আসসালামু আলাইকুম
@maksudakawsar
খিলগাঁও, ঢাকা বাংলাদেশ
12, অক্টবোর, ২০২২
কেমন আছেন আপনারা সবাই ? নিশ্চয় সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার কিছু নতুন ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। আমার মা গত হয়েছে প্রায় এক বছর। মা মারা যাওয়ার পর আমার বেশ কয়েকবার নানা বাড়িত যাওয়া হয়ে গেছে। কারন নানাবাড়িতে মায়ের কিছু সম্পত্তি রয়ে গেছে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঢাকা থেকে মাত্র পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে যশোর যেতে। আর যার রুপকার হলো স্বপ্নের পদ্ধা সেতু । যাই হোক আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার নানা বাড়ির বৃষ্টি বিঘ্নিত সময়ের কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব।ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে নিশ্চয়।
তাহলে আসুন দেখা যাক আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট।
প্রথম ফটোগ্রাফি
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
কাঁদা মাখা মেঠো পথ বেয়ে হেটেঁ কিছুদূর যাওয়ার পর সবুজ একঝাকঁ মেহগুনি গাছ আমার মনে একরকম আনন্দ বয়ে দেয় । কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ায় গাছের সবুজ পাতা গুলো যেন নতুন করে জীবন ফিরে পেলো। আর আমার কাছে মনে হচ্ছে এক সবুজ অরণ্য।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
ছবির অবস্থান সোর্স এইযে দেখছেন কতগুলো কচু গাছ, যেখানে কচুর পাতায় বৃষ্টির পানি পড়ে পাতাগুলো কে সজীব এবং সহজ করে তুলেছে। এই গাছগুলো কিন্তু আমার মায়ের জমিতে লাগানো। পাতাগুলো দেখতে কি প্রাণবন্ত এবং সজীব মনে হচ্ছে। আর তাই আমিও আপনাদের জন্য একটি ছবি তুলে নিলাম। ছবির অবস্থান সোর্স মায়ের মুখে শুনেছি আগের দিনে কারো সাথে কারো ঝগড়া হলে গ্রামের মানুষ বলতো- তোর ভিটায় আমি ঘুঘু চড়াবো। কিন্তু আজ দেখি আমার মায়ের ভিটায় ঘুঘু চরছে- হাহাহাহাহা। এইযে দেখছেন জমির উপর ঘুঘু পাখি গুলো বসে আছে। এটা হল আমার মায়ের জমি। বিকেলে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর ঘুঘুগুলো জমিতে মনের সুখে খেলাধুলা করছিল। ছবির অবস্থান সোর্স চারদিকে ঝিম ঝিম ঝিম ঝিম বৃষ্টি হচ্ছে আমি বৃষ্টির মধ্যে এক পলকে তাকিয়ে আছি আমার মায়ের জমির দিকে। জমিতে মামাতো ভাইয়ের মেহগনি গাছসহ নানান রকমের সবজি চাষ করছে। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আমার মায়ের জমিটা দেখতে কি সুন্দর লাগছে। সবুজে সবুজে ভরে গেছে গাছগুলো। তার একটি ছবি আমি তুলে ফেলেছি। ছবির অবস্থান সোর্স টিনের ঘরে বসে বৃষ্টির আওয়াজ শুনতে অনেক ভালো লাগে।বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ ঝুম ঝুম ঝুম ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই বৃষ্টির আওয়াজ টিনের চাল ভেদ করে আমার কানে এসে পৌঁছে। চলে আসলাম ঘরের বারান্দায়। আর বাইরে বৃষ্টির একটি ছবি তুলে ফেললাম। ছবির অবস্থান সোর্স সুজলা, সুফলা শষ্য শ্যামলা অপরুপ এ দেশের রুপ বৈচিত্র আমাকে আসলে অনেক মুগ্ধ করে। বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ, গ্রামের মেঠো পথ আর সবুজ শ্যামল গাছপালা। এগুলো শহরের মানুষের কাছে একটা স্বপ্ন মাত্র। তা আমরা যখন গ্রামে বেড়াতে যাই এসব প্রকৃতি আমাদেরকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আশা করছি আমার আজকের ছবিগুলো, আপনাদের কেউ আমার মত সজীব এবং প্রাণবন্ত করতে পেরেছে। ভাল থাকবেন , সুস্থ্য থাকবেন।
রূপ ধরে রাখতে পেরেছ।
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ক্রমিক বিবরন পরিমান 1 ডিভাইস Oppo-A16 2 ফটোগ্রাফার @maksudakawsar 3 ভৌগলিক অবস্থান ঝিকরগাছা, যশোর
গ্রামের ছবি দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগে আমার। ভালো লাগল আপনার পোস্ট দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখা সবসময় ই ভালো।তবে খেয়াল রাখবেন যখন ফটোগ্রাফী পোস্ট করবেন তখন যেনো ফটোগ্রাফীর কোয়ালিটিগুলো ভালো হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি পোস্টই অসাধারণ হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে কাদামক্ত পথ, একশো বছরের পুরনো গাছ, কিংবা কচু পাতার বৃষ্টির পানির পড়ার দৃশ্য সবগুলোই ছিল ভালোলাগার মতো। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকদিন পর আমাদের এখানেও আজ বিকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে আপু। হয়তো এখন বর্ষার শেষ সময় তাই আপনার পোস্ট দেখার পরে উৎসাহ জাগলো পুনরায় কিছু বৃষ্টি ভেজা ফটোগ্রাফি করতে হবে। মোটামুটি সুন্দর লিখেছেন। আশা করি আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit