বাংলাদেশের সংস্কৃতি

বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি গঠন করে। দেশের একটি বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি রয়েছে যা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর প্রভাবে বিকশিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান ধর্ম ইসলাম, বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্ম দেশের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ উনবিংশ শতাব্দীতে এবং বিংশ শতাব্দীর অংশে বেঙ্গল রেনেসাঁর সময় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বিখ্যাত বাঙালি লেখক, পণ্ডিত, পরিচালক, শিল্পী এবং গবেষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই সংস্কৃতি জাতির নৃত্য, সঙ্গীত, সাহিত্য, স্থাপত্য, এমনকি পোশাকেও প্রকাশ পায়।

সঙ্গীত এবং পারফর্মিং আর্ট

বাংলাদেশে, সঙ্গীত এবং নৃত্য শৈলী সাধারণত লোক, শাস্ত্রীয় এবং আধুনিক তিনটি বিভাগে পড়ে। দেশের ঐতিহ্যবাহী লোকগীতিগুলো ভালোবাসার মতো বিষয়বস্তুতে সমৃদ্ধ। শব্দগুলি জাতির সংস্কৃতি, রহস্যবাদ এবং আধ্যাত্মিকতা থেকে এসেছে। লোকগানের মধ্যে রয়েছে পাওয়েল, মোর্শেদী এবং পাটিয়ালি, এবং কিছু গীতিমূলক গানের মধ্যে রয়েছে হাসুন রাজা, আব্বাস এল দিন এবং অন্যান্য। বাংলাদেশের নৃত্য শৈলী পরিবর্তিত হয় যদিও নৃত্যের কিছু রূপ যেমন কথক এবং ভরতনাট্যম ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য অংশ থেকে প্রভাব দেখায়, অতীতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। শহুরে কেন্দ্রগুলিতে, পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত রক ব্যান্ডগুলি সম্প্রতি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা উৎসের আধুনিক যন্ত্র যেমন গিটার এবং বাঁশের বাঁশি, বাশি ড্রাম এবং তবলা বা ঢোল সহ ঐতিহ্যবাহী যন্ত্র।