হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে মাহাদীর কিছু কর্মকাণ্ডের কথা শেয়ার করতে এসেছি ।আপনারা হয়তো সবাই জানেন মাহাদি হলো আমার ছেলের নাম সে অনেক চঞ্চল কোন সময় স্থির ভাবে কোথাও থাকে না। সব সময় এদিকে ওদিকে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়। মাহাদীর বয়স মাত্র দুই বছর। আর ২ বছরের বাচ্চারা একটু দুষ্টামি বেশি করে থাকে ।সারাদিন সে কাদামাটি নিয়ে খেলা করে। বাচ্চারা কাদা মাটি দিয়ে খেলতে দেওয়া বেশি ভালো ।অনেক বাচ্চারা আছে তারা হয়তো সবসময় মোবাইল ফোন নিয়ে পড়ে থাকে। ছোট বাচ্চারা স্মার্টফোনের বিভিন্ন ধরনের কার্টুন দেখে থাকে। এই কাটুন দেখলে বাচ্চাদের যেমন চোখের সমস্যা হয় তেমনি মাথাও অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে মাহাদিকে নিয়ে আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম ।ডাক্তার বলল বাচ্চাদের সব সময় মাটিতে ছেড়ে দিবেন খেলাধুলা করার জন্য। এখনকার বাচ্চারা স্মার্টফোনের কার্টুন বা গান দেখে বাচ্চাদের মাথায় ও চোখের অনেক সমস্যা হচ্ছে ।সেজন্য বাচ্চাদের মাটিতে খেলতে দেওয়ায় ভালো ।আর মাহাদি সবসময় মাটিতেই খেলাধুলা করে থাকে । মাহাদির অনেকগুলো খেলনা আছে আর সেই খেলনা দিয়ে খেলাধুলা করে থাকে।
ব্লগার @mdemaislam00 ব্লগিং ডিভাইস infinix note 11pro অনুবাদে মোছাঃ ইমা খাতুন
||মাহাদির কর্মকাণ্ড||১০%@shy-fox এর জন্য
কিছুদিন আগে মাহাদী অনেক অসুস্থ ছিল ।মাহাদীর যেমন জ্বর এসেছিল তেমনি মুখে ঘা হয়েছিল। সেজন্য আমি অনেক চিন্তিত ছিলাম। সে কিছু খেতে চাচ্ছিল না। ওষুধ খাওয়াতে গেলে দাঁত চাপ দিয়ে ধরে রাখছিল। অনেক কষ্ট করে মুখের ভিতর জোর করে ওষুধ দিলেও সে ওষুধ গিলতে চাচ্ছিল না ।তখন আমি অনেক বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম ।না জানি কিভাবে আমি আমার বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়াবো ওষুধ না খাওয়ালে তো তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে না। এদিকে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে কোন ভাত খেতে চাই না ।খুব জোর করে পাতলা করে সেমাই রান্না করে দিলে মাঝেমধ্যে অল্প একটু খেত। তখন আমার অনেক কষ্ট লাগতো আমার ছেলে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে এর মধ্যে কোন ভাত খাচ্ছে না। এখন আমি কি করি ।তখন ভাবলাম আল্লাহর রহমতে আমার ছেলে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকলেই ভালো। একদিন সে সুস্থ হয়ে গেলে ঠিকই খাবার খেতে শুরু করবে ।মাহাদি অসুস্থ হলেও সে কিন্তু সব সময় আনন্দিতই ছিল ।মাহাদি ডিম ও মাছ খেতে অনেক ভালোবাসে ডিম দেখলে তার যেন মাথায় আর কাজ করে না ।মাহাদী যখন অসুস্থ ছিল তখন তাকে সামলানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল ।তাই আমি আম্মুদের বাসায় মাহাদিকে নিয়ে চলে যাই। আম্মুদের বাড়িতে বড় একটা পাতি হাঁসের ঘর আছে। আম্মু অনেক আগে থেকেই অনেকগুলো পাতিহাঁস পালন করে থাকে ।যখন সকালে ঘুম থেকে উঠি তখন দেখি পাতিহাঁস অনেকগুলো ডিম পেড়ে আবার পানিতে চলে গিয়েছে চড়তে। তখন ডিম গুলো একসঙ্গে দেখে আসলেই অনেক ভালো লাগতো। পাতি হাঁসের ঘরের ছোট একটা মুখ আছে। সেই মুখ দিয়ে পাতি হাঁসের ডিম বের করতে হয়। আমার আম্মু পাতি হাঁসের ঘরের মুখ দিয়ে ডিম বের করতে পারেনা। লঠি দিয়ে বের করে থাকে। একদিন সকালে মাহাদির চোখে যখন ডিম পরল তখন সে সেই ডিমগুলো একসঙ্গে দেখতে পেয়ে আর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি ।যেমন ছোট মানুষ তেমনি পাতিহাঁসের ঘর এর মুখ অনেক ছোট। সেই ছোট মুখ দিয়ে মাহাদি ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে এবং ডিম বের করতে শুরু করে দেয়। আমি যখন দেখি ডিম বের করতে ঢুকেছে তখন এই দৃশ্যটা দেখে অনেক হাসি পাচ্ছিল ।আর ভাবছিলাম কিভাবে সে পাতি হাঁসের ঘরের ভেতর ঢুকলো ।তখন আমি একটা ছবি তুলে নিয়েছি আমার আম্মুকে ডিম বের করা দৃশ্যটি দেখাবো বলে ।
আম্মুকে যখন মাহাদির ডিম বের করার দৃশ্যটি দেখালাম তখন আম্মু দৃশ্যটি দেখে অনেক হাসছিল। সেদিন থেকে মাহাদি প্রতিদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে পাতিল হাঁসের ঘরের ভেতরে ঢুকে ডিম বের করতে শুরু করে দেয়। যে কয়দিন আম্মুদের বাসায় ছিলাম সেই কয়দিন প্রতিদিন পাতি হাঁসের ডিম বের করে গুছিয়ে দিত আর বলতো আমি খাব ডিম। কাউকে একটাও ডিম দিত না মাহাদী। এখনো তেমন একটা ভালোভাবে কথা বলতে পারেনা ।আলতো আলতো ভাবে কথা বলে সে মানুষকে কিছুটা কথা বুঝাতে চাই। এত সুন্দর ভাবে কথা বলে আপনারা শুনলে হয়তো অনেক আনন্দ পেতেন ।এমনিতেই ছোট বাচ্চারা যখন অল্প একটু কথা বলতে শিখে তখন তাদের কথাগুলো শুনতে অনেক ভালো লাগে। যে কয়দিন আম্মুদের বাসায় ছিলাম সেই কয়দিন মাহাদী ডিম গুলো গুছিয়ে থুয়ে দিত বাসায় আনবে বলে। কিন্তু তার মুখে ঘা হয়েছিল বলে তাকে হাঁসের ডিম আমি তেমন একটা খাওয়াতাম না। শুধু মুরগির ডিম সিদ্ধ করে খাওয়াতাম। যখন তার মুখের ঘা সেরে গেল তখন তাকে সেই ডিমগুলো আবারও খেতে দিলাম ।আসলেই মহাদী ডিম এত পছন্দ করে যে যখন সে নানুদের বাড়িতে অতোগুলো ডিম একসঙ্গে দেখছিল তখন হয়তো তার অনেক ভালো লাগছিল। সেজন্য সে অনেক কষ্ট করে পাতিহাঁসের ঘরের ভেতর ঢুকে ডিমগুলো সংগ্রহ করে এনেছিল আল্লাহর রহমতে মাহাদী এখন অনেক সুস্থ হয়ে গিয়েছে ।আবারও সে নানুদের বাড়ির সেই পাতি হাঁসের ডিম খেতে শুরু করে দিয়েছে ।মাহাদি সব ডিম টুকু খাই না শুধু ডিমের কুসুম টুকু খাই। এতো চেষ্টা করেও তাকে সাদা অংশটুকু খাওয়াতে আজও পারলাম না।আপনাদের যদি মাহাদীর এই কর্মকান্ডটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাচ্চাদের এমন অসুখ লেগে রয়েছে। যাইহোক বাবুর সুস্থতা কামনা করি। বাবুর প্রতি অনেক যত্ন নিতে হবে। আর বাচ্চাদের এমন কর্মকাণ্ডগুলো মাঝেমধ্যে বিরক্ত সৃষ্টি করে আবার মাঝেমধ্যে আনন্দ দেয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের কর্মকাণ্ড অনেক সময় বিরক্ত মনে হয়। আবার অনেক সময় আমাদের আনন্দ দিয়ে থাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পাতি হাঁসের ঘরের মুখ যেহেতু ছোট তাই ছোট মানুষের প্রয়োজন ডিম বের করতে। তোমার বাবু বুঝে শুনে ঢুকে পড়েছে ঘরের মধ্যে। যাই হোক বাবুর জন্য অনেক দোয়া করি যেন সবসময় সুস্থ থাকে। এখন আবহাওয়া চেঞ্জ হচ্ছে অনেক সাবধানে রাখতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু সাবধানে তো রাখি অনেক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit