আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করবো সবাই ভালো আছেন সৃষ্টিকর্তার রহমতে । আমিও আছি আপনাদের দোয়ার বরকতে জীবন নিয়ে ভালোই। দিন যায় কথা থাকে। দিন কিন্তু সত্যি সত্যি চলেই যাচ্ছে। চলে যাচ্ছে সময়। সময় কখন আসে আর কখনই বা যায় সেটা টেরই পাই না। তাই ব্যস্ততার পরিমানও দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে। আজকাল যেন জীবনের সাথে যুদ্ধ করেই জীবন পার করতে হচ্ছে। তবুও সময় করে বসে পড়লাম আপনাদের জন্য একটু লেখালেখি করার জন্য। আমি আশা করি আজকের ব্লগ আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো ভালো ব্লগগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ছেলেবেলা আমাদের সবার জীবনেই একটি স্বর্ণ যুগ। সে সময় না ছিল কোন রকমের চিন্তা ভাবনা, আর না ছিল কোন রকমের দায়িত্ব। খেলার ছলেই কেটে যেত আমাদের সময় গুলো। ছেলেবেলার কাদাঁমাটিতে গড়িয়ে বেড়ানো সেই সমস্ত খেলাগুলো যেন আজও আমাদের কে পিছু ডাকে বারে বারে। বারে বারে মনে হয় যদি আর একবার ফিরে যেতে পারতাম সেই ছেলেবেলার দাবড়ে বেড়ানো সময়গুলোতে। তাহলে হয়তো বেশ ভালোই হতো। আজও বার বার মনে পড়ে ছেলেবেলার সেই সমস্ত খেলাগুলোর কথা। কতই না ঝগড়া হতো সেই খেলা গুলো করতে গিয়ে। আজ সেই সমস্ত খেলা হতেই কিছু খেলার কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাচ্ছি। আশা করি ছেলেবেলার খেলাগুলোর সাথে আপনাদের অনেকের খেলার সময় মিলে যাবে। আর আপনাদের কাছেও আমার আজকের পোস্টটি বেশ ভালো লাগবে।
ছেলেবেলার এই খেলাটির সাথে হয়তো অনেকেই পরিচিত্। কাঁদা মাটি দিয়ে সুন্দর করে গোল গোল পাতলা থালা বানিয়ে সেগুলোকে মাটিতে আছড়ে ফেলতাম। আর বলতাম- চাটি না মাটি? যদি সেই মাটির থালাটি মাটিতে আছাড় খেয়ে মাঝখান থেকে ফুটো হয়ে যেত তাহলে আমি জিততাম। না হলে অপর পাশের মানুষটি আবার ফুটাতো। হি হি হি। কি যে মজার খেলা ছিল এই খেলাটি।
হি হি হি। আমার তো মনে হয় এই খেলাটি চিনেনা তেমন কেউ নেই। মেয়েদের পাশাপাশি অনেক ছেলেদের কাছেও এই খেলাটি বেশ পরিচিত। এখানে দুটো দল থাকে। একদল যারা বৌ কে ছুঁতে যায়। আর একদল যারা কিনা বউ কে ছুঁতে দিবে না বলে দাঁড়িয়ে থাকে। আর এমন সময় বৌ ছুতেঁ যাওয়া মানুষটি কে জুড়ে জুড়ে সুর করে করে আওয়াজ করতে হয়তো। যদি দম ছেড়ে দিতো তাহলে সে ডিস কোয়ালি ফাইড। আর যদি ঐ দলের সবাই কে দূরে সরিয়ে বৌ নিয়ে আসতে পারতো তাহলে তারা বিজয়ী। আমার মত করে কে কে খেলেছেন এই খেলা।
শৈশবের রোজার দিনের সবচেয়ে প্রিয় একটি খেলা ছিল। কত যে এই খেলাটি খেলেছি। আমাদের বাসায় ছোট একটি ক্যারাম বোড ছিল। তাই সম বয়সী অনেকেই আসতো সেই ক্যারাম বোড খেলার জন্য।আর আমি ছিলাম বড়ই চোর। বার বার চুরি করে রেড হাত দিয়ে ফেলে দিতাম। মাঝে মাঝে অবশ্য এটা নিয়ে ঝগড়াও লেগে যেত। তো আমার মতো কি আপনারাও এই রেড জুটি করতেন?
এই খেলা খেলার জন্য চারজন লাগতো। আর খেলার ফলাফল লেথার জন্য একটি খাতা রাখা হতো। তারপর চারচি চিরকুট নিয়ে একটিতে লেখা হতো চোর-৪০, পুলিশ-৮০. ডাকাত-৬০ এবং দারোগা-৯০। একজনের হাত দিয়ে সেই চিরকুট গুলো এলো মেলো করে ফেলা হতো। তারপর চারজন চারটি চিরকুপ নিতো। যে দারোগা পেত সে চুপ করে বসে থাকতো। যে পুলিশ হতো তাকে খুঁজে বের করতে চোর আর ডাকাত কে। যদি খুঁজে পেত তাহলে তার ঝুড়িতে হাতো ৮০, চোর বা ডাকাত যাকে খোঁজা হতো তাকে যদি ধরতে পেত সে পেত ০০। আর না পারলে পুলিশ পেত ০০। এই খেলায়ও অনেক চুরি করেছি। নিজের ঝুড়িতে দারোগা রাখার জন্য কতই না ফন্দি করতাম। হি হি হি
এই খেলায় অব্বু দশ বিশ করে গননা করা হতো। তারপর যার ভাগ্যে পড়তো তাকে একপাশে চোখ বন্ধ করে বসিয়ে দেওয়া হতো। আর উপর পাশে যারা বসা থাকতো তারা একজন একজন করে কপালে টোক্কা দিয়ে যেত। চোখ বুঝে থাকা মানুষটি যদি বুঝতে পাড়তো যে কে টোক্কা দিয়েছে তাহলে তার নাম বলে দিতো। আর নাম বলে দিলেই টোক্কা দেওয়া মানুষটি ডিস কোয়ালিফাইড। এই খেলায়ও অনেক দুই নম্বরই করা যেত। মানে টোক্কা একজন দিয়ে আর একজন কে এনে সামনে দাঁড়িয়ে করা হতো।
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের শৈশবের খেলার স্মৃতিগুলো? আশা করি আপনাদের ও কিছুটা সময়ের জন্য ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আজ আর নয়। ভালো এবং সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 6/8) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছেলেবেলায় কাটানো সময়টা সত্যিই আমরা প্রতি সময়ে ভীষণ মিস করি। আসলে সেই সময়টায় না ছিল কোন চিন্তা আর না ছিল জীবনের সঙ্গে লড়াই। তাই খুব সুন্দর ভাবে আমাদের শৈশব টা কেটে গেছে। আপনি এই পোস্টে যেভাবে শৈশবের প্রত্যেকটি খেলা সম্বন্ধে বিশদে বর্ণনা করেছেন টা খুব ভালো লাগলো। এই পোস্টটি পড়তে পড়তে আমারও শৈশবের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit