আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি বেশ ভাল আছি। আমি মাকসুদা আক্তার। তবে আপনাদের কাছে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আর আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ায় আমি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বিষাদময় জীবনে কেন জানি থমকে গেলাম। আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সানিধ্যে আসতে যেন আজকাল আমাকে হিমশিম খেতে হয়। তবুও প্রতিদিন একবার হলেও আসি। কিন্তু কি আর করার? এভাবেই পথ চলতে হবে। কারন করি তো পরের গোলামি।
বন্ধুরা বেশ কিছু দিন হলো আপনাদের সাথে তেমন ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি না। পারি না সময় দিতে । কি করবো বলেন? জীবন তো অনেক কঠিন জায়গা। এখানে কেউ তো আর কাউকেই স্পেস দেয় না। দেয় না অধিকার। মাঝে মাঝে মনে হয় এত এত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিয়ে কি হবে। এখন তো আর শিক্ষার মূল্য কোথাও নেই।যাক সে সমস্ত বকবক করে আর কি হবে?
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
সরকারি চাকুরী যেহেতু করি, তাই বদলী টা কে ও মেনে নিতে হবে। তাই তো প্রকৃতির নিয়মে আমাকে নতুন জায়গায় যোগদান করতে হলো। আর শুরু হয়ে গেল আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের সময়। বেশ কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমাকে সময়গুলো পার করতে হচ্ছে। আর হবেই না কেন? অফিস টাইমে পৌছাতে হলে আমাকে সেই ভোর ৫.০০ টায় ঘুম থেকে উঠতে হয়। তারপর কি যে এক কষ্টের সময় পার করি প্রতিদিন। তা কি ভাবে যে আপনাদের বুঝাবো। আবার অফিস করে বাসায় আসতে আসতে সেই সন্ধ্যা। এ যেন এক যন্ত্রণা আর বিষাদময় জীবন।
নতুন জায়গায় জয়েন করার জন্য প্রথমি দিন যখন অফিসে গেলাম সেদিন আমি কিন্তু বেশ মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অফিসের বাহিরের যে পরিবেশ, তা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবারই কথা। অফিস টি তে ঢুকতেই দুপাশে ফুলের বাগান দিয়ে সাজানো হয়েছে। বুঝাই যাচেছ যে অফিসের বসের মনটা বেশ রোমান্টিক। যাক পরিবেশটা দেখে আমিও বেশ মুগ্ধ হলাম। যেহেতু সকাল সকাল অফিসে পৌঁছে গেছি তাই চারদিক থেকে পাখির কলকাকলি আর কিচিরমিচির ডাক শুনছিলাম কিছুক্ষন। আর এখন প্রতিদিনই তা শুনি।
নতুন জায়গাটা বেশ মনোমুগ্ধকর হলেও কি হবে। আমার তো বেশ কষ্টের জীবন কাটাতে হচ্ছে। এত কষ্ট কি আর বলবো। মাঝে মাঝে মনে হয় খুব বড়সড় কোন পাপের ফল আমাকে ভোগ করতে হচ্ছে। বাসা, অফিস, মেহমান সবকিছু যেন আজ আমাকে অতিষ্ট করে তুলেছে। খুব ভোরে যখন ঘুম থেকে উঠি তখন যেন মনে হয় চাকুরী করবো না। আর এখন তো অনেক আফসোস হয় কেন আমার কোন ক্ষমতাবান আত্নীয়স্বজন নেই।
এতকিছুর মধ্যে সবচেয়ে বেশী যেটা যন্ত্রণাদায়ক তা হলো সকাল ৬.৪৫ মিনিটে বাসা হতে বের হয়েও কোন গাড়ীতে উঠতে না পারা। মনে হয় সমস্ত ঢাকার মানুষ সারারাত ঘুমায় না। কারন সবারই মনে হয় ভোরে অফিসে যেতে হয়। তা না হলে এ দেশের যে অবস্থা দশ মিনিট দেরী করে বের হলে তো জ্যামে বসে থাকতে হবে আধ ঘন্টা। তাই ভাবছি আগামী দিনগুলোতে কি ভোর ৫’০০ টায় বের হবো অফিস করার জন্য। বলেন তো আপনারা কি যন্ত্রণার জীবন আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit