জেনারেল রাইটিং- ক্ষমা একটি মহৎ গুন|| written by@maksudakar ||

in hive-129948 •  last month 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করবো যে যেখানে থাকেন না কেন বেশ ভালোই আছেন। আমিও আছি ব্যস্ত জীবনে ব্যস্ত সময় কে নিয়ে চলে যাচেছ দিন আর রাত গুলো। তবে ব্যস্ত থাকলে আর যাই হোক রোগ ব্যাধি কিন্তু দেহ কে ছুঁতে পারে না। পারে না আবার মন কেও দূর্বল করতে। আমার মনে হয় পৃথিবীতে যে যত পরিশ্রমী সে ততটা সুখী। আর তার জীবনে স্বস্থিতাও একটু বেশী।

আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার। ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার। আর নিজের একটিভিটিস ধরে রাখার। কারন দিন শেষে তো নিজের কাজের হিসাব নিজেকেই করতে হবে। প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম নিজের একটি লেখা শেয়ার করার জন্য। হয়েতো আমি আপনাদের মত এত ক্রেয়েটিভ মানুষ নয়। তবুও নিজের যতটুকু মেধা আছে তাই নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। যদি আপনাদের দোয়া পাই।

প্রতিটি মানুষের ভিতরে কিন্তু অনেক গুলো ইচ্ছে থাকে। আর সেই ইচ্ছে গুলো কিন্তু একেবারে ভিন্ন। আর সেই ইচ্ছে গুলো কে কারও সাথে শেয়ার করা যায় না। যায় না ভাগ করা। সেই ইচেছ গুলো যদি কখনও পূরন করা সম্ভব নাও হয় তাহলে সেগুলো মনের ভিতরে রয়ে যায। রয়ে যায় স্মৃতি হয়ে। আর রয়ে যায় হাজারও অপ্রাপ্ততা কে আকঁড়ে ধরে মনের গভীরে। যা হয়তো কখনওই প্রকাশিত হয় না।

অলির কথা শুনে বকুল হাসে কই, তাহার মতো তুমি আমার কথা শুনে হাসো না তো! (7).png

ক্ষমা একটি মহৎ গুন|

আমরা মানুষ। আবার আমরা সামাজিক জীবও বটে।মানুষ ছাড়া আমরা কিন্তু একদম চলতে পারি না। একাকীত্ব জীবন যাপন করাটাই বেশ কষ্টের। আর তাই তো আমাদের কে সামাজিকতা বা আত্মীয়তা রক্ষা করতে হয়। আর এক সাথে চলতে গেলে বা বিভিন্ন কারনে আমাদের মাঝে অনেক মন মালিন্য হতে পারে। হতে পারে বড় কোন রকমের সমস্যার সৃষ্টিও। আর এই সমস্যা হতেই কিন্তু আমরা একজন আর একজনের ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লাগি। সারাক্ষন কেবল মানুষটির ক্ষতি কামনা করে চলি। কিন্তু সত্যি বলতে এমন টা কি হওয়া উচিৎ। না আমার মনে হয় না এমন কোন কাজ করা উচিত যাতে করে আমার দ্বারা কেউ কষ্ট পায়। বরং আমাদের এমন ভাবে চলা উচিত যাতে করে আমার কাজে কারও মনে কোন কষ্ট না লাগে।

আমরা যদি মনে রাখি যে ক্ষমা অনেক বড় একটি গুন। পৃথিবীতে যে ব্যাক্তি ক্ষমা করতে শিখেছে সেই কিন্তু জীবনে অনেক বড় হতে পেরেছে। ক্ষমা করতে জানলে কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালাও অনেক খুশি হন। কারন মানুষ হলো আশরাফুল মাখলুকাত । আর সেই আশরাফুল মাখলুকাত কে যদি আমরা সম্মান করতে জানি তাহলে কিন্তু মহান আল্লাহ ও অনেক খুশি হন। আর এতে করে আমরাও কিন্তু তৃপ্তি পাই। একবার ক্ষমা করতে শিখে গেলে কিন্তু জীবনে আর পিছ পা হতে হয় না। ক্ষমা দিয়ে আমরা জীবনে পেতে পারি সম্মান আর ভালোবাসা। পেতে পারি একটি সুন্দর জীবন আর পরিবেশ। একাবার যদি আমরা কারও অন্যায় কে ক্ষমা করে দেই তাহলে আমরা কিন্তু বেশ বুঝতে পারবো যে আমাদের ভিতরে একটি শান্তির পরশ বয়ে যায়।

পৃথিবীর অতীত ইতিহাস যদি আমরা বিবেচনা করি তাহলে দেখবো যে অনেক মহান মানুষ আছে যারা কেবল ক্ষমা করার মাধ্যমেই মানুষের ভালোবাসা কে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সক্ষম হয়েছে নিজেদের কে উন্নতীর উচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে। আর ক্ষমা তো কেবল তারাই করতে পারে যাদের ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। যাদের রয়েছে নরম মন আর পরকালের ভয়। যারা বুদ্ধিমান তারাই বুঝে যে মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে আমাদের কে অবশ্যই ক্ষমাশীল হতে হবে। হতে হবে দানবীর আর মহানুভব। তবেই আমরা মানুষের ভালোবাসায় আমাদের জীবন কে সিক্ত করতে পারবো।

সত্যিই কিন্তু ক্ষমা একটি মহৎ ‍গুন।পৃথিবীতে সবাই ক্ষমা করতে পারে না। ক্ষমা করতে জানতে হয়। জানতে হয় ভালোবাসতেও। আর নিজের ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে পারলেই, মানুষের অন্যায় আর ভুল গুলোকে ক্ষমা করতে পারলেই আমাদের জীবন হয়ে উঠবে সুখী আর সমৃদ্ধি। আর সেই সাথে আমরাও পাবো সমাজে, রাষ্টে আর পরিবারে সম্মান আর ভালোবাসা। তাই তো ক্ষমা বিষয়টিক আমাদের জীবনের সাথে মিলিয়ে জীবন কে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চলার পথ কে সুন্দর এবং সাবলীল করে তুলতেই আমাদের ক্ষমাশীল হতে হবে।

image.png

শেষ কথা

জানিনা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্ট। তবে ভালো লাগলে আমার ও ভালো লাগবে। ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন।

image.png

ধন্যবাদ সকলকে

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

image.png

Twitter_Banner_24.webp

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অন্যায়কারীকে ক্ষমা করে দেওয়াটা অনেক কঠিন কাজ। স্বার্থপরের এই দুনিয়ায় স্বার্থে একটু আঘাত লাগলেই মানুষ কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। সেই জায়গায় ক্ষমার কোন প্রশ্নই আসে না। তবে ক্ষমা করে দেয় তা অনেক বড় মনের পরিচয় বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমিও কিন্তু আপনার কথার সাথে একমত। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমার কথার সাথে আপনিও একমত পোষণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। শুকরিয়া আপু ভালো থাকবেন।

@tipu curate

;) Holisss...

--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.

খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনারা লেখা পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পোষ্টের বিষয় ছিল ক্ষমা মহৎ গুণ। আসলে অনেক সময় অনেক মানুষ ভুল করে থাকে। তবে আমি মনে করি একজন ভুল করলেও পাল্টা আমি কেন ভুল করতে যাব। এমন মনোভাব যদি সবার মধ্যে থাকে তাহলে পরিবেশটা সুন্দর হয়।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ক্ষমা নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে যে পোস্টটি শেয়ার করলেন তাই এক কথায় অসাধারণ ছিল এবং প্রতিটা কথা সঠিক ছিল। আসলে এই পৃথিবীতে ক্ষমা করার মত এমন মহৎ গুণ যার ভেতরে আছে তাকে কিন্তু সবাই মন থেকে ভালোবাসে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন যে ক্ষমা মানুষের অনেক মহৎ একটা গুণ। আর ক্ষমার ভিতরে মনে হয় আসল প্রশান্তি লুকিয়ে রয়েছে। মানুষের ভিতরে ক্ষমা থাকাটা খুবই জরুরি কারণ এটা মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশের সহায়তা করে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি টপিকের উপর পোস্ট করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

পৃথিবীতে মানুষ বসবাসকরে আর এই মানুষ মাত্রই ভুল করবে আর এই মানুষের ক্ষমা করবে এটাই বড় মহত্ব। অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভালো লাগলো পড়ে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু ক্ষমা একটি মহৎ গুণ । এটা সত্যি সবাই কিন্তু ক্ষমা করতে পারে না। আমরা সবাই মানুষ আমাদের ভুল হওয়া স্বাভাবিক। তাই আমাদের সবার ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখা উচিত। ধন্যবাদ আপু বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি বলতে যারা ক্ষমা করতে জানে তাদের মনটা বেশ উদার । আপনি বেশ সুন্দর করে আজকের কবিতার প্রতিটি লাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে।

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে ক্ষমার চেয়ে মহৎ আর কিছুই হতে পারে না৷ ক্ষমার মাধ্যমেই মানুষের আসল পরিচয়৷ আমাদের সবসময় যেকোনো ধরনের কাজের ক্ষেত্রে যদি কেউ ভুল করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিৎ৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

আজকে আপনি খুব মূল্যবান একটি পোস্ট করেছেন। তবে এটি ঠিক আমরা মনে রাখতে হবে ক্ষমা মহত্বের গুণ। আসলে বর্তমান সময়ে অপরাধের সংখ্যা বেশি। আর ক্ষমা করতে কেউ চায় না। সত্যি বলতে যারা ক্ষমা করে তারাই সব সময় উপরে থাকে। খুব সুন্দর একটি এবং মূল্যবান পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আসলেই ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের আত্মীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব কিংবা আমাদের পরিবারের সাথেও ঝগড়াঝাঁটি হয়ে যায়, কিন্তু সেটা ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। তাহলে আবারও মিলেমিশে খুব সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করা যায়। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ ক্ষমা করতেই চায় না। এতে করে অনেক সময় একাকী জীবনযাপন করতে হয়। আর একাকী জীবনযাপন করলে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।