||আলু দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি||

in hive-129948 •  10 hours ago 
আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ! আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে। আজ , বৃহস্পতিবার ফেব্রুয়ারি ১৩/২০২৫

1000008926.jpg


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে সকালে ইচ্ছে করছিল ডিম রান্না খেতে। ডিম রান্না আমি অনেক পছন্দ করে থাকি তাই মাঝেমধ্যে আমি ডিম রান্না করে খাই। কিন্তু আজকে একটু ইউনিক ভাবে রান্না করতে ইচ্ছে হলো ।তাই ভাবলাম আমি ডিমটা আজকে ভেজে রান্না করব। এমনিতেও ডিম ভেজে রান্না করলে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।এর আগে আমি একবার ডাল দিয়ে ডিম ভাজি করে রান্না করছিলাম ।কিন্তু আজকে আমি আলু ছোট করে কেটে রান্না করেছি ।তাহলে চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে আলু দিয়ে ডিম রান্না কিভাবে তৈরি করেছি দেখে আসা যাক।।

•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••

ক্রমিক নম্বরউপাদানপরিমাণ
হলুদের গুঁড়াপরিমাণমতো
পেঁয়াজদুইটি
লবণস্বাদমতো
জিরাপরিমাণমতো
কাঁচা মরিচপরিমাণমতো
রসুনএকটি
সয়াবিন তেলপরিমাণমতো
ডিমএকটি
আলুপরিমাণমতো
ফটো-১


1000008850.jpg




প্রথমে আমি আলুগুলো অনেক সুন্দর ভাবে সাইজ করে ছোট ছোট করে কেটে নিব। কেটে নেওয়ার পর পানি দিয়ে অনেক সুন্দরভাবে ধুয়ে নিব। ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে পানি দিয়ে অনেকবার ধুয়ে নিবেন ।
ফটো-২


1000008851.jpg1000008876.jpg



এবার আমি পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ কেটে নিব। কেটে নেওয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ ও লবণ নিয়ে নিব ডিম ভাজার জন্য। এবার আমি কাঁচা মরিচ ,পেঁয়াজ কুচি লবণ ,হলুদের গুড়া একসঙ্গে চটকিয়ে ডিমটা তার ভেতর ভেঙ্গে দিব ।
ফটো-৩


1000008877.jpg1000008878.jpg


এবার আমি চুলাইয়ে রাখে কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিব। তেলটা গরম করা হয়ে গেলে তেলের উপর ভেঙ্গে রাখা ডিমটা দিয়ে দিব। দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ভেজে নিব ।ভাজা হয়ে গেলে আমি চামচের সাহায্যে সুন্দরভাবে সাইজ করে কেটে নিয়েছি। ছবিটা আপনার যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে সাইজ করে কেটে নিতে পারেন।
ফটো-৪


1000008853.jpg1000008856.jpg



এবার আমি পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ ,পেঁয়াজকুচি ,রসুন কুচি জিরা পাটার সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে বেটে নিব। পাটার সাহায্যে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো বাটা হয়ে গেলে আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে সোয়াবিন তেলের উপর পেঁয়াজ, জিরা ,কাঁচা মরিচ, রসুন বাটা দিয়ে দিব দিয়ে পরিমাণ মতো হলুদ দিয়ে দিব ।
ফটো-৫


1000008879.jpg1000008880.jpg



এবার আমি বেটে রাখা প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কষিয়ে নেওয়ার পর ছোট করে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে আবারো অনেক সুন্দর ভাবে কষিয়ে নিব।
ফটো-৬


1000008881.jpg1000008882.jpg



এবার আমি সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি দিব ।পানি দেওয়ার পর যখন দেখবেন পানিটা একটু ফুটেছে তখন সাইজ করে কেটে রাখা ডিম গুলো দিয়ে দিব। দিয়ে দেওয়ার পর কিছুক্ষণ পর দেখবেন অনেক সুন্দর ভাবে রান্নাটা হয়ে গিয়েছে। ডিম দিয়ে আলু রান্না হয়ে যাওয়ার পর আমি এটা পত্রে তুলে রেখে দিয়েছি ।
ফটো-৭


1000008883.jpg1000008884.jpg



এবার আমি কড়াইয়ে সোয়াবিন তেল দিবো, তেলটা একটু গরম করা হয়ে গেলে তেলের ওপর পেঁয়াজকুচি ও জিরা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিব ।ভাজা হয়ে গেলে পাত্রে তুলে রাখা ডিম আলু রান্না দিয়ে দিব। দিয়ে চামচের সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে নেড়ে চেড়ে নিব ।তাহলে দেখবেন রেসিপিটা খেতে আরো বেশি মজাদার লাগবে ।
ফাইনাল লুক


1000008870.jpg
1000008871.jpg




রান্না করার পর একটা বাচ্চা তুলে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন ?

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️


ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসinfinix note 11pro
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
শ্রেণীরেসিপি
Screenshot_2024_0519_194135.jpg
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzhd7Ad93hjKY7XXqXwCYMpoU77gVuL2GHGFkJzK3LBmmPDKPbSFkaNFXCeqsm5mEKePEnGR2EDVeYe2eA.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রায় দেখি কেউ ডাল দিয়ে ডিম রান্না করে নয়তো বা আলু দিয়ে ডিম রান্না করে। আমি এখন পর্যন্ত এই রেসিপিটা ট্রাই করে দেখেনি। কিন্তু লোভনীয় লাগে তাই ভাবি মাঝে মাঝে যে কখনো যদি তরকারি না থাকে তখন এই রেসিপিটা করে খাওয়া যাবে। দারুণ একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।

1000008927.jpg

1000008928.jpg

1000008929.jpg

এইভাবে ভাজা ডিম ও আলু দিয়ে ঝোল খেতে আমিও বেশ পছন্দ করি। আর অবশ্যই রুটির সাথে খাই। অনেকেই আবার ভাতের সাথেও খেতে পছন্দ করে। সেদ্ধ ডিমের ঝোল একরকম খেতে হয় আর ভাজা ডিমের ঝোল আর একরকম। ভাজা ডিমের ঝোল হলে ডিমের ভেতর ঝোলের মসলাগুলো ঢোকে ফলে আমার মনে হয় খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।

আসলে আলু হচ্ছে প্রতিটি রেসিপির একটি জনপ্রিয় উপকরণ। আলু দিয়ে যে কোন ধরনের রেসিপি তৈরি করলে অনেক বেশি মজাদার হয়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে আলু দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।

আলু দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন।আলু এমন একটি রান্নার উপকরণ যা ছাড়া কোন তরকারী তেমন একটা জমে না। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি সাজিয়েছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে।এবং সেটা আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

এভাবে ভেজে ডিম রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আমিও মেসে মাঝে মাঝে এভাবে একটা ডিম ভেজে আলু দিয়ে রান্না করি। আলু দিয়ে ডিম রান্না ভাত হোক বা রুটি খেতে দারুন লাগে। আপনার ডিম রান্না রেসিপি টা দেখে তো বেশ মজাদার হয়েছিলো বলে মনে হচ্ছে। রান্না করা সম্পন্ন প্রসেস আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে খুব ভালো লাগলো। এই ভাবে রান্না করলে খুবই মজাদার হয়ে থাকে। আলু দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি আমাদের বাসায় প্রায় সময় করা হয়। আলু দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি খেতে সত্যি খুব দারুণ হয়ে থাকে। আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

এই ধরনের রেসিপিগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন কোন কিছু থাকে না কিংবা করতে ইচ্ছে করেনা শর্টকাটের মধ্যে এ ধরনের রেসিপিগুলো তৈরি করতে সুবিধা হয়। আর গরম গরম খেয়ে নিতে আরো অনেক বেশি দুর্দান্ত হয়। রেসিপিটি ইউনিক লেগেছে অনেক ভালো লাগলো আপু দেখে।