কেমন আছেন সবাই? আশা করবো যে যেখানে থাকেন না কেন বেশ ভালোই আছেন। মানুষের জীবন সব সময় এক রকমের যায় না। এই ভালো তো এই মন্দ। আর ভালো মন্দের জোয়ার ভাটায় জীবনটাই হয়ে পড়ে নিস্তেজ। তবুও এত কিছুর মাঝেও মানুষ প্রতিনিয়ত জীবন যদ্ধে লিপ্ত থাকে বেচেঁ থাকার জন্য। কারন একমাত্র মানুষই স্বপ্ন বিলাসী। তাই তো সবার মত আমিও হাজার ব্যস্ততা কে ছাপিয়ে বেচেঁ থাকতে চাই হাজার বছর।
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। সত্যি বলতে ভালো মন্দ যাই লিখি না কেন, চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। জানিনা কতটুকু আমার লেখা গুলো আপনাদের কে ছুঁয়ে দিতে পারে। আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে।আজ চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে একটি লাইফ স্টাইল শেয়ার করতে।
ব্যস্ত জীবন। সারাদিন পার করে দুজনেরেই বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়। ছুটির একটি দিন তাও যেন বিশ্রাম নেই। কিভাবে যেন রাত আর দিন শেষ হয়ে যায়। ছুটির দিনের সকাল হতে দেরী কিন্তু রাত হতে আর দেরী হয় না। কি যে এক যন্ত্রণার জীবন পাড় করতে হয় তা কেবল ভুক্তভোগী মানুষ গুলোই বুঝে। কিন্তু এত এত ব্যস্ততার মাঝেও সেদিন সকালে যখন দুপুরের জন্য রান্না বসাবো ঠিক তখনই বন্ধুর ফোন আসলো। আমাকে তখনই কেন জানি আমাদের পুরানো স্কুলে যেতে হবে। কিসের নাকি সভা আছে। যদিও বেশ ব্যস্ত জীবন তবুও না গেলেই নয়। তাই তৈরি হয়ে চলে গেলাম।
বহু বছর পর স্কুলের দরজার সামনে যেতেই পুরানো দিনের স্মৃতি গুলো চোখের মাঝে ভেসে উঠলো। ভেসে উঠলো কেমন করে আমরা টিফিন আওয়ারে স্কুলের গেটে এসে রাস্তার পাশে দাড়াঁনো লোকদের থেকে আচার খেতাম। কেমন করে আমরা হাসি আর আড্ডায় দিন কাটাতাম। আর মনে পড়লো স্কুলের সব শিক্ষকদের কথা। কতই না স্মৃতি জড়িত এই স্কুলের সাথে আমার। এক সময় এই স্কুল হতেই আমি এস. এস. সি পাশ করেছিলাম। বেশ ভালোই লাগছিল সেই স্মৃতিগুলো মনে করে। তবে এখন স্কুলের বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন স্কুলের ভিতরে নতুন কয়েকটি দালান হয়েছে। নতুন নতুন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। আমাদের এক সময়ের দুষ্টু প্রকৃতির স্যার এখন স্কুলের অধ্যক্ষ। অবশ্য আমরা যখন ছিলাম তখন স্কুলটি শুধু হাই স্কুল ছিল । কিন্তু এখন সেই স্কুল আর স্কুল নেই। এখন স্কুল হয়েছে কলেজ। স্কুলের এমন উন্নতি দেখে বেশ ভালোই লাগছিল।
যাই হোক কিসের জন্য এমন জরুরী তলব সেটা জানার জন্য স্কুলের ভিতরে অধ্যক্ষের রুমে গেলাম। বেশ পরিবর্তন। ভিতরে প্রবেশ করতেই সবার সাথে সাক্ষাত শেষে বসে পড়লাম সবার সাথে গল্পে। তারপর গল্পের সাথে সাথে বুঝতে পারলাম যে স্কুলের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে। আর সেই উদযাপন কমিটির জন্য একটি কমিটি করা হবে। যেখানে আমাকে রাখা হবে। মানে কমিটির একটি ভালো পদে আমাকে রাখার জন্যই আমাকে তলব করা হয়েছে। ওরে বাপ রে বাপ যে ব্যস্ত মানুষ আসি, তার উপর আবার আরও একটি দায়িত্ব। পারবো না বাবা পারবো না। আর কোন দায়িত্ব নিতে পারবো না। সাফ বারন করে দিলাম। আমাদের পুরানো হুজার স্যার যিনি কিনা এখন অধ্যক্ষ তিনিও বেশ অনুরোধ করলো আমাকে। কিন্তু আমি কিছুতেই রাজি হলাম না। বেশ অনুনয় বিনয় করে সরে পড়লাম দায়িত্ব হতে। কিন্তু আমার কাছে অনেক দিন পর পুরানো স্কুলে কিছুটা সময় কাটিয়ে বেশ ভালোই লেগেছে।
শেষ কথা
শেষ কথা
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি। আশা করি আমার পোস্ট টি পড়ে আপনাদের কাছে বেশ ভালোই লেগেছে।জানার অপেক্ষায় রইল।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক করেছন আপু এমন ব্যস্ততার মধ্যে আর কোন দায়িত্বে না যাওয়াটাই ভালো। আসলে পুরানো স্কুল দেখে আমারও বেশ ভালো লাগলো। তবে স্কুলে একটি অনুষ্ঠান হলেও মন্দ হয় না। ধন্যবাদ আপু এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই জায়গা গুলো অনেক স্মৃতিপূর্ণ হয়ে থাকে। আপনি যত বছর পরেই যান না কেন একটা অন্যরকম ভালো লাগা একটা অন্যরকম অনূভুতি সবসময় আপনার মাঝে কাজ করবে। ঐ যে বললেন না দরজার সামনে যেতেই সব স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ব্যাপার গুলো এইরকমই হয়ে থাকে। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা আপু।
তবে আপনি টাইটেলে স্কুল বানান টা ভুল করেছেন। ঐটা ঠিক করে নিয়েন। ধন্যবাদ।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু ব্যস্ততা জীবনে ছুটির দিন আরো কাজ থাকে বেশি কথাটি ঠিক বলেছেন। তবে নিজের পুরনো স্কুলে গেলে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আপনি দেখতেছি আপনাদের পুরনো স্কুলে গেলেন। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের স্কুলে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কমিটি গঠন করে যে সেখানে আপনাকে রাখা হয়েছে। আর স্কুল জীবনে সুখ দুঃখ অনেক স্মৃতি থাকে সেগুলো এখন স্কুলে গেলে মনে পড়লে অনেক হাসিও আসে। ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দায়িত্বটা নিলেই পারতেন আপু। এমনিতেই তো অনেক ব্যস্ত থাকেন, এতে করে কয়েকদিন ব্যস্ততা আরও একটু বাড়তো, এই আর কি হা হা হা। যাইহোক দীর্ঘদিন পর স্কুলে গেলে পুরনো দিনের স্মৃতি গুলো আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit