জেনারেল রাইটিং-অবশেষে আমাদের চার বান্ধবীর গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর গল্প|

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম


আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আমিও ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি অবশেষে চার বান্ধবীর গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর গল্প নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।


অবশেষে চার বান্ধবীর গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর গল্প:


girls-6374369_1280.jpg

Source


বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। তখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি তখন আমার বাবা রিটার্ট করে গ্রামে এসেছিল। তখন আমি সেখানকার একটি কেজি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম।আমি যে কেজি স্কুলটিতে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে আমার মোট তিনটি বান্ধবী ছিল আমি মিলে চারজন হয়েছিলাম। প্রথম প্রথম তাদের সাথে আমার ভাব তেমন হতো না। খুব বেশি একটা তারা আমার সাথে কথা বলত না। তারপরে তাদের সাথে আস্তে আস্তে আমার খুব ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আজও সে সম্পর্ক রয়ে গেছে হয়তো বা সকলের আলাদা জায়গায় রয়েছি। কিন্তু সম্পর্কটা যেন তেমনই আছে আজও। সত্যি বন্ধু বান্ধবীর সম্পর্কগুলো এমনই মিষ্টি মধুর হয়। অনেক দূরে থাকলেও যখনই দেখা হয় না কেন তখন সেই আগের মতই মনে হয় শুধু দূরত্বটা বেড়ে যায়।


আমার চার বান্ধবীর নামেরও খুব মিল ছিল।টুম্পা,নাজমা,প্রত্যুশী আর আমার নাম মারিয়া এটাই তো সকলেই জানেন।কোথাও গেলে সবাই আমাদের বোন মনে করতো। আমরা চার বান্ধবী মিলে একদিন পরিকল্পনা করি আমার বান্ধবী নাজমার নানী বাড়িতে ঘুরতে যাব।এর মাঝে আমার এক বন্ধু নাম তার দিপু সে নাজমা কে বলে খালা তাহলে আমাদের বাসায় ও যেতে হবে। কাল আমার বাসায় একটা প্রোগ্রাম আছে।দিপু নাজমার ভাগিনা হয় বেশ ভালোই কাছের আত্মীয়।এরপর আগের দিন রাতে সব কিছু গুছিয়ে রেখেছিলাম।ওদের দুইজনের বাসায় যাওয়ার জন্য।সকালে উঠে ঝটপট রেডি হয়ে বের হয়ে যাই।এরপর সবাই একত্রিত হয়ে মিষ্টি নিয়ে রওনা দেই।প্রথমে দিপুদের বাসায় যাই।গিয়ে তার দাদার চল্লিশ দিনের মিলাত হচ্ছে।এমন দাওয়াতে মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলাম জন্য সবাই আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল।যায় হোক এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা নাজমার নানি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেই।


ওদের বাসার পিছনের ধানের ক্ষেত দিয়ে আমরা যাই।কারণ দুইজনের বাড়ির মাঝে শুধু মাত্র কয়েকটা ক্ষেত।দিপুকে আসতে বলি কিন্তু সে কাজে আটকে যায়।এরপর আমরা চারজন রওনা দেই।বেশ কিছু দূর ভালো ভাবেই যাচ্ছিলাম।এরপর হঠাৎ দেখি সামনে পানি এরপর সবাই পানি দিয়েই আমরা হেঁটে যাই কারণ অনেক টা পথ চলে এসেছি।যেতে যেতে আমারা চারজন পানিতে এক সাথে পড়ে যাই।কারণ একজন আরেকজনের হাত ধরে যাচ্ছিলাম।তাই সবাই এক সাথে পরে যাই।এরপর ভেজা কাপড়েই আমাদের নাজমার নানি বাড়িতে যেতে হয়।সবাই অবাক দৃষ্টিতে দেখে আমাদের এইভাবে কেনো আমরা কিভাবে ভিজে গেলাম।এরপর টুম্পা সব ঘটনা খুলে বলে।কারণ আমরা বেশ লজ্জা পাচ্ছিলাম আর নাজমা ওর নানা কে ভীষণ ভয় পায়।সবাই হেসে দেয় আর আমাদের রুমে নিয়ে গিয়ে শুকনো কাপড় দেয়।এরপর সবাই জামা চেঞ্জ করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিয়ে যাবার আগে নিজের কাপড় পরে গিয়েছিলাম।এর মধ্যে বেশ মজা করে আম পেরে ছিলাম, গ্রাম ঘুড়েছিলাম।অনেক মজার মজার খাবার খেয়েছিলাম।এরপর সন্ধ্যায় সবাই বাসায় ফিরেছিলাম কিন্তু অন্য পথ ধরে।কোনোদিন ঘুরতে গিয়ে এমন বিপদে কাওকে যেনো না পড়তে হয়।আজ এই পর্যন্ত।আবার ও কোনো মজার ঘটনা হাজির হবো।ধন্যবাদ সবাইকে।



আমার পরিচয়

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20231220_171352.jpg

আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট। যেখানে আপনাদের চার বান্ধবীর গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর বিষয়টা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে বিস্তারিত জানতে পেরে। দারুন ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন আজকের এই পোস্ট। যেখানে অনেক কিছু জানার ছিল।

  ·  3 months ago (edited)

আমি চেষ্টা করেছি আপু আমাদের সেই সুন্দর দিনটিকে সকল মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামতের জন্য।

আপনার স্মৃতিচারণমূলক পোস্টটি অনেক ভালো লাগলো আপু আপনারা চার বান্ধবী মিলে বেশ মজা করেছেন দেখছি। প্রথমে মিলাদে গিয়েছেন তারপর বান্ধবীর নানি বাড়িতে। আবার যাওয়ার পথে ভিজে গেছেন এবং লজ্জাবোধ করেছিলেন পরবর্তীতে বেশ মজা করেছেন সবাই মিলে জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন প্রথমে আমরা মিলাদে গিয়েছিলাম। এরপর বান্ধবী নানী বাড়িতে গিয়েছিলাম যাওয়ার পথে অনেক এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।তবে বেশ মজাও হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।