমাকে আবার আগামী কাল থেকেই রাত আটটায় বাসায় ফিরতে হবে অফিস করে। কারন আমাদের দেশেরে তো আর সিস্টেম নেই। যে আমার মত করে সব কাজ হবে। তাই তো রমজানের বাজার আর ঘর ‍গুছিয়ে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করলাম। কিন্তু এত এত কাজ জমে আছে যে কোনটা রেখে কোনটা করবো সেই বুঝতে পারছিলাম না। অবশেষে দৌড় দিয়ে চলে গেলাম শ্বাশুড়ী মায়ের দিনের কেনাকাটা করতে। প্রায় দু্ই ঘন্টা তালতলায় কেনাকাটা করে দৌড় দিলাম বাসায়। বাসায় পৌঁছেই লেগে গেলাম ঘর পরিস্কার করার কাজে।

চাকুরীজিবী হওয়ায় ঘরে তেমন সময় দেওয়া হয় না আমার। আজ নিজের ঘরের সব গুছগাছ আর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করে নিলাম। ভাগ্যিস সাথে আর একজন ছিল। বেশ সময় লেগে গেল পুরো ঘর পরিস্কার করতে। চারদিকে আযান হয়ে গেল। কিন্তু ঘরের রান্না বান্না আর করা হলো না। তাই কোন রকমে ঘরের কিছু কাজ শেষ করে নিলাম। আর বাকী কাজ পরে করবো বলে রেখে দিলাম। এরপর ফ্রেস হয়ে খাওযা দাওয়ার জন্য চলে গেলাম বাহিরে। বাহিরে যেয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। তারপর চলে গেলাম বাজারের দিকে। সাথে নিয়ে গেলাম বাজারের লিষ্ট। কারন রোজার কেনাকাটার লিস্ট আবার বেশ বড়। বাজার করতে করতে দিয়ে দিলো মাগরিবের আযান। তারপর বাজার নিয়ে বাসায় আসলাম। ওমা বাসায় এসে বসতে না বসতেই ছোট ভাইয়ের ফোন। ফোন কারন সে একটি ঔষধের দোকান দিয়েছে। আমি আমার মাঝে মাঝে তাকে সময় দেই ।

যাই হোক রাতের খাবরটা যেহেতু খেতে হবে, আর যেহেতু রান্না বানার সুযেগ করে উঠতে পারিনি তাই আর কি করার রাতে খাবার টা আম্মার বাসা থেকেই খেয়ে আসলাম। কাল আবার শুরু হচ্ছে টানা এক সপ্তাহের মেরাথন। তার মানে ২৮ তারিখ পরিক্ষা শেষ না হওয়া অবদি আর কোন মু্ক্তি নেই। তো ভাবনা তো রয়েই গেল। কি করে এত ব্যস্ততার মাঝে মাহে রমনের প্রস্ততি নিবো। তাই আপনাদের কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ্ আমার জন্য সব কিছু সহজ করে দেন।

আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের সুন্দর মতামত জানাবেন । আল্লাহ্ হাফেজ।