আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -০১| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |মঙ্গলবার|শরৎকাল|
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
বাপ - মায়ের অতি আদরের বড় ছেলে সুরাত । সুরাত অষ্টম শ্রেনী পাস করে বাড়ীতে বসে আছে । বাবার সংসারে অভাব - অনটনের জন্য সে আর নবম শ্রেনীতে ভর্তি হতে পারলো না । সরাদিন ঘুরে ঘুরে বেড়ায় । কি আর করবে । তার প্রচণ্ড লেখাপড়া করার ইচ্ছে হয় । কিন্তু উপায় তো নেই ।
একদিন পাশের বাড়ীর আসির ড্রাইভার তার বাবা - মাকে বলল , তোমার ছেলেকে আমার সাথে দাও । আমার গাড়ীতে থেকে সুরাত কাজ করলে আমি তাকে গাড়ীর কাজ শিখাবো এবং একদিন তাকে ড্রাইভার বানিয়ে দিব । সে গাড়ী থেকে রোজগার করে তোমাদের সাহায্য করতে পারবে । যেই কথা সেই কাজ । সুরাতের বাপ - মা রাজী হয়ে গেল । গাড়ীতে উঠল । সারাদিন গাড়ীতে থাকে , গাড়ীর কাজ শিখে , কিছু কিছু টাকা পায় , তার বাপ - মাকে দেয় , বাপ - মা খুশী হয়ে যায় । আস্তে আস্তে একদিন সুরাত পুরাপুরি দক্ষ ড্রাইভার হয়ে যায় । এখন সে অন্য এক মালিকের ট্রাক চালায় । বিভিন্ন রুটে ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে যায় । ইতোমধ্যে তার বাপ মারা যায় । সংসারে ছোট ভাইবোন আছে । সংসারে কষ্টের সীমা থাকে না । সংসারের দায় দায়িত্ব সুরাতের উপর পড়ে ।
ছোট ভাই বোনকে নিয়ে সে গাড়ী চালিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করে । তার দিন দিন আয় বাড়তে লাগলো । এই ভাবে আস্তে আস্তে তাদের সংসারে উন্নতির লক্ষন দেখা দিল । এখন সুরাত একজন পঁচিশ বছরের যুবক । তার হাতে এখন প্রচুর টাকা পয়সা । চরিদিক থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে । কিন্তু সে বলে , আমার ভাইবোনদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ না করা পর্যন্ত আমি বিয়ে করব না । ইতিমধ্যে সুরাত গ্রামেরই এক মেয়েকে ভালবাসে । সেই মেয়েকে নিয়েই সুরাত ভবিষ্যত সুখের স্বপ্ন দেখে । এই ভাবে দিন চলতে থাকে । তখন ছিল ১৯৭১ সাল ।
আমাদের এই বাংলাদেশটা তখন পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল । বারোশ মাইল দূরে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তান এদেশটাকে শাসন করত । এদেশের মানুষের তখন ন্যায্য অধিকার দিত না । সবকিছুর অধিকার পশ্চিম পাকিস্তান ভোগ করত । তখন কিছু প্রভাবশালী নেতা এদেশের মনুষের ন্যায্য অধিকারের জন্য সোচ্চার হয়ে উঠে । এমন সময় একদিন অন্যতম নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষনে বলেন- “ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল । তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে ” । এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ” । বস্তুত এ ভাষনের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য সর্বাত্বক প্রস্তুতি গ্রহনের আহবান জানিয়েছিলেন । তখন দেশে একটা চারিদিকে অস্থিরতার ভাব । এমন সময় একদিন ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের কালোরাতে পাকিস্তান সেনারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে । আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে । বেতারে যুদ্ধের ডাক শুনে সুরাত বাড়ীতে থাকল না । মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সুরাত ট্রাকে করে মুক্তি যোদ্ধাদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে নিয়ে যায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে । অবশেষে দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রাম করার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক একটি দেশের অভ্যুদয় ঘটে । ············
ধন্যবাদ সবাইকে
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
তাহলে চলুন শুরু করি
বাপ - মায়ের অতি আদরের বড় ছেলে সুরাত । সুরাত অষ্টম শ্রেনী পাস করে বাড়ীতে বসে আছে । বাবার সংসারে অভাব - অনটনের জন্য সে আর নবম শ্রেনীতে ভর্তি হতে পারলো না । সরাদিন ঘুরে ঘুরে বেড়ায় । কি আর করবে । তার প্রচণ্ড লেখাপড়া করার ইচ্ছে হয় । কিন্তু উপায় তো নেই ।
একদিন পাশের বাড়ীর আসির ড্রাইভার তার বাবা - মাকে বলল , তোমার ছেলেকে আমার সাথে দাও । আমার গাড়ীতে থেকে সুরাত কাজ করলে আমি তাকে গাড়ীর কাজ শিখাবো এবং একদিন তাকে ড্রাইভার বানিয়ে দিব । সে গাড়ী থেকে রোজগার করে তোমাদের সাহায্য করতে পারবে । যেই কথা সেই কাজ । সুরাতের বাপ - মা রাজী হয়ে গেল । গাড়ীতে উঠল । সারাদিন গাড়ীতে থাকে , গাড়ীর কাজ শিখে , কিছু কিছু টাকা পায় , তার বাপ - মাকে দেয় , বাপ - মা খুশী হয়ে যায় । আস্তে আস্তে একদিন সুরাত পুরাপুরি দক্ষ ড্রাইভার হয়ে যায় । এখন সে অন্য এক মালিকের ট্রাক চালায় । বিভিন্ন রুটে ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে যায় । ইতোমধ্যে তার বাপ মারা যায় । সংসারে ছোট ভাইবোন আছে । সংসারে কষ্টের সীমা থাকে না । সংসারের দায় দায়িত্ব সুরাতের উপর পড়ে ।
ছোট ভাই বোনকে নিয়ে সে গাড়ী চালিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করে । তার দিন দিন আয় বাড়তে লাগলো । এই ভাবে আস্তে আস্তে তাদের সংসারে উন্নতির লক্ষন দেখা দিল । এখন সুরাত একজন পঁচিশ বছরের যুবক । তার হাতে এখন প্রচুর টাকা পয়সা । চরিদিক থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে । কিন্তু সে বলে , আমার ভাইবোনদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ না করা পর্যন্ত আমি বিয়ে করব না । ইতিমধ্যে সুরাত গ্রামেরই এক মেয়েকে ভালবাসে । সেই মেয়েকে নিয়েই সুরাত ভবিষ্যত সুখের স্বপ্ন দেখে । এই ভাবে দিন চলতে থাকে । তখন ছিল ১৯৭১ সাল ।
আমাদের এই বাংলাদেশটা তখন পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল । বারোশ মাইল দূরে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তান এদেশটাকে শাসন করত । এদেশের মানুষের তখন ন্যায্য অধিকার দিত না । সবকিছুর অধিকার পশ্চিম পাকিস্তান ভোগ করত । তখন কিছু প্রভাবশালী নেতা এদেশের মনুষের ন্যায্য অধিকারের জন্য সোচ্চার হয়ে উঠে । এমন সময় একদিন অন্যতম নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষনে বলেন- “ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল । তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে ” । এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ” । বস্তুত এ ভাষনের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য সর্বাত্বক প্রস্তুতি গ্রহনের আহবান জানিয়েছিলেন । তখন দেশে একটা চারিদিকে অস্থিরতার ভাব । এমন সময় একদিন ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের কালোরাতে পাকিস্তান সেনারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে । আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে । বেতারে যুদ্ধের ডাক শুনে সুরাত বাড়ীতে থাকল না । মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সুরাত ট্রাকে করে মুক্তি যোদ্ধাদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে নিয়ে যায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে । অবশেষে দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রাম করার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক একটি দেশের অভ্যুদয় ঘটে । ············
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্বল্প পরিমাণ সাপোর্ট দিয়ে সাথে আছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো এভাবে সামনের দিনে সাপোর্ট দিয়ে যাবেন আশা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া চমৎকার করে মায়ের অপেক্ষা গল্পটি উপস্থাপন করেছেন ৷খুব ভাল লাগলো ৷
আপনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাটি খুব করে উপস্থাপন করেছেন ৷
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মায়ের অপেক্ষা কোন সময় শেষ সবার নয় ।।।মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনার আজকের গল্পটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। মনে হচ্ছে বেশ মজা পাব পড়ে পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার লেখা গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে যেন অনেক খুশি হলাম। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মায়ের অপেক্ষার গল্পটি পড়ে সত্যি খুবই ভালো লাগলো। আপনি প্রতিনিয়ত খুবই সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেন এভাবে এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছেলে ফিরে আসবে না জেনেও মায়ের অপেক্ষা কখনো সে সবার নয় ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামতের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর হয়েছে আপনি এগিয়ে চলুন আমরা আছি আপনার পাশে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাবছি গল্পের একটা বই লিখব অনেকগুলো গল্প আছে একটা বইতে প্রকাশ করব কারণ ফ্যান ফলোয়ার প্রচুর তো আমার
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আসলে গল্পটির শেষ পর্ব না পড়লে মন খুলে কিছু বলা যাচ্ছে না পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম এভাবেই সুন্দরতম মতামতের মাধ্যমে পাশে থাকবেন আপনার গল্পগুলো আমার কাছে সেই ভালো লাগে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit