আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
দিন গেল তোমার পথ চাহিয়া। সত্যি কিন্তু তাই। আমাদের জীবনের কত সময় যে আমরা পার করেছি শুধু পথ চাহিয়া সেটা কিন্তু বুঝিয়ে বলাটাই জটিল।হুম এই পথ চাওয়া কিন্তু শুধু প্রিয় মানুষের জন্য নয়্ হতে পারে মনের কোন ইচ্ছে কে পতিপালিত করাও। পৃথিবীতে এমন হাজারও মানুষ আছে যাদের অনেক ইচ্ছেই অপূর্ণ রয়ে যায়। ইচ্ছে গুলো বন্দী হয়ে থাকে মনের ক্যানভাসে। হয়তো বা কখনও তাদের এই ইচ্ছে গুলো কে কেউ ছুঁতে পারে না
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন বলেন তো? আমি কিন্তু বেশ দারুন আছি। আর তাই তো প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। এখন জানি জীবন টা কেমন হয়ে গেছে। জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন সব কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করা চাই। তা না হলে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। হুম সত্যি কিন্তু তাই। আর তাই তো চলে আসলাম সেদিন একুশে বই মেলায় ঘুরে আসার কিছু আনন্দ আর তিক্ততা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অবেশেষে ঠেলাঠেলি করেই বইমেলায় প্রবেশ
অবেশেষে ঠেলাঠেলি করেই বইমেলায় প্রবেশ
জীবনে কতবার যে ভেবেছি বই মেলায় যাবো।কিন্তু সময় আর ইচ্ছের কারনে আর যাওয়া হয়ে উঠেনি। তবে এবার আমার বাংলা ব্লগে সবার পোস্ট দেখে নিজেরও কেন জানি যেতে মন চাইলো একুশে বই মেলায়। মনে চাইলো আমাদের প্রিয় সাথী আপুর প্রকাশিত কবিতার বইটি নিজের সংগ্রহে রাখার। আর তেমন একটি ইচেছর জন্যই দৌড়ে গিয়েছিলাম একুশে ফেব্রুয়ারীর দিন একুশে বই মেলায়। কিন্তু কি জানেন বেশ কষ্ট আর ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল সেদিন বই মেলার ভিতরে। সেখানে যাওয়ার পর বার বার ভাবছিলাম কেন আসলাম একুশের বই মেলায়? বাসায় তো ভালো ছিলাম।
বিকেল ৪টায় বের হলাম বাসা হতে। বেশ ভালোই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মৎস ভবনের সামনে যেয়েই দেখি যে বিশাল জ্যাম। যেমন গাড়ী তেমন মানুষের। প্রায় আধ ঘন্টা নিজের জায়গায় গাড়ীতে বসে রইলাম শুধু মাত্র জ্যাম ছাড়ার আশায়। কিন্তু ওমা জ্যাম ছাড়বে তো দূরের কথা ভিড় যেন আরও বেড়েই চলেছে। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম হেটে যাওয়ার। অবশ্য একবার ভেবেছিলাম ফিরে আসবো। কিন্তু বলেন তো এত কাছে যেয়ে কি আর ফিরে আসা যায়? তাই তো সিদ্ধান্ত নিলাম যত কষ্টই হোক দেখে যাবো বইমেলা।
ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগুতে থাকলাম। চিন্তা করলাম হারিযে গেলেই তো মুশকিল। তাই এক হাতে ধরলাম আপনাদের ভাইয়ার কোট আর এক হাতে ধরলাম ছোট বোনের ওড়না। কি কেমন ছিল বুদ্ধিটা? যাই হোক আস্তে আস্তে শাহাবাগের ফুলের দোকানের পাশ দিয়ে যেতে লাগলাম বইমেলার দিকে। ওমা যেই না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে গেলাম তখন দেখি মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। কি মরার জ্বালা। বইমেলা কি আর দেখা হবে না তাহলে? না হার মানিনি যাবো তো যাবোই। যত রাতই হোক।এর মধ্যে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের মসজিদে মাগরিবের নামায সেরে নিলাম।তারপর বাহিরে এসে চোখে পড়লো প্রিয় আচারের দিকে। আচ্ছা বলেন তো এমন একটি সময় কি আর আচার না খেয়ে থাকা যায়?
আচার খেয়ে ধীরে ধীরে সামনের দিকে আগাতে লাগলাম। ওমা যেই না বই মেলার কাছে গেলাম সেই দেখলাম টিএসসি মোড়ে সেই বিখ্যাত জায়গায় হাজারও মানুষ বসে বসে বিশ্রাম করছে। আহ্ বেচারারা মনে হয় অনেক ক্লান্ত। আর আমরা সেই ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।অবশ্য পাশেই চলছিল গানের প্রোগ্রাম। আমরা আর সেখানে চোখ দেই নি। পাছে সাথী আপুর বই যদি কিনতে না পারি। তাই আমরা আস্তে আস্তে বইমেলার দিকে এগুতো লাগলাম।ভিড় আর জ্যাম ঠেলে বই মেলায় প্রবেশ করতে কিন্তু বেশ কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের কে।
বই মেলায় ঢুকেই তো একটু এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলাম। কেন জানেন? ঢুকেই চোখে পড়লো আর্ট করার কিছু দৃশ্য। বেশ কিছু মানুষ নিজেদের ছবি আকাঁর জন্য ভিড় জমিয়েছে আর্টিস্টদের সামনে। আমরাও গেলাম। ওমা সেখানে দেখি এক একজন এক এক ভাবে স্টাইল করে নিজেদের স্কেচ আঁকিয়ে নিচ্ছে। তাই আমিও ভাবলাম একটু নায়িকা স্টাইলে একটি স্কেচ করিয়ে নেব। তাই গেলাম তাদের কাছে। বাপরে বাপ সব আশা তো ধুলায় মিশে গেল। একটি স্কেচ করতে দাম চায ১০০০/- টাকা। আচ্ছা আমার মতো ছাপোষা মানুষের কি ১০০০/- টাকায় স্কেচ করা সাজে? সেই থেকে আমাদের @Tasoniya আপু কাছে গেলেই ফ্রিতে একটি স্কেচ করে নেওয়া যাবেনে ক্ষন। তাই আর স্কেচ করলাম না। এগিয়ে গেলাম বইয়ের স্টল গুলোর দিকে।যেতে যেতে চোখে পড়লো বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়ন। তখন একটু মনে শান্তি পেলাম। ভাবলাম আর একটু পড়েই হাতে পাবো সাথী আপুর কবিতার বই। আর সেই আশাতেই ঘুরে বেড়াতে লাগলাম বইমেলার প্রান্তর।
শেষ কথা
শেষ কথা
সত্যি বলতে যতই সমস্যা আর ঝামেলা থাকুক না কেন এমন একটি বইমেলায় ঘুরে আসলে যে কিছু অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয় সেটা কিন্তু সত্য। তবে আমি কি সিদিন সেলিনা সাথী আপুর কবিতার বইটি কিনতে পেরেছিলাম? নাকি পারিনি সেই গল্প শুনতে চোখ রাখুন আমার পোস্টে।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বই মেলায় আপনি অনেক এক্সিডেন্ট ছিলেন কারণ বইমেলায় ঢুকেই আপনি বিভিন্ন রকম আর্ট এর দৃশ্য দেখলেন এছাড়াও প্রোগ্রাম ছিল আচার খাওয়ার মুহূর্ত ছিল সব মিলিয়ে দারুন অভিজ্ঞতা ছিল তবে ভাই আপনার লেখাগুলো অনেক বেশি বড় হয়ে গেছে এটা যদি একটু ছোট করা যেত তাহলে এটা আরো বেশি সুন্দর হতো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি গিয়েছেন গণ ছুটির দিনে! তাও আবার একদম পিক সময়ে। বিকেলের পর থেকে অস্বাভাবিকভাবে ভীড় বাড়ে বইমেলায়। যেটা এক দিক থেকে ভেশ ভালো লক্ষণ ই লাগে আমার কাছে। তবে ভাইয়ার কোট আর ছোট বোনের ওড়না ধরার নিঞ্জা টেকনিক ব্যবহার করে একসাথে থাকার চেষ্টা করেছেন এই ভীড়ের মাঝেও! আর সাথী আপুর বই তো মনে হচ্ছে কিনেছেন ই! নইলে যে সমস্ত ভোগান্তিই পন্ড! এখন দেখা যাক আসলে পরে কী হয়েছিল! অপেক্ষায় থাকলাম জানার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেটা জানতে চাইলে কিন্তু অপেক্ষা করতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit