হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
ফটোগ্রাফি বললে একদম ঠিক হবে না ব্যাপারটি। গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কিছু ব্যাপার আমি ফটোগ্রাফির মধ্যমে তুলে ধরতে চাই। ঈদের পর যে সময়টায় আমি গ্রামে ছিলাম তখন ধান ও ভুট্টার মাড়াই একসাথে হয়েছিল। একসাথে বললে একটু ভুল হবে, আসলে ভুট্টার শেষ আর ধানের শুরু।
বাইরে থেকে যখন বাসার দিকে ফিরছিলাম তখন দূর থেকে লক্ষ্য করলাম ভুট্টা ক্ষেত থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এটাই এই সিজনের শেষ ভুট্টা মাড়াই। এই দৃশ্যগুলো যখন শহর থেকে গ্রামে এসে দেখি সত্যি অনেক ভালো লাগা কাজ করে।
আমি যখন ছোটবেলায় গ্রামে ছিলাম তখন দেখতাম কৃষকরা দলবেঁধে হাত দিয়ে ভুট্টা ছাড়াতো। এখন ভুট্টা মাড়াই মেশিন দিয়ে করা হয়। অল্প কিছুক্ষণ পর মেশিন দিয়ে ভুট্টা মাড়াই করা হয়েছিল কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আমার দেখা হয়নি।
সে সময় বিকালে বাসায় দেরি না করার কারণ হচ্ছে আমাকে শহরে যেতে হয়েছিল জরুরী কাজে। ফিরতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। গ্রামের রাস্তাঘাট এখন আর আগের মত অন্ধকার না হলেও রাতে মেঠোপথ দিয়ে হাঁটতে একটু অসুবিধা হয়।
হাঁটতে কিছুটা অসুবিধা হলেও চাঁদনী রাত অনেক উপভোগ্য ছিল। গভীর রাতে চাঁদের আলোয় রাস্তার ধুলাবালি চকচক করছিল। সত্যি অসাধারণ দৃশ্য এগুলি যেটা শহরে থেকে কল্পনাই করা যায় না।
যতই গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করছি ততই রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে আসছিল। এখানে শহরের মতো নির্দিষ্ট কোনো পিচঢালা পথ নেই। দুদিকেই বাড়ি সেই বাড়ির চওড়া উঠানের মাঝখান দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। সামনের দিকে দূরে তাকিয়ে আগুনের লাল রশ্মি চোখে পড়লো।
কাছাকাছি আসতেই স্পষ্ট হলো বিষয়টি। ধান মাড়াই করার পর সেখান থেকে চাল তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। এভাবেই গ্রামের গৃহস্থ কৃষকেরা ৬ মাসের জন্য খাদ্যের সংগ্রহ করে রাখে। এখানে বছরে দুবার ধানের ফসল ঘরে ওঠে। পরবর্তী সময়ের জন্য খাদ্যের মজুদ নিশ্চিত করা হয়।
এগুলো আমাদের গ্রাম বাংলার বাস্তব চিত্র। আমরা যারা শহরে থাকি তারা এই কর্মযজ্ঞ কল্পনাই করতে পারি না। কি পরিমান কষ্ট করে আমাদের কৃষক ভাইয়েরা আমাদের জন্য খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করে। আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে গ্রাম বাংলার কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করলাম জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | realme narzo 50 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | দাসেরহাট, কাঠালবাড়ি, কুড়িগ্রাম |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই গ্রামের এসব দৃশ্য আর নতুন কিছু নয় ৷ একেক এক সিজনে একেক কাজে ব্যাস্ত ৷ আর বর্তমান সময় তো ভুট্টা নিয়ে ব্যাস্ত ৷ ভালো লাগলো যে আপনি গ্রামের বেশ কিছু ঐতিহ্য বাহি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ রাতের আধারে চাদঁ এর আলো আর ধান সিদ্ধ করার ছবি গুলো ভালো লেগেছে দেখে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদ উপলক্ষে গ্রামে গিয়ে অনেক কিছুই দেখছে উপভোগ করেছেন আপনি। তবে সবগুলোর মধ্যে শেষের ফটোগ্রাফিটা যেখানে ধান থেকে চাল করার প্রস্তুতি নিচে রাতের বেলায় এই মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রায় গ্রামেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করি। ধান ক্ষেত থেকে আনার পর রাতের বেলা ধানগুলোকে সিদ্ধ করা হয়। আর এই রাতের বেলা আগুন জ্বালিয়ে উঠনের মধ্যে যখন সিদ্ধ করা হয় তখন আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে এটা অনেক মজার মুহূর্ত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit