আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47 বাংলাদেশ থেকে।আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন।আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি রক্তের টানে অনেকদিন পর ফুপি বাড়ি ভ্রমণ (পর্ব ১) অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
রক্তের টানে অনেকদিন পর ফুপি বাড়ি ভ্রমণ (পর্ব ১)
Device-XANON-X20
Location
ভ্রমণ করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ভ্রমণ করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে আমার ভীষণ আনন্দ হয়।আমার খুবই ভালো লাগে যখন আমি কোথাও ঘুরতে যাই।কিন্তু এইবার আমি ভিন্ন ধরনের একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে রক্তের টানে অনেকদিন পর ফুপি বাড়ি ভ্রমণ (পর্ব ১) নিয়েই আলোচনা করতে যাচ্ছি।
Location
বাবার বাসায় গিয়ে ভালো ভাবে সময় কাটানো হয় নি।কোথাও না কোথাও গিয়েছিলাম ঘুরতে।ঘুরাঘুরি করতে আমি ভীষণ পছন করি।তাই বাড়িতে গিয়েই কোথাও না কোথাও যাই।কখনও নানা বাড়ি কখনও দাদা বাড়ি কখনও বোনের বাড়ি,কখনও ননদের বাড়ি কখনও ভাগিনার শ্বশুর বাড়ি।এক কথায় সবার বাড়িতে গিয়ে মোটামুটি ভ্রমণ করি।এক জায়গায় থাকতে তেমন ভালো লাগে না।আর সবাই ফোন করে যাওয়ার জন্য।
Location
কথায় আছে এমনিতেই আমি নাচনে আলি আরো তো ঢাকার বাড়ি।তেমন অবস্থা আমার।তেমনি একদিন আমার আব্বুর চাচাতো বোন আমার দাদি কে ফোন দিয়ে বলে তাদের বাসায় সবাই কে যেতে।কিন্তু আব্বুর ব্যস্ততার কারণে যাওয়া সম্ভব না।তাই মানা করে দেয় আমার দাদি।এরপর ফুপি তো ভীষণ মন খারাপ করে ফোনটা কেটে দেয়।এরপর আমি দাদিকে বলি একদিনের জন্য ঘুরে আসি। পরে দাদি বলে আচ্ছা বিকেলে যাব তাহলে।আব্বু কেও জানানো হয়।এর বিকেলে আব্বু আমাদের একটি অটোতে উঠিয়ে দেয়।
Location
আমাদের সাথে আমার ছোট বোন কিছুটা পথ যায়।কারণ তার সামনেই প্রাইভেট ছিল।আমার ছোট বোন যাচ্ছে বলে মেয়ে তো ভীষণ খুশি।সে একদম খুশিতে ওকে জড়িয়ে ধরিয়েছিল।এরপর বোন ও নেমে যায়।মেয়ে কান্না করেছিল আবার একটু পর থেমে ছিল।এরপর অনেকটা পথ পাড়ি দেই আমরা।রাস্তায় যাওয়ার পথে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল।যেতে যেতে আমরা দারুন কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করি। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা আমাদের সকলেই রয়েছে।যখন যাচ্ছিলাম তখন খুবই ভালো লাগছিল।গ্রামের পথে গেলে একটা জিনিস খুবই ভালো লাগে।সেটা হলো কোথাও গেলে অনেক কিছু দেখা যায়।নদী নালা,খাল বিল,গাছ পালা আরো অনেক কিছুই।
Location
যেটা আমরা শহরে গিয়ে দেখতে পারি না।শহরে গেলে শুধু আমরা দালান কোঠা ছাড়া কিছুই দেখতে পারি না।আর গাছ পালার দেখা তো দূরে থাক।আমরা যখন যাচ্ছিলাম তখন এত সুন্দর বাতাস বয়ে যাচ্ছিল চারিদিকে।বাতাসে গাছ পালা সব কিছুই শুধু দুলতে ছিল।যেই বাতাস দামী এসির বাতাসের থেকেও বেশি ঠান্ডা।প্রাণ জুড়িয়ে যায় একদম।আরো অনেক কিছুই দেখেছিলাম এই ভ্রমণের পথে।সেই মুহূর্ত গুলোর সম্পর্কে দেখতে ও জানতে হলে অবশ্যই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আজ এই পর্যন্ত।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
আসলে যেখানে রক্তের টান রয়েছে সেখানে ছুটে যেতে মন চায়। তবে রক্তের টান তা যেন মায়ার বন্ধনে থাকে তখনই এই ট্রান সৃষ্টি। যাই হোক আপনি ফুপির বাড়িতে ভ্রমণ করতে গিয়েছেন আর সেই বিষয়ে প্রথম পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আশা করব বেশ কিছু পোস্ট দেখতে পারবো এ বিষয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকদিন পর আপনার ফুপির বাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। শহরে দালান কোঠা ছাড়া এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য আসলেই দেখা যায় না। আপনাদের ঘুরতে যাওয়ার এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বাকি পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit