আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? মহান আল্লাহুর কাছে দোয়া করি, যে যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন এবং নিরাপদে থাকেন। এখন তো আমাদের ভালো থাকাটাই বেশ কষ্টের হয়ে গেছে। শত চেষ্টা করেও আমরা ভালো থাকতে পারছি না। চারদিকের যে পরিস্থিতি তাতে এখন ভালো থাকাটা আর আমাদের উপর নির্ভর করে না। তবুও সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েই আমাদের ভালো থাকার চেষ্টা করে যেতে হবে। তৈরি করে নিতে হবে নিজেদের কে নিজেদের মত যুগের উপযোগী করে। আর তাই তখনই আমরা ভালো থাকতে পারবো।
প্রিয় বন্ধুরা আমি সব সময়ই চেষ্টা করে যাচিছ যে আপনাদের কে কিছুটা ভিন্ন রকমের কিছু উপহার দিতে। নিজের ব্যক্তি জীবনে একজন চাকরিজীবি হয়েও আপনাদের সাথে কাজ করে যেতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আর তাই তো সব সময়ই শুধু ভাবনায় থাকি নতুন কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। আর তাই তো আজ আবার নতুন রূপে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের জিহবার স্বাদ টা একটু বাড়িয়ে দিতে। তবে হ্যাঁ আমি খেয়ে দেয়ে আমার জিহবার স্বাদ মিটিয়েছি। আর আপনারা চাইলে আমার ব্লগ দেখে দেখে আপনাদের স্বাদ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
খাওয়া দাওয়ার স্থান | খিলঁগাও তালতলা সিটি কর্পোরেশন মার্কেট |
---|---|
খাবারের ম্যানু | ফাস্ট ফুড |
স্থান | খিলঁগাও তালতলা সিটি কর্পোরেশন মার্কেট। |
ধরন | ফুড রিভিউ |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
বাসার বেশ কাছেই তালতলা সিটি সুপার মার্কেট। প্রায় সন্ধ্যায় এখানে যাওয়া হয়। কারন বেশ মুখোরোচক খাবার এখানে পাওয়া যায়। পুরো মার্কেটের রাস্তায় সন্ধ্যায় বসে নানা রকমের ফাস্ট ফুডের খাবারের দোকান। অনেক দূর দূরান্ত থেকে এখানে মানুষ ছুটে আসে এসব মুখোরোচক খাবার খাওয়ার জন্য। সত্যি বলতে কোন দোকান থেকে কোন দোকান যেন কম নয়। বেশ ভালো এবং সু স্বাদু খাবার এখানে পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি অন্যতম হলো চিকন চিকন জিলাপি। গরম গরম এই জিলাপি গুলো বেশ সুস্বাদু। একবার খেলে যেন বার বার খেতে ভালো লাগে।
এখানের স্ট্রিট ফুড গুলোর কিন্তু কোনটা থেকে কোনটাই কম স্বাদ নয়। দোকান গুলো তে পাল্লা দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন রকমের ভাজা পোড়া ফাস্ট ফুড। যার মধ্যে রয়েছে কলজি সমুচা, ক্রিসপি চিকেন, ভেজিটেবিল রোল এবং চিকেন বার্গার। অবশ্য আমি যেখানেই এই ফাস্ট ফুড গুলো খাই না কেন, আমার মনে হয় তালতলার মত এত স্বাদের এ সমস্ত ফাস্ট ফুড অন্য কোথাও তৈরি করতে পারে না। তাই তো বার বার ছুটে যাই এখানে এসব মুখরোচক খাবার খাওয়ার জন্য। তবে এগুলোর মধ্যে কোনটার চেয়ে যেন কোনটা কম স্বাদের নয়। আর দামেও বেশ কম। ফাস্ট ফুড গুলোর মধ্যে আমার কাছে বেশী ভালো লাগে চিকেন বার্গার। আপনাদের কোনটা জানাবেন কিন্তু।
মার্কেটটির বেশ কোনায় একটি দোকান আছে যেখানে গেলে বেশ মজার ঝাল মুড়ি পাওয়া যায়। ত্রিশ টাকা প্লেট এই ঝালমুড়ির মধ্যে তো আলুর চপ, পেয়াঁজু ছোলা দেওয়া হয়। কিন্তু আমার মনে হয় এমন কোন মসলা দেওয়া হয় যেটা এই ঝাল মুড়ির স্বাদ অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। শুধু আমরা নয় অনেক মানুষ এখান এসে ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য লাইন লাগিয়ে দেয়। বিশ্বাস না হলে একবার এসে দেখতে পারেন।
কয়েক মাস যাবৎ মার্কেটটির মধ্যে এক মজাদার আইসক্রিমের কিছু দোকান গড়ে উঠেছে। যেখান থেকে একবার আইসক্রিম খেলে বার বার যেতে মন চাইবে। সেই ছেলেবেলা হতে আইসক্রিম কিন্তু আমার বেশ প্রিয়। আর এই প্রিয় জিনিসের নতুন দোকান দেওয়ার কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। তাই নতুন অবস্থায় আইসক্রিম খাওয়ার ফিদা হয়ে গেলাম একবার খেয়েই। দাম ও কিন্তু হাতের নাগালে।
আজকের সর্বশেষ ফুড রিভউটি হলো পানিপুরি নিয়ে। মার্কেটের সিঁড়ির নীচে এক মামা বসেন পানি পুরি নিয়ে। আমি তালতলায় গেলে মামার দোকানের পানিপুরি না খেয়ে বাসায় ফিরি না। কারন মামার দোকানের পানিপুরির জুড়ি মেলা ভাড়। ঝাল ঝাল এমন মজাদার পানিপুরি যেন আমায় বার বার টেনে নিয়ে যায় সেই পানি পুরি মামার দোকানে। আর একবার গেলে কিন্তু দুই প্লেটের নীচে খাওয়া হয় না। স্বাদে গুনে ভরপুর মামার সেই বিখ্যাত পানিপুরি।
মার্কেটের স্ট্রিট ফুড গুলো এত সুস্বাদু যে আপনি কিন্তু দাঁড়ানোর জায়গাই পাবেন না। মানুষ মানুষের মাথা খায়। প্রতিটি দোকানের প্রতিটি খাবারই বেশ স্বাদ করে তৈরি করা হয়। কারন এখানে অনেক অনেক দোকান থাকায় প্রতি সন্ধ্যায় দোকানদার দের মধ্যে একটি নীরব কনটেস্ট চলে। তবে খুব তাড়াতাড়ি মার্কেটে প্রবেশ করা না গেলে স্বাদে ভরা এসব খাবার মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। তবে এসব খাবারের মান উন্নয়নে আরও বেশী পরিচ্ছন্ন পরিবেশ প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাছাড়া এক কথায় দূর্দান্ত প্রতিটি খাবার।
আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ভিন্ন রকমের ব্লগটি? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন। |
---|
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি যে খাবারগুলোর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন, ওইগুলো প্রত্যেকটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি অনেক সুন্দর করে লোভনীয় এবং মজাদার খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। এই সকাল সকাল আপনার খাবারের ফটোগুলো দেখে ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে ফেলি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আমি ফটোগ্রাফি করিনি তো। আমি তো খাবারগুলো রিভিউ করেছি। ধন্যবাদ সকাল সকাল সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার রিভিউ পোস্ট টা দেখে এই দুপুরবেলায় আবারো খিদে লেগে গিয়েছে। যদিও কিছুক্ষণ আগেই খাওয়া-দাওয়া করা শেষ। এরকম মজার মজার খাবার যদি তুলে ধরা হয় রিভিউর মাধ্যমে, তাহলে ইচ্ছে করবে একসাথে সবগুলো খেয়ে ফেলি। এখানে থাকা প্রত্যেকটা খাবার আমার অনেক প্রিয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জানা রইল যে আপনার সব খাবার প্রিয়। কখনও দেখা হলে অবশ্যই ট্রিট পাবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Tweeter
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit