হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট একটি গল্প শেয়ার করতে এসেছি ।আশা করি আপনাদের গল্পটি শুনে অনেক ভালো লাগবে।
ব্লগার @mdemaislam00 ব্লগিং ডিভাইস infinix note 11pro অনুবাদে মোছাঃ ইমা খাতুন শ্রেণী গল্প
||ছোট একটি গল্প||
পরিবারটি আসলেই অনেক সুখী পরিবার ।নাজমা তার বাবার একটাই মেয়ে। তার মায়ের আর কোন সন্তান হয়নি। সে আদরের মেয়ে তার বাবা-মা তাকে অনেক ভালোবাসতো। তাই নাজমাকে বিয়ে দেওয়ার পর নাজমা তার শাশুড়িদের বাসায় থাকেনি। তার বাবা তাদের নিজের বাসায় নিয়ে এসেছিল। নাজমা ও তার হাজবেন্ড তাদের মায়ের বাসায় থাকতো ।তার বাবার অনেক টাকা পয়সা ছিল তার বাবা ব্যবসা করতো। টাকা পয়সা থাকলেও শুধু নাজমা ছাড়া তার কোন ভাই বোন ছিল না ।ছোটকাল থেকে নাজমার সব কথা তার বাবা-মা সুন্তু। নাজমা রিলেশন করে বিয়ে করেছিল তার হাজবেন্ড বেকার ছিল ।তাও তার বাবা-মা কোন আপত্তি করে নি তার সাথে নাজমাকে বিয়ে দিতে। নাজমা লেখাপড়ায় তেমন ভালো ছিল না সেজন্য তার বাবা-মা তাকে বেশি পড়াইনি। নাজমা ক্লাস নাইন পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। কিন্তু তার হাজবেন্ড অনেক দূর লেখাপড়া করেও কোন চাকরি পায়নি ।
নাজমার অনেকদিন পর একটা মেয়ে হয় ।মেয়ে হওয়ার পর তাদের পরিবার অনেক খুশি ছিল ।অনেকদিন পর নাজমার বাবা ভাবলো আমার একটা মেয়ে তার নাম নাজমা। আবার আমার মেয়ে নাজমার ও একটা মেয়ে হয়েছে। একটা যদি ছেলে হতো তাহলে অনেক ভালো হতো ।আমাদের এত ধন-সম্পদ টাকা পয়সা কে খাবে। সেজন্য সে অনেক চিন্তিত ছিল। নুপুর দেখতে শুনতে অনেক কিউট হয়েছিল। তাই তাকে দেখে তার মা-বাবা অনেক খুশি হয়েছিল। যখন কারোর একটা মেয়ে সন্তান হয় তখন ভাবে এবার একটা ছেলে হলে অনেক ভালো হতো ।সেজন্য নাজমাড়াও চেয়েছিল এবার আমার একটা ছেলে হলে অনেক ভালো হবে। অনেকদিন পর নাজমার পেটে আবার বাচ্চা আসে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তার সেই বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন পর নাজমার বাবা মারা যান। অনেক শখ ছিল আমার মেয়ের একটা ছেলে সন্তান হবে। তার কোন ছেলে সন্তান ছিল না সেজন্য তার খুব শখ ছিল । আমার মেয়ের ছেলে সন্তান হলে আমি অনেক আদর করবো এবং সব সময় আমার কাছেই রাখবো। কিন্তু তার আর শখ পূরণ হলো না ।তার ছেলে সন্তান দেখার আগেই সে মৃত্যু বরণ করল। নাজমার বাবা মারা যাওয়ার পর নাজমা ও নাজমার মা অনেক কষ্ট পায়। তারা কখনো ভাবেনি তার বাবা দুনিয়ার ছেড়ে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে। তার বাবা তাদের মাথার ওপর একটা গাছের মতো তাদেরকে আগলে রাখত ।সেজন্য বাবা মারা যাওয়ার পর নাজমা ও তার মা অনেক কষ্ট পেয়েছে।
কিছুদিন পর নাজমার পেটে আবার সন্তান আসে ।জানা যায় যে নাজমার ছেলে সন্তান হবে। ছেলের সন্তান হবে কথা শুনে তারা অনেক খুশি । এতদিন পর তাদের মনের বাসনা পূরণ হবে ।ছেলে সন্তান হবে শুনতে পেয়ে তারা খুশি হয়ে গ্রামে অনেক মিষ্টি বিতরণ করে ।তখন নাজমা তার বাবার কথা ভাবে এবং বলে আজকে যদি আমার বাবা বেঁচে থাকত তাহলে কত না ভালো হতো। বাবা ছেলে হওয়ার কথা শুনে অনেক খুশি হতো। কেননা তার বাবার অনেক শখ ছিল নাজমার একটা ছেলে সন্তান হবে ।কিছু দিন পর দেখা যায় অনেক সুন্দর একটা ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে ।ছেলের নাম রাখা হয় জীবন। জীবনকে অনেক যত্ন করত এবং খেয়াল করে রাখত। তাকে একটুও একা একা ছাড়তো না। কেননা অনেক কাবড়িয়ে তারা একটা ছেলে সন্তান পেয়েছে। সেজন্য তাকে অনেক আদর যত্ন করে রাখত। তাদের পরিবার জীবনের বাবা অনেক খুশি হয়েছিল যখন জীবন হয়েছিল। জীবনের বাবা তার জন্য অনেক খেলনা ও তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে আনতো ।কেননা তাকে অনেক ভালবাসতে বলে ।
কিছুদিন পর দেখা গেল জীবনের কিছুদিন পরপরই জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকতো। তাকে সব সময় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হতো ।বিশেষ করে যখন তার বয়স দুই বছর হলো ।তখন থেকে আরও বেশি বেশি তার অসুস্থতা বেড়ে গেল ।তার অসুস্থতার জন্য তাদের পরিবার অনেক চিন্তিত ছিল। কেননা তারা বুঝতে পারতো না যে জীবন কিছুদিন পরপর এত অসুস্থ হয়ে যায় কিভাবে। তখন এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় জীবনকে ।তখন ডাক্তার অনেক রিপোর্ট করে এবং তার রক্ত পরীক্ষা করে বোঝা যায় যে তার রক্তে ভাইরাস ।আপনারা হয়তো জানেন যাদের রক্তে ভাইরাস থাকে তারা হয়তো বেশিদিন বাঁচেনা। তার রক্তে ভাইরা ছিল বলে তার কিছুদিন পরপরই বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিত ।যখন তাদের পরিবার জানতে পারল জীবনের রক্তে ভাইরাস তখন তারা অনেক কান্নাকাটি করল ।ভাবল এতদিন পর আমার একটা ছেলে সন্তান হলো আবার রক্তে ভাইরাস। তখন তারা অনেক কষ্ট পায় এবং ভেঙে পড়ে। আসলেই ছোট বাচ্চাদের যদি এমন ধরনের রোগ হয় তাহলে তাদের পরিবার অনেক কষ্ট পায়। ছোট বাচ্চাদের পর এমনিতেই অনেক মায়া লাগে। তাতে এত বড় রোগের কথা শুনে সবাই অনেক মন খারাপ করে। আশা করি আমার ছোট গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে কতটা ভালো লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit