মামা বাড়ীর কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

@maksudakawsar
খিলগাঁও, ঢাকা বাংলাদেশ

9 ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
21 সেপ্টেম্বর, সোমবার

কেমন আছেন আপনারা সবাই ? নিশ্চয় সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার আর একটি নতুন ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো।

গত কয়েকদিন হলো আমি নানা বাড়ি যশোর জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছি। সেই সুযোগে আমি বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার সুযোগও পেয়ে গিছি। আর সেসব ফটোগ্রফের কয়েকটি ফটোগ্রফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।

গ্রামের পরিবেশ, প্রকৃতি ও রুপ বৈশিষ্ট প্রতিটিই যেন মানুষের মনকে নাড়া দিয়ে যায়। মানুষ প্রকৃতির টানে, নাড়ির টানে আর ভালবাসার টানেই সেই গ্রামের সৌন্দর্যের সাথে মিশে যেতে চায় ।

আর আজ গ্রামের এই অপরুপ দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে নিশ্চয়।

তাহলে আসুন দেখা যাক আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট।

প্রথম ফটোগ্রাফি

সুজলা সুফলা এই বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের প্রধান রুপ বৈচিত্র হলো ধান গাছ। গ্রামের মানুষেরা ধান রোপন করে, তার পরিচর্যা করে এবং একসময় সেই ধান ঘরে তোলে। তাই নানাবাড়ি ধানক্ষেতের দৃশ্য-আমার ক্যামেরাবন্দি না করে পারলাম না।সবুজ রঙের ধান ক্ষেতে ধান গুলোর মধ্যে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ধানের বীজ গুলো। এগুলো আবার ধান হয়ে কৃষকের ঘরে উঠবে।

IMG20220921171905_BURST001_COVER.jpg

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

বাংলার গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়ালে কতই না দৃশ্য চোখে পড়ে আমাদের। গ্রাম গঞ্জের একটি দৃশ্য হলো কলা গাছের বাগান। সারি সারি কলাগাছের বাগানে হাজারও কলার চাষ। কলা গাছ গুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় একেকটি গাছে তিন-চারটে কলার সারি ঝুলে থাকে।

IMG20220921172319.jpg

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় ড্রাগন ফলের চাষ এখন জমে উঠেছে। বেগুনি কালার টকটক ফলটি খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। গ্রামের চাষীরা অনেক সুন্দর ভাবে এবং যত্ন সহকারে ড্রাগন ফলের চাষ করে থাকে। তাই চলার পথে এই ড্রাগন ফলের বাগানের ছবিটি তুলতে ভুল করলাম না ।

IMG20220921180130.jpg

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

ঝিকরগাছা জেলা এখন হলুদ চাষের একটি অন্যতম এলাকা। এখানে প্রায় প্রতিটি ঘরেই হলুদ চাষ করা হয়। তাই মামার বাড়ির হলুদ চাষের বাগানের এই দৃশ্যটি আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। হলুদ গাছের পাতাগুলো বড় বড় এবং সবুজ আকার হয়ে থাকে।

IMG20220921172021.jpg

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

মামাবাড়িতে বিকেলে সূর্য ডোবার পূর্বে দূর-দূরান্তের গাছপালা এবং চাষীদের বাগানের ছবি টি আমি আমার ক্যামেরাবন্দি করতে ভুল করিনি। ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় সবুজ অরণ্যে ভরে আছে দুই প্রান্ত।আবার জালি দিয়ে ঘিরে রেখেছে নানা পদের সবজি বাগান কে। যা আমাদের গ্রাম গঞ্জের প্রকৃত দৃশ্য।

IMG20220921171743.jpg

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

এ ফুল গাছটার নাম হল সকাল সন্ধ্যা। এই ফুলটির বৈশিষ্ট্য হলো এই ফুলটি সকালে ফোটে আর সন্ধ্যায় ফুটে। সবুজ পাতার মাঝখানে ভিন্ন রংয়ের ফুল গাছটি দেখতে বেশ ভালই লাগছে।আর এ ফুল গাছের ছবি ও নেওয়া হয় ঝিকরগাছা থেকে।

IMG20220921174951.jpg

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

সপ্তম ও শেষ ফটোগ্রাফি

এই ফুলটিকে কেউ বলে গেইট ফুল আর কেউ বলে কাগজ ফুল। আগে ভাবতাম গ্রামে কোন সুন্দর দালান বাড়ি নেই। কিন্তু এই বাড়িটি সম্পন্ন ভিন্ন। ঝিকরগাছা উপজেলায় গ্রামের পরিবেশে শহরের আঙ্গিকে বানানো এ বাড়িটির গেইটে ছড়িয়ে থাকা এক ঝাঁক গেট ফুল বাড়িটির সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছে।

IMG20220921172553.jpg

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16

ফটোগ্রাফির বিবরন
ক্রমিকবিবরনপরিমান
1ডিভাইসOppo-A16
2ফটোগ্রাফার@maksudakawsar
3ভৌগলিক অবস্থানঝিকরগাছা উপজেলা,যশোর

সুজলা, সুফলা শষ্য শ্যামলা অপরুপ এ দেশের রুপ বৈচিত্র দেখতে হলে ঘুরে বেড়াতে হবে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে। বাংলার অপরুপ রুপ আজ আমায় মুগ্ধ করেছে। আজ আমি বাংলার গ্রামের কিছু বাস্তব চিত্র আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম মাত্র। আশা করি আমার মত আপনারাও মুগ্ধ হবেন।

ভাল থাকবেন , সুস্থ্য থাকবেন।

4bEjbgCbFMvA8T33kKpp3RsBvZue1Hns5Cwuz57pgmmNsNm69BvSk1AJmpxNTS4pL3vHiENLbAz3uRYvkzCHo62J16v8SBo7zpHgViW2yotwk1h5RE41hP2qzb7ELuJ3M646bDwEPdWALxxSwivrhMnjnGhcCBFuAKUHSjQuMNQZSJx9eV.gif

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovTUshBEnxRTgb9n2LUqHX7h1H2p2D18YQFUDgxbpg8bp7AxwH9vK7k1SRqaoEJbCQrboh4ga6xfDvigcW6zfkH8S.png

আমি মাকসুদা কাউছার। পেশায় একজন গৃহিনী ও চাকুরীজিবী। এরই মাঝে আমি আবার লেখালেখি করতেও পছন্দ করি। তাই আমার নিজের মনের আবেগ ও কথাগুলোকে সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করার জন্য আমার প্রিয় মাতৃভাষা বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালবাসি।বাংলা আমার মায়ের ভাষা।

pBMyo3B2Sao2EbuHAFTX1CNWMbam25xJGPs4sKmLS6XL7jPcLJ4PhfmbsQbXEmSBkiJH1y8vcCZLEDiVjH9fUC37Hpjmz6Czw4oJd4hidqWpdsEDnaUW3Rt3p3eTZGQkoiwZDyH4hdDt99wPqRBy3pVZE1qtEmMBB3MC4V4MJCpzUCii.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা গ্রাম বাংলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। গ্রামীণ পরিবেশে যখন সময় কাটানো হয় তখন যা কিছুই দেখি না কেন বেশ ভালো লাগে। আপনি আপনার নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটালে মানসিক প্রশান্তি আসে আর প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি চোখ ভরে দেখে নেওয়া যায়।

জি আপনি সত্যি বলেছেন গ্রামের পরিবেশ যখন সময় কাটানো হয় তখন যা কিছুই দেখিনা কেন বেশ ভালো লাগে।

আপু আপনার নানা বাড়ির গ্রামের দৃশ্য আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে।বিশেষ করে সবুজ ধনা ক্ষেত,ড্রাগন ফ্রুটস এর বাগান, সন্ধ্যা মালতি,গেট ফুলের ছবি এবং কলা গাছের ছবি ছিল। সব মিলিয়ে বেশ ভাল ও সুন্দর ফটোগ্রাফি ছিল। আপনি খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধনবাদ।

আপু আমার মনে হয় আপনি যদি আমার নানাবাড়ি যান তাহলে আপনার ফিরে আসতে যাবেন না এত সুন্দর এলাকা এত সুন্দর পরিবেশ

আসলে গ্রামের বাড়িতে গেলে এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার বিষয়বস্তুর অভাব হয় না।আর সত্যিই বলতে এগুলা আমার চিরচেনা দৃশ্য,কিন্তু কতদিন থেকে যে গ্রামে যাওয়া হয় নাই।ছবিগুলা দেখে সত্যিই দারুন লাগলো।

ভাইয়া গ্রামে যে ছবিগুলো তোলার লোভ সামলাতে পারেনি তাই দ্রুত আমি আমার ক্যামেরায় ছবিগুলো তুলে দিয়েছি এরকম আরো অনেক ছবি তুলেছি

আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামের পরিবেশ, প্রকৃতি ও রুপ বৈশিষ্ট প্রতিটিই যেন মানুষের মনকে নাড়া দিয়ে যায়। মানুষ প্রকৃতির টানে, নাড়ির টানে আর ভালবাসার টানেই সেই গ্রামের সৌন্দর্যের সাথে মিশে যেতে চায়। আমার তো সবসময় ইচ্ছা করে এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন আপনি যা দেখে মুগ্ধ হলাম।

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে সুন্দরভাবে পড়ার জন্য। গ্রামে প্রকৃতির যে বৈশিষ্ট্য তা লিখে শেষ করা যাবে না। আমরা ভুলে যাই আমাদের প্রত্যেকের শিকড়ে কিন্তু গ্রামে।

আপনি আজকের পোস্ট খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে আপনার আজকের পোস্টে কৃষকের সোনালী ফসল ধান সাথে হলুদের ক্ষেত কয়েক রকমের সুন্দর ফুলসহ দারুন ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থাপন করছেন আজকের পোস্ট। পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা মন মুগ্ধ করে তুলেছে আমার।

ধন্যবাদ ভাইয়া। আসল মামা বাড়ি বেড়াতে গেলাম তো,তাই মামাবাড়ীর কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।