রেসিপি ।। "দুধ পুলি রান্না " ।। ১০% বেনিফিশিয়ারী @shy-fox ।। ৫% @abb-school এর জন্য ।

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

আজ রবিবার ।। ১২ই জুন ২০২২ ইং ।। ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।। ১১ই জিলক্বদ ১৪৪৩ হিজরি ।।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

প্রিয় বন্ধুরা আশাকরছি মহান আল্লাহ্‌ তা'লার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমিও বেশ ভাল আছি ।

বাড়িতে তৈরি নানা রকম পিঠা পুলি তৈরিতে স্বাদ যেমন পাওয়া যায় তেমনি সবাই মিলে তৈরির আনন্দটা ও কম থাকে না । আমি যেহেতু আমার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান সেহেতু বুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ার পরথেকেই রান্নার কাজে আম্মুকে টুকটাক হেল্প করার চেষ্টা করি । এই কারণে রান্নার হাতেখড়ি আমার অনেক দিন পুর্বেই হয়েছে । সেই সাথে লাভ হিসেবে শিখে ফেলেছি বাড়িতে তৈরি বিভিন্ন রকম পিঠার রেসিপি । ছোট বেলায় যে সব পিঠা শুধু শীতের জন্যই বরাদ্দ ছিল আমার কারণে এখন তা বারমাসের রুপ ল্যাব করেছে । তেমনি একটা পিঠা হলো "দুধ পুলি" এই যে জ্যৈষ্ঠ মাসের কাঁঠাল পাকা গরমেও আজ বাড়িতে করে ফেলল্লাম "দুধ পুলি রান্না" । স্বাদটা বরাবরের মত এবার ও দারুণ হয়েছে, তাই রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

IMG_২০২২০৬১২_১৭২১২৯.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপকরণের নাম পরিমাণ
দুধ ১লিটার
চাউলের আটা ৫০০ গ্রাম
লবণ পরিমাণ মত
নারিকেল ২টি
এলাচ ৪টি
দারচিনি ৬টি
চিনি ১কেজি
গুড়া দুধ ১টেবিল চামচ

Untitled design(5).jpg

ধাপঃ০১

এই পিঠা তৈরিতে প্রায় সব উপাদান বাড়িতেই উৎপাদিত তাই এর পিছে পরিশ্রমটাও বেশী । নারিকেল নিজ গাছের বিধায় গাছ থেকে নিজেই পেড়ে নিইয়ে আসলাম । নিজে খোসা ছাড়িয়ে ভেঙ্গে নিলাম এ পর্যন্ত সাথ দিয়েছে আমার ছেলে । কারণ আগে থেকেই দুইটা নারিকেলের পানি খাওয়ার অফার করেছিলাম যা ছিল তার অত্যান্ত পছন্দের খাবার । এখন আমি নারিকেলের ঝুরি তৈরি করে নিলাম।

Untitled design(6).jpg

ধাপঃ০২

উপকরণ সব প্রস্তুত এখন প্রথমে আমার রান্নার কিছু কাজ করে নিতে হবে । যেহেতু চাউলের আটা দিয়ে পিঠা তৈরি করছে এবং এটা রুটির মত তৈরি করে নিতে হবে তাই দো তৈরির জন্য অবশ্যই গরম পানি ব্যবহার করতে হবে । তাই আমি কড়াইয়ে পরিমাণ মত পানি গরম করে নিচ্ছি ।

IMG_২০২২০৬১২_১২৪০২১.jpg

ধাপঃ০৩

পানি গরম হয়ে ফুটতে থাকলে আমি অল্প পরিমাণ লবণ দিয়ে দেব । এরপর অল্প অল্প করে আটা ঢেলে দেব এবার চিত্র অনুরুপ হয়ে আসলে কড়াই থেকে একটি শুকনা পাত্রে ঢেলে নেব ।

IMG_২০২২০৬১২_১২৪৮০২.jpg

ধাপঃ০৪

যেহেতু রুটি তৈরি করতে হবে তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন দো খুব শক্ত অথবা নরম না হয় একটু বেশী সময় ধরে মথে নিতে হবে । দো তৈরি শেষ এখন একটা সুতি কাপড় ভিজিয়ে ঢেকে রাখবো । কারণ আমাদের এখনো পুর তৈরি বাকী আছে ।
IMG_২০২২০৬১২_১৩০০০৭.jpg

ধাপঃ০৫

পুর তৈরির জন্য প্রথমে কড়াইয়ে নারিকেল দিয়ে দেব । নারিকেল দেওয়ার পরেই চিনি দিয়ে দেব । আমি এখানে আধা কেজি চিনি দিয়েছি ।

IMG_২০২২০৬১২_১২৫০১৬.jpg

ধাপঃ০৬

চিনি গলে নারিকেলের ঝুরির সাথে মিশে গেলে একে একে গুড়া দুধ, দারচিনি, লবণ ও এলাচ দিয়ে দেব । কিছুক্ষণ মাঝারি আঁচে নাড়াচাড়া করলেই সবগুলো উপাদান মিশে যাবে নারিকেল থেকে যতটা পানি বের হয়েছিল তা ও শুকিয়ে আসবে । এখন একটা পাত্রে নামিয়ে নেব ।

IMG_২০২২০৬১২_১৩১৮১৪.jpg

ধাপঃ০৭

এবার পরিমাণ মত দ নিয়ে পিড়ি বেলুনের সাহায্যে রুটি বানিয়ে নিলাম । স্টিলের গ্লাস ব্যবহার করে গোল গোল টুকরা করে কেটে নিলাম । রুটি এবড়ো থেবোড় হয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র হয়ে গেলেও কোন সমস্যা নেই । গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিলেই ঠিক হয়ে যাবে ।

IMG_২০২২০৬১২_১৪১৩২৪.jpg

ধাপঃ০৮

এবার পরিমাণ মত পুর দিয়ে অর্ধ চন্দ আকৃতিতে আটকিয়ে দেব । এভাবে সব গুলো করে নিতে হবে । আমি মাঝে মাঝে কিছু গোলাকার শেপেও তৈরি করেছি ।

IMG_২০২২০৬১২_১৪১২২৫.jpg

ধাপঃ০৯

আর একবার রান্নার পালা । এবার আমি ১ লিটার দুধের সাথে আধা লিটার পানি দিয়ে মিশিয়ে কড়ায়ে ঢেলে দিলাম । দুধ এবং পানি ভাল্ভাবে মিশে গেলে এর ভিতরে এলা্‌চ, দারচিনি, লবণ ও চিনি দিয়ে দেব ।

IMG_২০২২০৬১২_১৫৪২৫১.jpg

ধাপঃ১০

চিনি গলে গিয়ে পানি ফুটতে শুরু করলে এর ভিতরে একটা একটা করে পিঠা দিয়ে দেব।

IMG_২০২২০৬১২_১৫৫৯৪৪.jpg

ধাপঃ১১

পিঠা দেওয়ার পর আবার ও যখন ফুটে উঠবে তারপর কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা থেকে নামিয়ে নেব।

IMG_২০২২০৬১২_১৬১০৩৫.jpg

আমাদের পিঠা তৈরি হয়ে গেছে এখন পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দেব । স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এসে গেলে খাওয়া শুরু ।

IMG_২০২২০৬১২_১৭২০৫১.jpg

আজকের পিঠা খেতে দারুণ লাগছে । এই পোস্ট যখন লিখছি পিঠা খাওয়া তখনও চলমান । একচামচ খেয়ে আবার ও লিখা তারপর আরেক চামচ।

আজ আমার রেসিপি এখানেই সমাপ্ত করছি । এই পিঠা ফ্রিজে রেখে সকালে আরো বেশি স্বাদ পাওয়া যাবে এবং নষ্ট হয়ে যাবে না তাই এই সুজগটাও মিস করছি না ।

সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন

আল্লাহ্‌ হাফেজ ।

নামঃ @maruffhh
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp

image.png

image.png

zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ওয়াও আপনার দুধ-পুলি বানানোর রেসিপি টা দেখে অনেক ভালো লাগল ৷দেখে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে ৷ উপস্থাপন টাও অনেক সুন্দর ভাবে করেছেন ৷ধন্যবাদ আপনি খুব চমৎকার রেসিপি শেয়ার করেছেন

শুনে অনেক ভালো লাগলো যে আপনি ছেলে মানুষ হয়েও রান্নাবান্নার কাজে আপনার মাকে অনেক হেল্প করেন আমাদের সবারই আসলে এরকম হওয়া উচিত ।ঠিকই বলেছেন আগে শুধু শীতকালে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়তো এখন মানুষ বারোমাসি পিঠা খেয়ে থাকে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে দুধ পুলি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন ।এই পিঠাটি আমার কাছে খুব ভালো লাগে দেখে অনেক ভালো লাগলো।

পিঠা আমার ও বেশ ভাল লাগে তাই একটু বেশি বেশিই তৈরির আয়োজন করে ফেলি।

দুধ পুলি রান্না করে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। দুধ পুলি খেতে অনেক সুস্বাদু। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

আপনাকে ও ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাইয়া আপনি দুধপুলির মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার তো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। পুলি পিঠা খেয়েছি কিন্তু কখনো দুধে ভিজিয়ে খাওয়া হয়নি।।আপনার কাছ থেকে নতুনভাবে শিখে নিলাম।খেয়ে দেখব।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

এটা ট্রাই করে দেখবেন এর স্বাদ আপনাকে আফসোস এনে দেবে এতদিন না খাওয়ার জন্য।

আপনার রেসিপি দেখে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। ইচ্ছে করছে এখন একটু টেস্ট করে দেখি। দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এর আগে কখনো এভাবে দুধে ভিজিয়ে পুলি পিঠা খাওয়া হয়নি। একদিন ট্রাই করে দেখব এটি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার অনুরোধ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল

এই রেসিপি অবশ্যই অনেক স্বাদের ছিল। চেষ্টা করে দেখেন আপু ভীষণ ভাল লেগে যাবে।

ওয়াও খুব সুন্দর করে দুধ পুলি রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন । এই ধরনের রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। ভালো লাগলো আপনার রেসিপি তৈরি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

দুধ পুলি পিঠা খেতে আসলেই খুবই মজার। এটা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় মা অনেকবার তৈরি করেছে আর আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লেগেছে। আজকে আপনি খুব সহজে দুধ পুলি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে দুধপুলি রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন দুধ পুলি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। বিশেষ করে ফ্রিজে রেখে কয়েক ঘণ্টা পরে খেতে খুবই মজা লাগে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

সত্যিই আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। যদিও আমরা এই পুলি পিঠা গুলো সব সময় খাইনা মাঝেমধ্যেই খাওয়া হয় বেশ ভালই লাগে খেতে। তবে এটা ভালো বাসায় বারোমাসি যখনই মন চাইবে যেহেতু জানা আছে কিভাবে তৈরি করতে হয় তাই বানিয়ে খেলে ভালোই লাগে তাছাড়া বাসায় তৈরি খাবার অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। তাই আমাদের সকলেরই বাসায় তৈরি খাবার খাওয়া উচিত। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে চমতকার একটি দুধ পুলি পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। তবে পোষ্টের শেষে যেভাবে চামচ দিয়ে খেয়ে লোভ লাগালেন, ভালোই শিখেছেন। হাহাহাহাহা.... মজা করলাম।

ওটা সত্যিই ছিল খাচ্ছিলাম আর লিখছিলাম। আহা! সেই ফিলিংস।

আসলেই সবাই মিলে পিঠা তৈরি করার মজাই আলাদা। আপনি বাড়ির প্রথম সন্তান হওয়ার ফলে এরকম সুস্বাদু পিঠা তৈরি শিখে গিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার আজকের দুধ পুলি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। গরমের দিনে অবশ্যই দুধপুলি কখনো খাওয়া হয়নি। দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন ভাইয়া।

আপনার মত দুধ পুলি আমারও খুব ফেভারেট যদিও অনেক দিন খাওয়া হয় না তবে আপনার রেসিপিটি দেখে আগ্রহটা আরো বেড়ে গেল দুধপুলি খাওয়ার প্রতি সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করে আরও সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য

আপনার দুধ পুলি রান্নার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। ইচ্ছে করছে আপনার কাছ থেকে নিয়ে খেয়ে নিতে। খুবই লোভ লাগিয়ে দিলেন এত সুন্দর একটি রেসিপি দেখিয়ে। ধাপে ধাপে দুধপুলি রান্না করার পদ্ধতি তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

স্বাদ আসলেই লোভনীয় ছিল । বছরান্তে এই পিঠা কয়েকবার খাওয়া পড়ে যতবার খাই আরেকবারের ইচ্ছা প্রকাশ থাকে । ধন্যবাদ আপু দাওয়াত রইলো । কোন এক পারিবারিক পিঠা উৎসবে ।

  ·  3 years ago (edited)

জাতি এত সুন্দর করে দুধ পুলি পিঠা তৈরি করে খেতে পারে আগে জানা ছিল না। আবার দেখি সহজ নিয়মে প্রকাশ করেছে, যাতে কেউ শিখে পিঠা তৈরি করে দাওয়াত দিতে পারে। আহা কি আনন্দ।

জাতি অনেক কিছুই জানে শুধু প্রচার মাধ্যম ছিল না, এর জন্য প্রতিবেশিগণের অজানা রয়ে গেছে ।

দুধ পুলি আমার অনেক পছন্দের একটি পিঠা। আমার আম্মুর হাতের এই দুধ পুলি পিঠা খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি অনেক চমৎকার ভাবে তৈরি করেছেন।আর অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

দুধপুলি সাধারণত আমাদের বাসায় শীতকালে বানানো হয়। সেই শীতকালেই এই পিঠা খেয়ে ছিলাম। আপনার বানানো দুধ পুলি পিঠা দেখে লোভ লেগে গেলো। কিন্তু বাসায় মনে হয় না বানিয়ে খেতে পারব। তাই ভাবছি কাল বাইরে থেকে অর্ডার করে খাব। দুধ পুলি পিঠা বানানোর রেসিপি আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

দুধ পুলি পিঠা রেসিপি দেখেই জিভে পানি চলে আসলো। দুধপুলি আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা। আপনি খুবই সুস্বাদু করে দুধ পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। এছাড়াও আপনি দুধ পুলি পিঠা তৈরীর খুবই অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।