প্রাণ প্রিয় বন্ধুগণ, আশাকরি মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি । |
---|
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
সিদ্ধ চাউলেরন সুজি | ১ কেজি |
চিনি | ৭৫০ গ্রাম |
এলাচ | ৪টি |
দারচিনি | পরিমাণ মত |
লবণ | পরিমাণ মত |
ভোজ্য তেল | পরিমাণ মত |
প্রথমে আমি সিদ্ধ চাউল ৩০ মিনিটের মত পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিয়েছিলাম । পানি থেকে উঠিয়ে অল্প কিছু সময় রোদ্রে শুকিয়ে নিয়েছি । এবং হেমান্দিস্তা দিয়ে পিষে সুজি করে নিয়েছি । একেবারে মিহি দানা দিয়ে নাকি এই পিঠা ভাল হয়না । আমি কখনো চেষ্টা করে দেখিনি । তাই সত্যিটা অজানা ।
এবার চুলার উপড় একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মত পানি দিয়ে দিলাম । পানি গরম হয়ে এলে এতে চিনি ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিলাম ।
চিনি এবং লবণ পুরোপুরি মিশে গেলে এর ভিতরে এলাচ এবং দারচিনি ছেড়ে দিলাম ।
এবার আমি অল্প অল্প করে সুজি দিয়ে দিলাম । ঠিক যতটা পানি শুকিয়ে নিতে প্রয়োজন হবে ।
চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে গরম থাকতে থাকতেই পারফেক্ট দো তৈরি করে নিয়েছি । এখন হাতের সাহায্যে ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির শেপ দিয়ে নিলাম । সবগুলো তৈরি করে নিয়ে ভাজতে শুরু করেছিলাম ।
ভাজার জন্য একটি কড়ায়ে পরিমাণ মত তেল দিয়ে গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি । যেহেতু আমি পিঠা গুলো ডুবো তেলে ভাজবো । তাই তেলের পরিমাণ একটু বেশিই দিয়েছি ।
তেল গরম হয়ে গেলে একই সাথে ৮-১০ টা পিঠা একই সাথে কড়াইয়ে দিয়ে দিলাম । ।
কিছুটা সময় নিয়ে গাড়ো বাদামী রঙে ভেজে নিয়েছি । এভাবে একে একে সব গুলো পিঠা ভেজে নিয়েছি ।
ভাজা পিঠার স্বাদ কয়েকগুণ বেড়ে যায় যদি পরিমাণ মত সঠিক সময় নিয়ে ভেজে নেওয়া যায় । আমি হয়তো এটা খুব ভালভাবে পেরেছি মুচমুচে হয়েছে সাথে স্বাদটাও কম যায় না ।
এখন আমি একটা প্লেটে নিয়ে পরিবেশন করছি । অবশ্য নিজে তৈরি করে নিজেই খাওয়া এর কারণে কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই । শুধু ছবিটা ওঠাতে দেরি । খেয়ে শেষ করতে আর কিছু ভাবার প্রয়োজন পড়েনি।
অনেক রকম পিঠার ভিড়ে এই পিঠা আমি নিজ হাতে এর আগে কখনো তৈরি করিনি । তাই তৈরির আগে আরেকবার আম্মুর থেকে পুরো রেসিপিটা শুনে নিয়েছিলাম । তবে আশার কথা হলো কোন রকম ভুল ভ্রান্তি ছাড়াই এটা খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি । আমার প্রিয় পিঠা রেসিপিটি শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো । আশাকরি আপনারা এর থেকে উপকৃত হতে পারবেন । ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি ।
ধন্যবাদান্তে | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |
আপনিও আজ দেখছি খুব কম উপকরণে সুস্বাদু একটা পদ রান্না করেছেন।আর শীত তো প্রায় পড়েই গেলো এই সময়ে মন টা এমনিই কেমন একটা পিঠে পিঠে করতে থাকে। বেশ ভালোই লাগলো বিষয় টা। দেখি চেষ্টা করব কখনও।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার আবার শীত গরম নেই। হুটহাট পিঠা তৈরি করতে ভালই লাগে। তারপর ও শীতে অনেক উপাদান সহজলভ্য হওয়াই এই প্রবণতা বেশিই থাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আন্দোসা পিঠা বানিয়েছেন। সত্যি অবাক করার বিষয় আপনি পিঠা খেয়ে দুই দিন থাকতে পারবেন। তবে পিঠা খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আপনার পিঠাগুলো দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সামনে একদিন বাসায় বানানোর চেষ্টা করব গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে পিঠা গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদি এটা এর পুর্বে কখনো না খেয়ে থাকেন তবে দারুণ একটা স্বাদ থেকে এখনো বঞ্চিত আছেন। তৈরি প্রক্রিয়া খুবই সহজ আর উপকরণ ও কম। আশা রাখছি একবার খেলে এই পিঠা আপনার ফেভারিট লিস্ট এ চলে আসবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ আপনি ছেলে মানুষ হয়েও এত পিঠা বানানো শিখে গিয়েছেন। তাছাড়া পিঠা খেলে আসলে অনেক গ্যাস হয় । আর সব খাবার বাদ দিয়ে যদি পিঠাই খাওয়া হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপনার এই আন্দোসা পিঠা আমি আগে কখনো দেখিনি। আজকেই প্রথম দেখলাম। রেসিপি দেখে মনে হলো যে খেতে বেশ সুস্বাদু পিঠাটি। বাসায় একবার বানিয়ে দেখব । ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। তবে আমার কি মনে হয় জানেন। ছেলেরা মেয়েদের থেকেও ভাল রাধুনি হতে পারে। তবে অভাব যেটার তা হলো ধৈর্য। যেখানে সাধারণত মেয়েরা ১০০ ছেলেরা ১০। আমি ৫০ এ আছি তাই রান্নাটা শিখেই নিয়েছি। 🙂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit