ঠনঠনিয়া সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির ভ্রমণ

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

নমস্কার বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আমি কদিন অসুস্থ থাকায় স্টীমিটে আসতে পারিনি। আজ ফিরলাম এক চিরনতুন স্থানের ভ্রমণকাহিনী নিয়ে। আপনারা জানেন, আমি কলকাতায় থাকি। সময় সুযোগ পেলেই চলে যাই কলকাতার বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানে। বার বার গিয়েও ক্লান্ত লাগে না। বরং প্রতিবারই নতুন কিছু অর্জন করি। আজ বলব সেরকমই এক স্থানের কথা।

গিয়েছিলাম উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে। সেই গল্প রইল আজ। পড়তে থাকুন। ভাল লাগলে মন্তব্য করে উৎসাহিত করার আশা রাখি।

ঠনঠনিয়া সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির কলকাতার অন্যতম প্রাচীন ও বিখ্যাত কালীমন্দির। এই মন্দিরের ঠনঠনিয়া নামের পিছনে এক ইতিহাস আছে। কয়েকশো বছর আগে এই মন্দির সংলগ্ন স্থান জঙ্গলাকীর্ণ ছিল। তখন মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি সংলগ্ন জঙ্গলে ঠনঠন ঠনঠন করে শোনা যেত। সেই থেকে এই অঞ্চলের নাম ঠনঠনিয়া হয়েছে।

photo_2022-09-21_10-09-39.jpg

ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয় ১১১০ বঙ্গাব্দে। প্রতিষ্ঠাসন মন্দিরের দেওয়ালে খোদিত আছে। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী। এরপরে খ্রিস্টীয় ১৮০৩ সালে স্থানীয় ব্যবসায়ী শঙ্কর ঘোষ মাতৃমন্দির ও ভৈরব শিবের জন্য আটচালা নির্মাণ করান। কালীমন্দির সংলগ্ন শিবমন্দিরও আছে। কালীপূজায় এই মন্দিরে পুণ্যার্থীর ভিড় উপচে পড়ে। বহু দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা দেবীর পায়ে পূজা দিতে আসেন। এছাড়া প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল ও শনিবারও পূজা দেবার জন্য প্রচুর ভিড় হয়। মন্দিরের পাশেই পূজার সামগ্রীর দোকান। ডালা কিনতে পারেন।

বর্ষাকালে এখানে প্রচুর জল জমে। তাই বৃষ্টির দিনে না আসাই ভাল।

ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে সাধক রামপ্রসাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ এসেছিলেন। ঠাকুর এখানে মাকে গান শোনাতে আসতেন। কথামৃতে তার উল্লেখ পাওয়া যায়।

কাছেই রয়েছে বিদ্যাসাগর কলেজ। সেই গলির নাম শঙ্কর ঘোষ লেন, তা মন্দিরের রূপকার শঙ্কর ঘোষের নামে নামাঙ্কিত। বিধান সরণী ধরে শ্যামবাজার মুখে সামান্য এগোলেই পাবেন শ্রীমানী মার্কেট। তারপরে কপিলা আশ্রম নামে শীতল পানীয়ের দোকান। এটা শতাধিক বছর ধরে চলমান। এদের সিদ্ধি বিখ্যাত। গেলে একবার স্বাদ নিতে অবশ্যই ভুলবেন না।

photo_2022-09-21_10-09-31.jpg

আরও এগোলে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি। বর্তমানে রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত সংগ্রহশালা চলছে এখানে।

কীভাবে আসবেন: লোকাল ট্রেনে শিয়ালদহ এসে সেখান থেকে বেরিয়ে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশ থেকে বাগবাজার গামী ২৪০ নং বাস ধরে ঠনঠনিয়া মন্দির স্টপেজে নামুন। অথবা মেট্রোতে এমজি রোড স্টেশনে নেমে হেঁটে আসুন। এছাড়াও কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ থেকে ঠনঠনিয়া মন্দির গামী অনেক বাস পাবেন।

photo_2022-09-21_10-09-15.jpg

সঙ্গে রইল তোলা কিছু ছবি। সবাইকে কলকাতার এই মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানাই।

photo_2022-09-21_10-09-34.jpg

লোকেশন: ঠনঠনিয়া, উত্তর কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

মডেল: রেডমি নোট ৭ প্রো

আজ এই পর্যন্তই। পরের দিন ফিরব নতুন কোনো স্থানের ভ্রমণ বা অন্য গল্প নিয়ে। ততক্ষণের জন্য বিদায় নিচ্ছি আজ। সবাই ভাল থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

লেখা আপনি মোটামুটি লিখেছেন,কিন্তু ছবির কোয়ালিটি ভালো হয়নি। আর ছবি গুলো এমন এমন জায়গায় বসিয়েছেন যা দেখে লেখার পরিমাণ ই কম মনে হচ্ছে।যেমন লাস্টে একটা ছবি দিয়েই শেষ।এ ধরণের পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন,কিভাবে পোস্ট করবেন তা বুঝবেন অন্যদের পোস্ট পড়লে।

আচ্ছা ম্যাম। ধন্যবাদ ভুলগুলো দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। পরের লেখায় ভুলগুলো ঠিক করতে চেষ্টা করব।