প্রাণ প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর ও সকল স্তরের ব্লগার ভাই ও বোনদের কে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা এবংঅভিনন্দন।

বর্তমান বিশ্বের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, মানুষ আজ নিজেকে নিয়ে ব্যাস্তময় জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। পারিবারিক বন্ধনগেুলো আজ হয়ে পড়েছে বাধঁন হারা। মানুষ এক অজানা হাতছানির দিকে ছুটে চলছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে আর নিজেকে নিয়ে ব্যাস্তময় জীবন ধারনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ায় সম্পর্ক গুলো ঘুনে ধরে গিয়েছে। আমাদের অজাচিত ও অনাকাঙ্খিত চাওয়ার কারনেই আজ পারিবারিক বন্ধনও ভেঙ্গে যাচ্ছে এক এক করে।

সুপ্রিয় বন্ধুগন আজ আমি আপনাদের মাঝে তেমন একটি গল্প নিয়ে আসসালম, যা আপনাদের কে নিয়ে যাবে এক বাস্তব জীবনে। আশা করি আমার আজকের পারিবারিক গল্পটি আপনাদের মনে সামন্য হলেও দাগ কাটবে। পারিবারিক সংঘাত নিয়ে আমার আজকের গল্প।চলুন তাহলে শুরু করা যাক-

রহমান সাহেব একটি সরকারি অফিসের কেরানীর চাকুরী করতেন। পরিবারে তার পাঁচ ছেলে আর এক মেয়ে। সরকারি চাকুরীর পাশাপাশি বিকেল টুকটাক ব্যবসাও করতেন। চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করেন আজ প্রায় তিন বছর। সঞ্চয় বলতে দুই কাঠা জমির উপর তিন তলা একটি বাড়ী।বাড়িটিতে প্রতি তলায় তিনটি করে রুম। তাও আবার ছেলে মেয়েরা সবাই আলাদা আলাদা ঘরে থাকেন। ও আর একটি কথা রহমান সাহেব কিন্তু দুই বিয়ে করেছেন। এই যে তার পাচঁ ছেলে আর এক মেয়ে তারা কিন্তু তার দুই পক্ষ মিলিয়ে। তার বড় বউ মারা গেছেন আজ প্রায় বার বছর হলো।

একটি মাত্র মেয়ে খুব ভাল পরিবার দেখে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে মামুন সোনালী ব্যাকের প্রিন্সিপাল অফিসার। মেজো ছেলে লাভলু সরকারি অডিট অফিসার। সেজো ছেলে লিটন সে আবার রাজনীতি করেন। চতুর্থ ছেলে রাজু সে বাড়ীর পাশেই লাইব্রেরী, পঞ্চম ছেলে সোহেল একজন আইনজীবি। আর ছোট ছেলে জুয়েল সে হলো ভবঘুরে। নেশা করে বেড়ানো তার স্বভাব।

রহমান সাহেব সব সময় তার সন্তানদের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করেন। এই ধরেন টিভিতে ফুটবল খেলা হচ্ছে বাড়ীর সবাই একত্রে বসে রাত দুই তিনটা পর্যন্ত খেলা দেখে আর হৈ হৈলোর করে সময় পার করে দেয়। এভাবেই যাচ্ছিল তাদের জীবন। পরিবারে দুই ছেলের বউ আর বাকী সদস্যদের নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন চলে যাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ একদিন রহমান সাহেব মৃত্যুবরন করেন।