আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো লাইফস্টাইল। আসলে নিজের জীবনের কিছু ঘটনাকে ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে লাইফস্টাইলের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। লাইফস্টাইলে পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টটি অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার লাইফ স্টাইল পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।
ব্যস্ততা যেন বেড়েই চলছে দিনের পর দিন। এ ব্যস্ততা থামার কোন লক্ষণই দেখছি না। আজ এটা তো কাল সেটা। একটার পর একটা ব্যস্ততা জীবনের সাথে লেগেই আছে। আসলে জীবনটা মনে হয় এরকমই । আমার তো মনে হয় উপরওয়ালা যখন আমাকে তৈরি করেছে, তখন এই কথা ভেবেই তৈরি করেছে যে, যা তোকে দুনিয়াতে ছেড়ে দিলাম। দুনিয়ার যত ঝামেলা আর ব্যস্ততা তুই একা বহন করবি। হি হি । ভাবেন তো আমার কেমন যায় দিনগুলো? সারাদিন অফিস করে এমনি দেহটা ক্লান্ত হয়ে যায়। তার উপর আবার হাজার টা সমস্যা। তার সাথে ক্লান্ত দেহ আমার, সবকিছু যেন শেষ ।
হাজারও ব্যস্ততা ঠিক তখনই ভুলে যাই যখন বুঝি যে আমাকে আমার আসে পাশের মানুষগুলো এতটা ভালোবাসে। এতটা ভালোবাসা লুকিয়ে আছে আমার পরিবারের মানুষগুলোর মনে আমার জন্য। হ্যাঁ বন্ধুরা ঠিক তখনই আমি কিছুটা স্বস্থি খুঁজে পাই। এই তো গত ৯ই জানুয়ারী ছিল আমার জন্মদিন। আর জন্মদিন তো দূরের কথা আজকাল তো নিজের নাম নিজেই ভুলে যাই। তো যাই হোক। সেদিন ছিল অফিসে বেশ টাইট অফিস। আর এত টাইট যে রাত ১০.০০ টার আগে বাড়িতে পৌঁছানোর কোন সময়ই আমার হতে নেই। আর শত ক্যাচের ক্যাচের করেও কোন লাভ হবে না। তো আর কি করার অফিস করতে তো হবেই।
তবে আমার জন্মদিন আসলে আপনাদের ভাইয়া কেমন করে যেন সবার সাথে প্ল্যান করে কি কি করে। তা আমি নিজেও জানিনা। তবে এতটুকু জানি যে এই দিন টাতে বাসায় টুকটাক ভালো মন্দ তৈরি করতে আগের থেকেই বলে দেওয়া হয়। তাও আবার আমার খরচে। তো এই কথা মাথায় রেখে আমি আবার আগের দিন রাতেই টুকটাক বাজার করিযে রেখেছি। ভেবেছিলাম অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি আসবো । আর নিজের হাতে সবার জন্য কিছু টুকটাক রান্না করবো। কিন্তু ভাগ্য আমার বলতে হয়। যা চাই তা ভুল করে চাই. আর জা পাই তা চাই না। হি হি হি। ছুটি দিবে কে। তাই যখন দেখলাম যে আর ছুটি মিলছে না তখন ছোট বোন মাহফুজা আক্তার নীলা কে বললাম একটু রান্না করতে। সে বলল এ আবার কেমন কথা দাওয়াত খেতে এসে রান্না করবো। হি হি হি।
মনটা আমার বেশ খারাপ হয়ে গেল। সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলাম। রাত যখন ৮.০০টা বাজে তখন অফিসের অন্যান্য কলিগরা আমায় ছেড়ে দিলো। বেশ তাড়াহুড়া করে বাসায় আসলাম। রাস্তা হতেই ফোন করে জানিয়ে দিলাম যে আমি এসেই রান্না করবো। কিন্তু বাসায় ফিরে দেখলাম যে সব রান্না শেষ। শুধুমাত্র মুরগি রান্না বাকী আছে। আমি বেশ তাড়াহুড়া করে সবার জন্য মুরগি রান্না করে নিলাম। এদিকে তো পোলাউ, বেগুন ভাজি, পায়েস, সালাদ সহ অন্যান্য রান্না আমার বোন আগে থেকেই করে নিয়েছে।
কিছুটা পরেই দেখলাম একটি সারপ্রাইজ আমার জন্য। আমার বোন আমার জন্য বেশ সুন্দর করে একটি কেক বানিয়ে নিয়ে এসেছে। কেকটি বের করে সাজিয়ে আমাকে ডাকলো কেক কাটার জন্য। কিন্তু আমি তো আবার এসব পছন্দ করি না। তাই বেশ বকা ঝকা করলাম। কিন্তু মনে মনে ঠিকই ভালো লাগছিল। ভালো লাগছিল এই ভেবে যে আমার পরিবারের মানুষগুলো আমাকে কতটা ভালোবাসে। সারাদিনের এত ব্যস্ততার ক্লান্তি যখন নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। তাই সবার খুশির কথা ভেবে সেদিন আমি কেক কেটেছিলাম। শত ব্যস্ততার মাঝেও এ যেন এতটুকু হাসি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফস্টাইল |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y18 |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Twitter
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নীলা আপু আপনার জন্য সুন্দর একটি কেক নির্মাণ করেছে শুনে খুব ভালো লাগলো। প্রথমত আপনাকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনার আগামী দিনগুলি আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠুক। জন্মদিনে এমন ভাবে সারপ্রাইজ পেতে সব সময় খুব ভালো লাগে। আর তা যদি বোনের কাছ থেকে হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হৃদয় দিয়ে আপনার এই শুভেচ্ছা গ্রহন করে নিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ব্যস্ততা জীবনেরই অংশ আপু। আপনার জন্মদিনের কিছু স্মৃতির অংশ হতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আপনার বোন দেখি বেশ অনেক আয়োজন করেছিলো আপনার জন্য। রান্নাও করলো দাওয়াত খেতে এসে আবার কেক ও বানিয়ে এনেছিলো। ওদিকে যতই হোক, জন্মদিনে সকলের সাথে কিছুটা ভালো সময় কাটিয়ে আপনিও খুশি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দিদি এমন সুন্দর করে মন্তব্য করে মনটা ভরে দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। এটাই সম্পর্কগুলোর অন্যতম অবদান, শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের মুহুর্তগুলোকে আরো বেশী সতেজ ও গতিশীল রাখার চেষ্টা থাকে এখানে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ক্ষুদ্র এই মানুষটিকে এত বড় শুভেচ্ছা বার্তায় আরেকটু আনন্দিত করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আমরা সেদিন অনেক প্লান করেছিলাম কিন্তু আপনার অফিসের ব্যস্ততার কারণে কিছুই করা হয়ে ওঠেনি। তারপরও অনেক সুন্দর করে আমাদের প্রশংসা আপনার পোষ্টের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত ব্যস্ততার মাঝেও যে সবাই মিলে কিছুটা আনন্দ করতে পেরেছি খুব ভালো লেগেছে সেদিন। অনেক সুন্দর করে সেদিনের প্রোগ্রামের কথাগুলো তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit