আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো। সবাই কে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানিয়ে আজ আবার শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। জানি না সবার মতামত কি? তবে আমার কাছে মনে হয় ভালোবাসায় মিলনের চেয়ে বিচ্ছেদের মাঝেই সুখ বেশী। কেন জানেন? আরে ভালোবাসার মিলন হলে তো আর কাউকে ভুলে থাকার কষ্ট নিয়ে সারা জীবন কাটাতে হয় না। একমাত্র তারাই বুঝে বিরহের সুখ, যারা ভালোবেসে সব হারিয়েছে। ভালোবাসা পেয়ে হারানোর চেয়ে না পাওয়ার বেদনা অনেক সুখের বলে আমি মনে করি।
বন্ধুরা গত ২৯-১০--২০২৩ তারিখের রবিবারের আডডায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের অনেকেই সেদিন নেটওয়ার্ক সমস্যার কারনে আমার জীবনের এই গল্পটি শুনতে পাননি। যাদের অনেকেই আমাকে ডিএম করেছেন গল্পটি পোস্ট আকারে শেয়ার করার জন্য। আর এই কারনে গল্পটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। যার প্রথম পর্ব গত সপ্তাহে শেয়ার করেছিলাম। আজ গল্পটির শেষ এবং অন্তিম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। যারা গল্পটির প্রথম পর্ব পড়ার সুযোগ পান নাই তাদের জন্য গল্পটির প্রথম পর্বের লিংক নিচে দেওয় হলো। চাইলে পড়ে আসতে পারেন।
এক সময়ে হাসান সাহেবের সাথে আমার ফেইসবুকে ম্যাসেজের পরিমানটা আরও বেড়ে যায়। এখন শুধু হাসান সাহেব নয় আমিও তাকে ম্যাসেজ পাঠাই। নিজের পছন্দের গান ও তাকে পাঠাই। সারাক্ষন শুধু অপেক্ষায় থাকি কখন আসবে তার ম্যাসেজ। কিছুক্ষন পর পরই মোবাইল টুং টুং করে বেজে উঠতো। সেই সাথে আমার বুকের মধ্যেও কেমন যেন একটু টুং আওয়াজ হতো। ভিতরে কিছু একটা ভালো লাগা অনুভব করতা। তবে মাঝে মাঝে হাসান সাহেব আমাকে তার কিছু ছবি পাঠাতো যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম। আর এভাবেই কেটে যেতে থাকে আমাদের জীবন। প্রায় দু মাস পার হয়ে যায় এভাবেই। একদিন হঠাৎ ভদ্রলোক আমাকে ম্যাসেজ পাঠায় যে তিনি আমার সাথে ফোনে কথা বলতে চায়। বুঝলাম না আমি কেন তাকে ফিরাতে পারলাম না। অনুমতি দিয়ে দিলাম ফোন করার। কিন্তু অনুমতি দিতে দেরি, কিন্তু ফোন দিতে এক সেকেন্ডও দেরি হলো না। ভদ্র লোকের কন্ঠ শুনে তো আমি ফিদা।
এতো রোমান্টিক কন্ঠ তার । আজও যেন কথা গুলো কানে বাজে। আমি মুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনতাম। ভদ্রলোক শুধু কথায় বলে যাচিছলো। আর আমি শুনছিলাম। কখন যে এক ঘন্টা পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। এরপর আমি ভদ্রলোক কে বলে দিলাম ফোন দিলে যেন লাঞ্চ আওয়ারে দেন। সেই থেকে লাঞ্চ আওয়ারেই আমাদের কথা হতো। ধীরে ধীরে অনুভব করতে লাগলাম ফোন দিতে দেরি হলে যেন কেমন একটা কষ্ট লাগতো। আর এভাবেই কেটে গেল আরও কিছুদিন। একদিন ভদ্র লোকের সাথে আমার একটু তর্ক হলো। তার কোন কথাই আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। আবার সেও মেনে নিতে চাচ্ছিলো না। এক সময়ে আমি বলে ফেললাম না আপনার সাথে আমার ম্যাচ হবে না। এরপর আমি মোবাইল বন্ধ করে রেখে দিলাম। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে রেস্ট নিচ্ছিলাম। কিছুক্ষন পরেই শুনলাম বাসায় মেহমান এসেছে। জানতে পারলাম আমার সেই অফিস কলিগ এবং সাথে হাসান সাহেবের বড় ভাই এবং ভাবী আসছেন আমাদের বাসায়।
এরপর হাসান সাহেবের বড় ভাবী আমার সাথে দেখা করলো। আমার কাছে এসে আমার হাত ধরে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে আমাদের মাঝে? আমি কোন কথা না বলে সরাসরি বলে দিলাম আমার পক্ষে তার দেবর কে বিয়ে করা সম্ভব নয়। তখন ভদ্র মহিলা বেশ অনুরোধ করলেন। তিনি বললেন এই কয়েকদিনে নাকি হাসান সাহেবের আমাকে বেশ ভালো লেগেছে। আর তিনি এমন ভুল আর করবেন না। প্রথম বারের মত সব ভুলে যেতে অনুরোধ করেন। তখন আমার মা এবং পরিবারের সবাই আমাকে বুঝিয়ে বললো । এমন কি হাসান সাহেবের বড় ভাইও আমার সাথে কথা বললেন। এত গুলো মানুষের অনুরোধ আর ফেলতে পারিনি। তাই আবার আমাদের কথা শুরু হলো। আরে না আমি ফোন করিনি। ঐ ভদ্রলোকই আমাকে আগে ফোন করেছিল। আর এভাবে কেটে যাচিছল আমাদের সময়।
এদিকে দেখতে দেখতে ভদ্র লোকের দেশে ফিরার সময় হয়ে গেল। আর বিয়ে শপিং এর বেশ কিছু অংশ তিনি সেখান থেকে করে আনতে চা্ইলো তিনি। তাই প্রতিদিন আমার সাথে কথা বলে সব কিছু কিনা কাটা করেন তিনি। এই কসমেটিকস, অলংকার আরও আনুসাঙ্গিক জিনিসি পত্র। আর এসব কিছু আমার পছন্দ মতই কিনে নেন তিনি। প্রতিটি জিনিসি কেনার আগে আমার সাথেই কথা বলেন। কারন হাসান সাহেবের কনফিডেন্স ছিল তাকে সরাসরি দেখে আমি ফেরাতে পারবো না। এরপর ঘনিয়ে আসলো তার দেশে ফিরার দিন। দেশে আসার দিন ঠিক হলো সেপ্টেম্বরের ০৯ তারিখ। আর ১১ তারিখ কোরবানীর ঈদ। তাই আমাদের মাঝে কথা হলো ০৯ তারিখে রাতে আমরা দেখা করবো । যদি আমার ছেলে পছন্দ হয়ে যায় তাহলে ১০ তারিখ কাবিন হবে। এরপর ঈদের পর অনুষ্ঠান হবে। এখানে তার পছন্দ কোন বিষয় নয়। বড় ভাইয়ের পছন্দই তার পছন্দ। বড় ভাই অন্ধ কানা খোড়া যাকেই তার বউ করে দিবে তাতেই সে রাজি আছে।
হায় রে অভিশপ্ত ০৯ তারিখ। সেই দিন কিন্তু আমার জীবনে আর আসলো না। এর মধ্যে আমার পরিবার থেকে বিয়ের ব্যাপারে অনাপত্তি জানালো। আমার বড় ভাইয়েরা এই বিয়েতে রাজি নয়। একে তো ছেলে বাহিরে থাকে, তার উপর ছেলেদের গ্রামের বাড়ী তাদের পছন্দের নয়। সব মিলিয়ে পরিবার থেকে পুরোপুরি না করে দিতে বলল। এখান আমি কি করবো আপনারা বলতে পারেন? একদিকে পরিবার আর অন্য দিকে না দেখা ভালোবাসা। সব মিলিয়ে আমার অবস্থা তখন যে কি আমি বুঝাতে পারবো না। অবশেষে না পেরে আমি ০৯ তারিখ সকালে আমার সেই অফিস কলিগ কেই ফোন করে ফাইনাললি নিষেধ করে দেই। তার কোন অনুরোধই আর আমি শুনিনি। তবে আমার কলিগ আমাকে জাস্ট একটি ম্যাসেজ সেন্ড করেছিল যে - আপনি অনেক ভুল করলেন।
সারাটা দিন যে আমার মনের উপর দিয়ে কি গেল সেটা আমি বুঝি। রাতে আবার একটি ম্যাসেজ পেলাম তাও আমার কলিগ এর। আবারও সেই একই মাসেজ। তবুও আমি সেই দিকে আর মন দিলাম না। তবে মনের ভিতর দিয়ে বিশাল এক তুফান নিয়েই আমি বেচেঁ রইলাম। কারন আমার কাছে সবার আগে আমার পরিবার। তখন রাত একটা আমি জেগে আছি। আর ঘরের সবাই তখন গভীর ঘুমে। হঠাৎ দেখি হাসান সাহেবের একটি ম্যাসেজ। আমার কি অপরাধ একবার যদি বলতেন। এত দূর থেকে আসলাম একটা বার দেখাও তো করতে পারতেন? আমার মনের ভিতর টা যেন কেমন করে উঠলো। কেন একজন মানুষ কে কষ্ট দিচ্ছি। তখন আমি তাকে রিপ্লাই দিলাম না আপনার কোন দোষ নেই। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।আমার পক্ষে আপনাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আমি তখন সবটুকু দোষ নিজের ঘাড়েই নিলাম। এত দূর এসে আর পরিবার কে কারো কাছে ছোট করতে মনে চাইলো না। তারপর তার সাথে অনেক কথা হলো। এক সময়ে নিজেই মনে মনে ভাবলাম। আচ্ছা দেখি না ছেলেটি কেমন। নাই বা কাউকে বললাম। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম তার সাথে দেখা করবো। কিন্তু ঐ যে বলে না- কপালে নাই কো ঘি, ঠুক ঠুকালে হবে কি? আর এই জন্য সেদিন মনে হয় আমার মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।ভাবলাম কিছুক্ষন পর কথা বলি, একটু চার্জ হোক। কিন্তু এর মাঝেই আমি চলে গেলাম গভীর নিদ্রায়।
এই দিকে ঘুম থেকে যখন জেগে উঠলাম তখন দেখলাম সকাল ৮.৩০ মিনিট। কি আর করার মোবাইল চেক করে দেখি তার হাজার টা ম্যাসেজ এর মধ্যে শেষ ম্যাসেজ হলো ভালো থাকবেন। এরপর ঈদ হলো এবং কয়েকদিন পার হয়ে গেল। আমার কেন জানি অনেক কষ্ট হতে লাগলো বুকের মধ্যে। কেমন যেন ব্যাথা। সেটা কাউকেই বুঝানো যাবে না। হঠাৎ একদিন দুপুরে দেখি একটি আননোন নম্বর হতে ফোন। ফোনটি রিসিভ করে বুঝতে আর দেরি হলো না যে এটা হাসান সাহেব। তো আবারও সেই কথা দেখা করতে চায়। এবার আমি রাজি হয়ে গেলাম দেখা করার জন্য। কিন্তু আমার আর তার সাথে দেখা হলো না। কারন আমি যেমন আমার পরিবার কে ভালোবাসি তারও তো আমার মত পরিবার আছে। তাই আমার উপর জিদ করে পরিবার থেকে তার বিয়ে ঠিক করা হলো। তবে এর মাঝে একদিন ভদ্র লোক আমাকে ফোন করে ক্ষমা চেয়ে নিলো এই বলে যে - আমি বহুবার আপনার কাছে গিয়েছি। বহুবার আপনাকে ফোন করেছি, ম্যাসেজ দিয়েছি। কিন্তু আপনি তখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এখন আমার তো কিছুই করার নেই। আমি আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বড় ভাই সু-সাইড করার হুমকি দিয়েছে। ধরে নেন এটা আল্লাহর ইচ্ছে। আপনি অনেক ভালো স্বামী পাবেন। সত্যি বলতে আপনার ভালোবাসা আমার কপালে নেই।
আমি নিরব নিস্তব্দ হয়ে সেই ভদ্রলোকের কথা শুনছিলাম।আর আমার দু চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়ছিল। আসলে তখন তো আর কারো কিছুই করার নেই। তারপর ভদ্র লোক আমার সাথে ভিডিও কলেও কথা বলে। সত্যি কিন্তু দেখার মত একজন মানুষ ছিল। এরপর আর আমাদের কথা হয়নি। অবশ্য তার কিছুদিনের মধ্যেই আমার বিয়ে হয়ে যায়। তবে আমার বিয়ের পর ভদ্রলোক আমার সাথে যোগাযোগ করার বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি আর কখনও তার ফোন রিসিভ করিনি। অবশ্য কিছুদিন পর শুনেছিলাম হাসান সাহেব হার্ট এ্যাটাক করেছে। কিন্তু আমি আর কোন যোগাযোগ করিনি। তবে সত্য বলতে আজও কিন্তু সেই কষ্ট বুকে চাপা খেয়ে আছে । ভুলতে পারিনি। মাঝে মাঝে মনে হলে নিজের অজান্তে কখন যে দু চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ে তা নিজেও বুঝতে পারিনি।
রবিবারের আড্ডায় আমার যে সকল বন্ধুরা আমার গল্পটি শোনার জন্য অনুরোধ করেছেন তাদের জন্য আমার আজকের গল্প। আশা করি তাদের ভালো লাগা আর মন্দ লাগা গুলো আমায় জানাতে ভুলবে না।
আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ব্লগটি? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন। |
---|
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের বাস্তব জীবনটা অনেক সময় সিনেমার গল্পকেউ হার মানায়। আসলে এই গল্পগুলো জানতাম না যদি আপনি না বলতেন। তবে আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি আপু। ভালোবাসার মানুষটিকে না পাওয়ার বেদনা এখনো হয়তো আপনাকে কষ্ট দেয়। তবে কি আর করার। মাঝে মাঝে বাস্তবতা মেনে নিতে হয়।😔😔
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি বাস্তবতা কে মেনে নিয়েই তো বেচেঁ আছি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষের জীবন নাটকের থেকেও নাটকীয়। প্রথম পর্ব পড়া হয়নি কিন্তু অন্তিম পর্ব পড়ে আর আপনার না পাওয়া ভালোবাসার গল্প শুনে খুব খারাপ লাগলো। কোনো মানুষকে দেখলে বোঝা যায় না তার মনের ভিতরে কি চলছে। আপনি আপনার পরিবারের কথা চিন্তা করে পিছিয়ে গিয়েছেন কিন্তু আমার মনে হয় আপনার পরিবারেরও একবার আপনার কথা চিন্তা করার প্রয়োজন ছিল। যেদিন হাসান সাহেবের সাথে আপনার সমস্যা হয়েছিল সেদিন যদি সম্পর্ক শেষ হয়ে যেতো তাহলেও হয়তো এতটা কষ্ট হতো না। মানুষ বলেনা আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আপনার কপালে ছিল না বলেই আপনি তাকে পাননি। কিন্তু একটা কথা কি যাকে মন থেকে ভালোবাসা হয় তাকে কখনো ভুলা যায় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু সেদিনই সব শেষ হয়ে গেলেই ভালো হতো। যাক আমার বিষয় গুলো অনুধাবন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব কষ্ট যেনো আমিও পেলাম।কিছু পড়তে নিলে তার মধ্যে ডুবে যাওয়া আমি।🫣সত্যি আপু পরিবারের জন্য বড় একটা ত্যাগ স্বীকার করলেন আপনি।অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখনি।ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইস্ আপনি কষ্ট পেয়েছেন শুনে তো কান্না আসছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করে সান্তনা দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি আপনার পরিবারের জন্য খুব বড় একটা ত্যাগ স্বীকার করলেন। হাসান সাহেব বিদেশ থেকে আপনার জন্য শপিং করে এনেছেন তারপরও আপনাদের একসাথে দেখা হয় নাই আর বিয়ে তো হয়ই নাই। দুজনের দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছে শেষ পর্যায়ে। ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়ার বেদনা আপনাকে এখনো কষ্ট দিচ্ছে আপু। কিন্তু এখন আপনি বাস্তবতা মেনে নিয়ে জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি আর করার? কপালে নাইকো ঘি ঠুক ঠাকাইলে হইবো কি? ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Tweet
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটি পড়ে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে আপু। কারণ আপনার মতো এমন মানুষ অনেক কম আছে, যারা পরিবারের জন্য এতো বড় ত্যাগ স্বীকার করে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিবারের ইচ্ছাতেই সবকিছু হলো,কিন্তু মাঝখান দিয়ে কষ্ট পেলেন আপনি এবং হাসান সাহেব। আপনার জায়গায় অন্য কোনো মেয়ে থাকলে,হয়তোবা নিজেরাই বিয়ে করে ফেলতো। আসলে কিছু কিছু স্মৃতি আমরা চাইলেও ভুলতে পারি না,বরং আজীবন মনে থাকে। যাইহোক আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জানিনা ভাইয়া অন্য কেউ কি করত? তবে আমার কাছে কিন্তু আমার পরিবার সবকিছুর ঊর্ধ্বে। আমাকে এত সুন্দর করে বুঝতে পারার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit