আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া আর ভালবাসায় বেশ ভাল আছি। আমি @maksudakawsar। আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আর একজন নিয়মিত ইউজার হিসাবে আমি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে নতুন নতুন বিষয় গুলো উপস্থাপন করতে বেশী পছন্দ করে থাকি।
মানুষের জীবনটা অনেক বিচিত্র। কখনও হাসি, কখন কান্না এই নিয়েই মানুষকে পার করতে হয় জীবনের বেশীর ভাগ সময়। জীবনে চলার পথে মানুষ কখনও কখনও হয়ে হতাশাগ্রস্থ বা অস্থির। কোন কিছুতেই যেন মনটা শান্ত হতে চায় না। হতে পারে সেটা কোন কারনে। আবার হতে পারে সেটা অকারনে। আর এই সময়টা একটি মানুষকে করে তোলে অনেক অশান্ত। কিন্তু এমন অশান্ত হলে তো আর চলবে না। মানুষ কে সকল অস্থিরতা কাটিয়ে উঠে নিজেকে শান্ত রেখে এগিয়ে যেতে হবে আগামীর পথে।
বন্ধুরা আমরা যখন অস্থির হয়ে পড়ি বা আমাদের মনটা কোন কারনে অশান্ত হয়ে পড়ে। তখন যদি আমরা একটু নিজেদের কে পরিবর্তন করে চলতে পারি। অথবা নিজের প্নিরতিদিনের রুটিনটি একটু পরিবর্তন করে নেই, তবেই হয়তো আমারা আমাদের অস্থিরতা থেকে নিজেকে কিছুটা মুক্ত করতে পারবো। আর তাই তো আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু টিপস্ শেয়ার করবো। যে গুলো আপনাকে আপনার অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করবে। চলুন তো দেখে আসি সে সমস্ত টিপস্ গুলো।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
মাঝে মাঝে যখন আমাদের মনটা যখন হয়ে পড়ে অস্থির বা অশান্ত তখন নিজেকে শান্ত করার জন্য আমরা ২০-৩০ মিনিট কোন খোলা মেলা রুমে বা খোলা আকাশের নিচে বসে একটু ধ্যান বা মেডিটেশন করে নিতে পারি। একটি মজার বিষয় হলো মেডিটেশনে কিন্তু নিজেই নিজের দুনিয়ার রাজা এখানে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। তাই একান্ত নিজের মত করে প্রাণবন্ত থাকার মেডিটেশন করে নিতে পারেন।
অত্যান্ত মন খারাপ থাকলে বা অস্থির লাগলে করা যেতে পারে ব্রেথিং বা শ্বাস-প্রশ্বানের ব্যয়াম। ধীরে ধীরে নাক দিয়ে দম নিয়ে মুখ দিয়ে সেই দম ছাড়লে কিন্তু আমাদের ভিতরের অস্থিরতা কিছুটা হলেও কমে আসতে আসতে পারে। দিনে কয়েকবার এভাবে শ্বাস- প্রশ্বাসের ব্যয়াম করা যেতে পারে।
মনটা যখন অস্থির হয়ে যায় বা অশান্ত হয়ে পড়ে, তখন আপনি নিজের পছন্দের কোন গান শোনে আপনার অশান্ত বা অস্থির মনটিকে শান্ত করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একান্ত নিজের কোন রুমে বা নিরিবিলি কোন জায়গায় মিডিয়াম ভলিউমে পছন্দের গান শোনে নিলেই দেখবেন মনটা বেশ উৎফুল্ল হয়ে গেছে।
নিজের ভিতরে অতিরিক্ত অস্থিরতা কাজ করলে বা নিজের মনটা অতিরিক্ত অস্থির হয়ে উঠলে মন কে শান্ত করার জন্য ঘুরে আসতে পারেন নিজের পছন্দের কোন প্রকৃতির ছায়ায়। হতে পারে সেটা সমুদ্র বা নদী। অথবা সবুজ কোন প্রকৃতি।
অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা ইচ্ছে করলে লেখালেখিও করতে পারি। আমরা কবিতা, গল্প লিখতে পারি। অথবা যদি আমাদের ডাইরী লেখার অভ্যাস থাকে তাহলে আমাদের মনের কথাগুলো কে ডায়রীর পাতায় কলমের আচঁড়ে স্থান দিতে পারি। এতে করে আমাদের মনের কষ্টগুলো দূর হয়ে মনে শান্তির সমুদ্র বইতে থাকে।
মন কে শান্ত করার জন্য আমরা কিন্তু যগিং বা হাটাহাটিও করতে পারি। যখন আমাদের মন অশান্ত থাকে বা মনটা অস্থির থাকে সে সময়ে যদি আমরা ১০-২০ মিটিন জোড়ে জোড়ে হাটঁতে পারি তাহলে আমাদের মনটা অনেকটা শান্ত হয়ে যাবে। কারন হাটার মাধ্যমে আমাদের শরীরের যত টেনশন ও দুশ্চিন্তা আছে তা সহজেই দূর করা সম্ভব।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের টিপস গুলো? অপেক্ষায় রইলাম মতামতের।
আপনার দেওয়া টিপস গুলো কিন্তু খুবই ভালো ছিল। অস্থির সময়ে নিজেকে শান্ত রাখার টিপস খুবই ভালোই দিয়েছেন আপনি। এই টিপস গুলো মেনে চললে কিন্তু ভালোই হয় সবার জন্য। যাদের অস্থির এরকম সময় পার করতে ভালো লাগে না তারা যদি এই টিপস গুলো মেনে চলে তাহলে ভালোই হবে। খুব সুন্দর একটা টপিক নিয়ে আজকের পোস্ট লিখেছেন ভালো লাগলো দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু আমরা যদি এই টিপস গুলি মেনে চলি তাহলে হয়তো একটু ভাল থাকতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit