গল্পঃ জীবন যুদ্ধে হার না মানা বৃদ্ধ। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য||

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

ঝাড়ুদার মাছ
ঝাড়ুদার মাছ

বিশেষ রচনা
ফেব্রুয়ারি ২০১০
আরিফ হাসান

[caption id="attachment_240" align="alignright" width="250" caption="ঝাড়ুদার মাছ"][/caption]

আমরা অনেকেই ঝাড়ুদার ভাইদের মানুষই মনে করি না। ভাবি ওরা খুব নীচু শ্রেণীর এক ধরনের প্রাণী। অথচ তারা রোজ যে কাজটি করেন সেটা যে অনেক উঁচু মাপের কাজ এটা কেউ ভাবিই না। একবার ভাবো তো, তারা না থাকলে কী হতো? চারপাশে ময়লার পাহাড় জমে যেত। নোংরা পরিবেশে বাস করতে করতে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়তাম। তারপর...
ঝাড়ুদাররা আমাদের মতোই মানুষ। তবে প্রাণিজগতেও (মাছের জগতে) ঝাড়ুদার আছে। তারা মানুষ ঝাড়ুদারদের মতো রাস্তাঘাট, বাড়িঘর বা অফিস-আদালত পরিষ্কার করে না। তারা পরিষ্কার করে আরেক মাছের শরীর, গলা, ফুলকা আরো অনেক কিছু। এরা বিভিন্ন ধরনের মাছের আঁইশ, মুখ এবং ফুলকার মধ্যে বাস করা পরজীবী খেয়ে এদের শরীর পরিষ্কার করে দেয়। এই সব মাছ বেঁচে যায় বিভিন্ন ধরনের রোগের আক্রমণ থেকে। ভাবছো অন্য মাছের মুখের ভেতর ঢুকে ময়লা পরিষ্কার করা তো ভয়ঙ্কর ব্যাপার। যদি সুযোগ বুঝে ঝাড়ুদার মাছটিকে সাবাড় করে দেয়! না, অন্য মাছেরা এমন কাজ একেবারেই করে না। করবেই বা কেন? ঝাড়ুদার মাছ যখন অন্য মাছের মুখে ঢুকে ময়লা পরিষ্কার করে তখন ওরা মজা তো পায়ই, ময়লা পরিষ্কার হওয়ায় রোগে ভুগে মরার হাত থেকেও তো বেঁচে যায়, তাই না?

অন্য মাছের শরীর পরিষ্কার করার জন্য ঝাড়–দার মাছের একটা নির্দিষ্ট স্টেশন থাকে। এখানে এসেই অন্য মাছ তাদের ময়লা পরিষ্কার করে যায়। সাধারণত সাগরের যে এলাকায় প্রচুর প্রবাল প্রাচীর আছে সেই এলাকাটাকেই এরা স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করে। ঝাড়ুদার মাছের সবচেয়ে বড় স্টেশন হলো ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবাল প্রাচীর ঘেরা এলাকা। যে সব মাছের মুখ, দাঁত, আঁইশ, মরা চামড়া বা ফুলকা পরিষ্কার করা দরকার তারা এই স্টেশনে এসে নানান অঙ্গভঙ্গি করে ঝাড়ুদার মাছের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। এখানে অনেক সময় ‘বাঘ ও বকের গল্প’র মতো ঘটনা বলে বড় কোনো মাছের মুখ বা দাঁত পরিষ্কার করার সময় ঝাড়ুদার মাছেরা খুব

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

তার জীবন যুদ্ধের সম্পর্কে আমি অবগত। সত্যিই মানুষের কোন পেশাকে ছোট করে দেখা উচিত নয় প্রতিটা ক্ষেত্রেই মানুষের পেশাদারিত্বের মূল্যায়ন করা উচিত। আমি মনে করি তাহলে মানুষ মানুষের মধ্যে মিল বন্ধনে এবং ভালোবাসার সম্পর্ক অটুট থাকবে।