সমাজের অসহায় মানুষের শপিংমল

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালই আছি। তবে হঠাৎ করে জীবনের দিনগুলো কেমন জানি হয়ে গেল।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলতে হলে আমাদের অনেক কিছুই কেনা কাটা করতে হয়। দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে হলে আমাদের কে প্রতিদিন না হউক সপ্তাহে বা মাসে একবার হলেও শপিং মলে যেতে হয়। সমাজের উচু শ্রেণীর মানুষের যেমন আছে বড় বড় শপিংমল তেমনিভাবে সমাজের নীচু শ্রেণীর মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্যও রয়েছে রাস্তার ধারে বসা কিছু দোকানপাট। আর সমাজের নীচু শ্রেণীর লোকেরা এসব দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে মেটায়। বন্ধুরা আজ আমি সমাজের নীচু শ্রেণীর অসহায় মানুষগুলোর জন্য নির্মিত তেমন একটি শপিংমল নিয়ে আলোচনা করবো।

সমাজের অসহায় মানুষের জন্য নির্মিত শপিংমল (1).png

ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar

প্রতিদিন বিকেল ৫.০০টা হতে রাত্র ১০.০০ পর্যন্ত চলে এই শপিংমল। দলে দলে অনেক লোক জন এখানে ভিড় জমায় তাদের প্রিয় কিছু কেনাকাটা করার জন্য। তাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু প্রয়োজন তাই তাই তারা কেনাকাটা করে। এসব কেনাকাটার ফলে দরিদ্র ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হন তেমনি করে অসহায় মানুষগুলোও তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দের জিনিস পত্র কিনতে পারে।তবে দরিদ্রদের শপিংমল হলেও এখানে যে শুধু দরিদ্ররা আসে তা কিন্তু নয়। অনেক ধনীর দুলালীরাও আসে এখানে শপিং করতে।

image.png

image.png

image.png

আমি যদিও ধনীর দুলালী নয়। বা হত দ্ররিদ্রও নয়। তবুও আমি সেদিন গিয়েছিলাম এই মজার শপিংমলে। সেখানে যেয়ে দেখি রেইললাইনের ধারে এই শপিংমলটিতে রয়েছে থ্রিপিস, গজকাপড়, জুতা, কম্বল ।সবাই যার যার পছন্দ মত জিনিস কিনে নিচ্ছে। সেখানে এত ভিড় পা ফেলার যেন জায়গা নেই। তবে এখানে যেয়ে দেখলাম ভাল ভাল কিছু জুতা আর থ্রি-পিস বিক্রি করা হচ্ছে। যেগুলো যে কেউ অনায়াসে কিনে রাফ ব্যবহার করতে পারবে। আমি কিন্তু ব্যবহার করার জন্য দুই জোড়া স্যান্ডেল কিনে নিয়েছিলাম।

image.png

image.png

image.png

image.png

image.png

তারপর আরও কিছুটা সময় এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। বুঝলাম পা ফেলে যেন ঘুরার উপায় নেই। কিন্তু আমার বেশ ভালই লাগছিল। বেশকিছুটা সময় ঘুরতে ঘুরতে আরও কিছু দোকান পেয়ে গেলাম। এবার গেলাম কসমেটিকস, মোবাইল এক্সেসরিজ আর হাড়িপাতিল এর দোকানে। গেলাম কসমেটিকস এর দোকানে। সেখানে যেয়ে দেখলাম মামার কাছে বেশ সুন্দর কিছু ছোট ছোট কসমেটিকস আছে। যে গুলো বড় কোন শপিংমলে গেলেও পাওয়া যাবে। কিন্তু দামটা মনে হয় সেই রকমের ই। দামাদামি করে কিনে নিলাম দুই জোড়া।

image.png

image.png

image.png

এরপর চোখ গেল খাবারর দোকানের দিকে। চেয়ে দেখি ভ্যানে করে বিক্রি করছে ছেলেবেলার সেই কটকটি আর আমার প্রিয় পানিপুড়ি। যদিও এসব জায়গায় খাওয়া ঠিক না। কিন্তু অস্থির মনটা যেন মানতে চাইলো না। প্রথমে মিষ্টি জাতীয় জিনিস খেয়ে নিলাম। তারপর ঝাল ঝাল পানিপুড়ি দুই প্লেট খেলাম। সবকিছুই কিন্তু বেশ মজাদার ছিল।

image.png

image.png

image.png

image.png

তবে একটি কথা না বললেই না। আমরা তো সারা জীবন শুধু বড় বড় শপিংমল গুলোতে ঘুর বেড়িয়েছি। কিন্তু এসব দরিদ্রদের শপিংমলে একবার ঘুরে আসলে যে কি প্রশান্তি পাওয়া যায় তা বুঝিয়ে বলা মুশিকিল। এক অন্যরকমের ভাল লাগা কাজ করে মনের ভিতর। মনে হয় আসলে আমি একজন সত্যিকারের মাটির মানুষ।

কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্ট ? জানার অপেক্ষায় রইলাম।

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

@maksudakawsar

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

আসলে প্রয়োজনেই এসব দোকানপাট গড়ে উঠেছে। সাধারন মানুষের পক্ষেতো আর বড় বড় শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব নয়। আমারো মাঝে মাঝে এই সব জায়গায় ঘুরতে বেশ লাগে। ধন্যবাদ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকেও। খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি হয়তো মেলায় ঘুরে ঘুরে করতে গিয়েছেন। পরে দেখি আপনি দরিদ্র মানুষদের সেই দোকানের বিষয়ে লিখেছেন আসলে আমরা সবাই সব সময় বড় বড় শপিংমলে যাই কিন্তু এরকম দোকান গুলোতে কি রকম শান্তি পাওয়া যায় গেলে তা একেবারেই বুঝিনা। যারা গরীব তারা তাদের মনের মত করে কেনাকাটা করতে পারে এরকম দোকান গুলোর থেকে। যাইহোক সম্পূর্ণ বিষয়টা ভালই ছিল।

এসব দোকান থেকে কেনাকাটার মজাটাই আলাদা।

আসলে সমাজের অসহায় মানুষেরা এরকম দোকান গুলোর থেকে কেনাকাটা করে থাকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো। সব মানুষরা তো আর বড় বড় শপিংমল গুলো থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারবে না। আমি মাঝেমধ্যে এরকম জায়গা গুলোতে গিয়ে থাকি সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। এমনিতে যদিও রাস্তার পাশ থেকে এরকম খাওয়া দাওয়া করা উচিত না কিন্তু মাঝেমধ্যে খেয়ে থাকি আমি ভীষণ ভালো লাগে। যাই হোক আপনার আজকের লেখার টপিক কিন্তু বেশ ভালোই ছিল।

আিম আবার গেলেই সব সময়ই খাই। আমার বেশ ভালই লাগে।

সমাজে আর দশটা মানুষের মতো তো সবার এতটা সামর্থ্য নাই। কিছু কিছু মানুষকে এই ধরনের শপিং মলে শপিং করতে হয়। আমিও মাঝেমধ্যে এই ধরনের শপিং মলে যাই বলতে দ্বিধা নেই। এই ধরনের শপিংমলেও কিছু জিনিস চোখে পড়ার মত থাকে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

হুম এধরনের মেলায় ঘরের অনেক টুকিটাকি পাওয়া যায়।

সত্যি বলতে কি মানুষ কোন না কোন দিক থেকে অসহায়। তাই সর্ব শ্রেণীর মানুষকে সম্মান জানানো আমাদের উচিত। হয়তো আমাদের হাতে টাকা থাকলে দাঁতের সাথে বড় কোন শপিংমলে উঠে কেনাকাটা করতে চাই। আবার অনেকেই রয়েছে যে শ্রেণীর মানুষ না তার চেয়ে বড় কিছু ভান ধরে। তবে ধনী পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নিম্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কাছে গেলে পারে ই বাস্তবতার এক দৃষ্টান্ত রূপ খুঁজে পাওয়া যায়। আপনি যে রেল স্টেশনের পাশে দোকান ঈদের কাছে প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে গিয়েছিলেন বড় শপিংমলে যা পাওয়া যায় এখানেও তাই পাওয়া যায় তবে বড় শপিংমলে গেলে নিজের মনে হয় যেন মান থাকে আর এখানে গেলে মান থাকে না এমনটা অনেকে ভেবে বসে কিন্তু সেটা পুরোটাই ভুল। যাইহোক এমন জায়গা থেকে আমিও কেনাকাটা করি এবং তারা খুব সুন্দর ব্যবহার করে থাকে এমনকি শপিংমলে প্রত্যেকটা দ্রব্যের মূল্য বেশি বলে বসে আর এরা কিন্তু অল্প লাভেই দ্রব্য বিক্রি করে থাকে। আর এদের মাঝে যেন নিজের প্রাণ ফিরে পাওয়া যায় সুন্দর ব্যবহার ও কথাবার্তার মধ্যে।

ঠিক কথা এখানে অনেক কম দামে ভাল কিছু পাওয়া যায়