হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে যখন সকালে ঘুম থেকে উঠলাম তখন দেখতে পেলাম কিছুটা রোদের মুখ। আবার কিছুক্ষণের মধ্যে যেন চারদিকে কুয়াসাই ঘিরে গেল। এই আবহাওয়াটা দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছিল। মনে হয়েছিল যেন আজকে আর রোদের মুখ দেখা যাবে না ।চারিদিকে এমন আবহাওয়া থাকলে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। কেননা তারা বাইরে খেলতে অনেক ভালোবাসে। যতই চেষ্টা করি ঘরে আটকে রাখতে সেটা সম্ভব না ।তাদের কান্না ও চিৎকারের জন্য আবার তাদেরকে খেলার জন্য বাইরে বের করতে হয়। কিছুদিন আগে আমার বাচ্চার ঠান্ডার জন্য অনেক সমস্যা হয়েছিল। সেজন্য আমি ঠান্ডা আবহাওয়া অনেক ভয় পাই। আমি কেন সব ছোট বাচ্চাদের মায়েরা হয়তো ঠান্ডা আবহাওয়া নিয়ে একটু চিন্তিত থাকে। তাহলে চলুন বন্ধুরা এসব কথা বাদ দিয়ে আসল কথায় যাওয়া যাক। আজকে আমি আপনাদের সাথে সুমাইয়ার জীবনের গল্প শেয়ার করতে এসেছি। অন্যদিন আমি রেসিপি ডাই পোস্ট অথবা ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয় ।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে সেই গল্পটি শোনা যাক।
ব্লগার @mdemaislam00 ব্লগিং ডিভাইস infinix note 11pro অনুবাদে মোছাঃ ইমা খাতুন শ্রেণী গল্প
||সুমাইয়ার জীবনের ছোট গল্প||
ছোটবেলা থেকেই সুমাইয়া পড়াশোনায় তেমন ভালো না। পড়াশোনায় ভালো না হলেও তার ব্যবহার দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। সুমাইয়া ছোটকাল থেকে একটু অলস প্রকৃতির ।অলস প্রকৃতির কারণে তার মায়ের কাছ থেকে সে প্রতিনিয়ত বকাঝকা খেয়ে থাকে। সবথেকে সে পড়াশোনার দিক থেকে বেশি অলস ।তার মা যদি বলে সুমাইয়া পড়তে বসো তাহলে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখায় সে । সুমাইয়া তার বন্ধুবান্ধবদের সাথে অনেক মিলেমিশে থাকে। পড়াশোনার দিক থেকে অলস হলেও সে অনেক সুন্দর পেইন্টিং করতে পারত। তার হাতের এত সুন্দর পেইন্টিং ছিল যে সবাই তার পেইন্টিং দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতো। বোঝাই যেত না যে সে এত সুন্দর ভাবে পেইন্টিং তৈরি করে। সুমাইয়ার স্কুল শিক্ষকরাও সুমাইয়া কে বলতো পিন্টিং তৈরি করার জন্য ।সুমায়া পেন্টিং তৈরি করতে অনেক ভালোবাসতো। ছোটকাল থেকেই তার পেন্টিং তৈরি করার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল। একদিন সুমাইয়া অনেক ব্যস্ত ছিল। কেননা সুমাইয়া পরীক্ষার পড়াশোনা নিয়ে অনেক চিন্তা করত। সুমাইয়া তখন মাধ্যমিককে পড়াশুনা করতো। যেদিন তাদের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল সে বাংলা ও বিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছিল। যেদিন গণিত পরীক্ষা ছিল সেদিন পরীক্ষা দিতে দিতে হঠাৎ তার বাথরুম পায়। সে বাথরুমে যেয়ে অনেকক্ষণ হয়ে যায় বাইরে বের হয় না। গেট দারোয়ান লক্ষ্য করে দেখে যে সুমাইয়া অনেকক্ষণ আগে বাথরুমে গিয়েছে কিন্তু এখনো সে বাথরুম থেকে বের হচ্ছে না। তখন অনেক চিন্তিত হয়ে যায় ।যখন পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় তখন ভাবে অনেকক্ষণ আগে তো আমি সুমাইয়াকে দেখছিলাম বাথরুমে বের হলো না। তখন গেট দারোয়ান সুমাইয়ার বিষয়টা শিক্ষকদেরকে বলে ।
গেট দারোয়ান যখন শিক্ষকদেরকে জানায় তখন শিক্ষকরা যেয়ে দেখে ভিতর থেকে বাথরুমের দরজা আটকানো ।তখন অনেকক্ষণ ডাকার পর কোন সারা শব্দ না পাওয়ার কারণে তারা সিদ্ধান্ত নেৎ দরজা ভেঙে ফেলবে ।দরজা ভেঙে ফেলার পর দেখে সুমাইয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তখন খুব দ্রুত সেখান থেকে সুমাইয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।হাসপাতালে যে জানতে পারে সুমাইয়া মারা গিয়েছে এবং সুমাইয়াকে সাপে কামড়েছে ।অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার কারণে তার সমস্ত শরীর নীল আকার ধারণ করেছে। তখন সবাই অনেক কষ্ট পায় এবং সুমাইয়ার মাকে বিষয়টা জানানো হয়। সুমাইয়ার মা যখন জানতে পারে সুমাইয়া আর এই দুনিয়ায় নাই সুমাইয়াকে সাপে কামড়িয়ে দিয়েছে। সেজন্য সে মারা গিয়েছে তার মা অনেক কষ্ট পায়। মাইয়ার বন্ধুবান্ধব অনেক কষ্ট পাই এই বিষয়টা দেখে। সবাই একসঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছিল হঠাৎ সে বাথরুম করতে এসে এমন হবে এটা কল্পনাও করতে পারছিল না কেউ। সবাই ভাবছিল সাপটা কোথা থেকে এলো।বাথরুমের বাইরে যে ঝুড়ি রাখা হয় নোংরা রাখার জন্য সম্ভবত সেই ঝুড়িতে হয়তো সাপটা ছিল। সুমাইয়ার পায়ের শব্দ পেয়ে সাপটা হয়তো বাথরুমের ভিতর চলে গিয়েছিল। আর সে খেয়াল করেছিল না যখন সে বাথরুমটা আটকে দিয়েছিল তখনই হয়তো সুমাইয়াকে সাপটা কামড়িয়ে দিয়েছিল।যখন সাপটা সুমাইয়াকে কামড়ে দিয়েছিল তখন হয়তো সুমাইয়া চিৎকার করেছিল ।বাথরুম ভেতর থেকে আটকানো ছিল বলে আওয়াজটা বাইরে বের হয়েছিল না। আর আশপাশে কেউ ছিল না সবাই পরীক্ষার জন্য ব্যস্ত ছিল। সেজন্য হয়তো সুমাইয়ার চিৎকারের আওয়াজ কেউ শুনতে পেয়েছিল না। সুমাইয়া মারা যাওয়ার পর তার সেই পেইন্টিং এর জন্য সুমাইয়ার কথা অনেক মনে পড়তো ।কেননা সে মাঝেমধ্যেই পেন্টিং তৈরি করে সবাইকে উপহার দিত। আশা করি সুমাইয়ার জীবনের ছোট গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে? কতটা ভালো লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit