ভালবাসা আর আনন্দের ছোঁয়ায় কাটানো কিছু মুহূর্ত

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

আজ বৃহস্পতিবার, ২৯ই ডিসেম্বর ২০২২ ইং
বাংলা ১৩ই পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

হ্যালো, বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা বেশ ভালই আছেন। আমিও বেশ ভাল আছি। তবে বেশ ব্যাস্ততম সময় পার করতে হচ্ছে। যেন নিশ্বাঃস ফেলার সময় নেই।

বেশ কিছুদিন যাবৎ বেশ ব্যস্ততাময় সময় আমাকে পার করতে হচ্ছে। তার কারন হয়তো আপনাদের অনেকেই জানেন। প্রতি বছর শীতের এই সময়টাতে আমার ঘরটা থাকে লোকে লোকে ভরপুর। তাই শীতের এই সময়ে যে কোথাও একটু বেড়াতে যাবো তা আর হয়ে উঠে না। প্রতি বছরই শ্বশুড়ী আগের থেকেই এই সময়টাতেই একটা বুকিং দিয়ে রাখে। কারন এ সময়ে সব বাচ্চাদের স্কুল কলেজ আবার বন্ধ থাকে নাকি তাই। যাই হোক এবার দুই নোনাস, তাদের সাথে আবার চারজন ভাইগ্না ভাগ্নি, শ্বাশুড়ী সবাই একসাথে বেড়াতে আসলো। তবে এবার বেশ কিছুটা সময় কাটাবে বলে ঢাকায় আসা। যাই হোক তাদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করতেই আমার এক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। বাজার সদাই হাবি জাবি আরও কত কি? অবশেষে চলে আসলো সেই মহেন্দ্র ক্ষন। শ্বাশুড়ী বলে কথা । সব কিছুতেই ভয়।

সামাজিক, নৈতিক নাকি আমার অবক্ষয় (4).png

ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar

সবাই চলে আসলো কি যে, এক এলাহী কান্ড। দুই নোনাসের ছোট ভাই বলে কথা। ভাইয়ের জন্য মনে হয় দুনিয়াটাই সেই তুলে নিয়েে এসেছে । এতগুলো ব্যাগ উপরে তুলতেও যেন সবাই হাপিয়ে গেল। আমার যে তখন কি ভাল লাগা কাজ করছে। আর শ্বশুড়ীর ছেলে তো মহা খুশি। সবাই ঘরে ঢুকে কোন রকমে একটু হাতমুখ ধুয়ে নিলো আর বসে গেল ভাইয়ের সাথে আড্ডায়। একটু পর পর ভাইকে তার প্রিয় পিঠা আর পায়েস জোড় করে করে খাওয়াচ্ছে। আমিও কিন্তু বাদ যায়নি। বেশ ভালই লাগছিল শীতের সেই পিঠা।

image.png

image.png

image.png

[ছবি সোর্স] ‍(অপো-এ১৬)
capture- @maksudakawsar

কিছুক্ষন পর পোলাপাইন পিচ্চি পাচ্চা আবদার করলো তারা হালিম খাবে। আর কি মামা আর ভাইগ্না ভাগ্নিদের শুরু হয়ে গেল হই হল্লোর। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল ঘরে না তালতলা মার্কেটে যেয়ে তারা হালিম খাবে। আর নোনাসরাও বলল যে তারা সব রান্না করে এনেছে আজ আর রান্না করার দরকার নেই। আমাকেও তাদের সাথে যেতে হবে। তাই আমিও চলে গেলাম তাদের সাথে তালতলা মার্কেটে হালিম খাওয়ার আনন্দে সামিল হতে। কি আর বলব এতগুলো মানুষ তিনটা অটো নিতে হলো। তবে সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মজাই আলাদা। যদিও গরচাটা আমার গেছে। কিন্তু কি আর করার আনন্দ বলে কথা।

image.png

image.png

[ছবি সোর্স] ‍(অপো-এ১৬)
capture- @maksudakawsar

রাতে বাসায় ফিরে আর কিসের খাওয়া দাওয়া রাত দুটা পর্যন্ত চলে টিভি দেখা, গল্প, আর গানের আড্ডা। আমার ছোট নোনাসের গানের কন্ঠ তো বেশ সু্ন্দর। সে শোনালো কয়েকটি গান। আর আমাকেও ছাড়লো না। গান শোনানোর জন্য। ঘরের মধ্যে হই চই চিল্লা চিল্লি আরও কত কি। নোনাসের ভাই তো আনন্দে আত্মহারা। আর আমার তো শুধু চা বানাতে বানাতে জীবন শেষ। কি যে অবস্থা ছিল সেদিন এর সেই আনন্দ ঘন সময়টুকু। অবশেষে নোনাসদের আনা বাকী উপহারের ব্যাগগুলো থেকে আস্তে আস্তে সব বের করা হলো। আর সব উপহারের মধ্য হতে সবার পছন্দ মত ফলমুল আর মুরগীর ঝাল মাংস ও রোস্ট বের করা হয়েছিল রাতের খাবারের জন্য। পরে আনন্দ নিয়ে পেট ভোরে খাওয়া দাওয়া করে ভোর ৪ টায় সবাই ঘুমের জন্যায বিছানায় যায়।

image.png

image.png

[ছবি সোর্স] ‍(অপো-এ১৬)
capture- @maksudakawsar

সেই রাতের আনন্দের পরও আরও অনেক আনন্দ আছে। যেগুলো একদিনে প্রকাশ করা যাবে না। তাই আমার শীতের আনন্দের সবটুকু জানার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।

কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে ভালবাসা আর আনন্দের ছোঁয়ায় কাটানো কিছু মুহূর্ত ? জানার অপেক্ষায় রইলাম।

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

@maksudakawsar

image.png

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

বেশ ভালই তো সবাই মিলে আড্ডা হচ্ছে। পরিবারের সবাই একসাথে আপনার বাসায় এসেছে শুনেই বেশ ভালই লাগছে। আর এটা ঠিক বলেছেন শীতের বন্ধে এবং বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকলে সবাই নিজেদের বাবার বাড়িতে গিয়ে সময় কাটাতে পারে। আমরাও গত কিছুদিন আগে আমার নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার খালামণিরা সবাই এসেছিল। সেদিন বেশ মজাই হয়েছিল। যদিও একদিনের জন্য সবাইকে গেছে। কিন্তু আনন্দে ভরপুর ছিল সেদিন।আপনার বাকি দিনগুলোর আনন্দঘন মুহূর্ত পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

বাসায় মেহমান আসলে বেশ ভালই লাগে।

ছেলের প্রতি মায়ের, বোনের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা আজীবন থাকবে। আর একসাথে এতগুলো মেহমান সত্যিই অনেক বেশি ছিল আনন্দটা। কথা বলতে বলতে কখন জানি হারিয়ে গিয়েছিলাম আপনার আনন্দ মিছিলে। যদি সে আনন্দে শামিল হতে পারতাম সত্যি অনেক ভালো লাগতো। পরবর্তী আনন্দ গুলোর অপেক্ষায় থাকলাম, আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

যাক আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনি কিছুক্ষণের জন্য আনন্দ মিছিল হারিয়ে গিয়েছিলেন এটা যেন বেশ ভালই লাগলো।