||ধনেপাতা ভর্তা রেসিপি||১০%@shy-fox এর জন্য

in hive-129948 •  yesterday 
আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ! আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে। আজ , শুক্রবার জানুয়ারি ১০/২০২৪

1000006155.jpg


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ধনেপাতার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করব ।আমরা হয়তো ধনেপাতা বিভিন্ন ধরনের সবজির সাথে দিয়ে রান্না খেয়েছি ।কিন্তু আলাদাভাবে ভর্তা করে খাইনি। আবার অনেকেই জানে না যে কি করে ভর্তা তৈরি করে খেতে হয়। অনেকদিন আগে আমি একদিন ধনেপাতার ভর্তা খেয়েছিলাম আসলেই এই ছবিটা খেতে যে এত মজাদার না খেলে হয়তো স্বাদ বোঝা যাবে না ।আমার বাংলা ব্লগে কাজ করি বলে আবারো নতুন করে ধনে পাতার ভর্তা তৈরি করার সুযোগ হলো। আজকে সকালে আমি ভাবছিলাম ধনেপাতার ভর্তা তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সকাল না হতেই আমি ধনেপাতার ভর্তা তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছি। ধনেপাতা ভর্তার সাথে গরম ভাত খেতে অনেক ভালো লাগে। অনেকেই আবার রুটি দিয়েও খেয়ে থাকে। তাহলে চলুন দেরি না করে সেই মজাদার ধনেপাতার কি ধরে কোনদিন ভর্তা রেসিপি দেখে আসা যাক কিভাবে আমি তৈরি করেছি।

•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••

ক্রমিক নম্বরউপাদানপরিমাণ
ধনেপাতাপরিমাণমতো
পেঁয়াজ কুচিপরিমাণমতো
লবণস্বাদমতো
রসুন কুশিপরিমাণমতো
কাঁচা মরিচপরিমাণমতো
জিরাপরিমাণমতো
হলুদপরিমাণমতো
সয়াবিন তেলপরিমাণমতো
ফটো-১


1000006118.jpg1000006056.jpg



প্রথমে আমি ধনেপাতা গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ছিড়ে নিয়েছি ।ছিড়ে নেওয়ার পর পানি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে অনেক বার ধুয়ে নিব ।ধোয়া হয়ে গেলে চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো পানি দিব ।পানিটা একটু ফুটে গেলে ফুটন্ত পানির ভেতর ধনেপাতা গুলো দিয়ে দিব সিদ্ধ করার জন্য ।
ফটো-২


1000006119.jpg1000006117.jpg



এইতো অনেকটাই সিদ্ধ করা হয়ে গিয়েছে ।সিদ্ধ করার সময় চামুচের সাহায্যে অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে ।তাহলে সবগুলো ধনেপাতা অনেক সুন্দর ভাবে সিদ্ধ হয়ে যাবে।
ফটো-৩


1000006152.jpg1000006064.jpg

1000006153.jpg




সিদ্ধ করার পর আমি একটা পাত্রে তুলে নিব ঠান্ডা করার জন্য ।ধনেপাতা গুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে আমি পাটার উপর রেখে দিয়েছি বাটার জন্য ।পাটার সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে ধনেপাতা গুলো বেটে নিতে হবে। অনেক সুন্দর ভাবে পাটার সাহায্যে বাটা হয়ে গিয়েছে ।
ফটো-৪


1000006070.jpg1000006071.jpg



এবার আমি পেঁয়াজকুচি, রসুন কুচি, কাঁচামরিচ পরিমাণমতো নিয়ে নিব। নেওয়া হয়ে গেলে চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিবো। তেলটা গরম করা হয়ে গেলে পরিমাণমতো হলুদের গুড়া, জিরা ,লবণ দিয়ে দিব ।
ফটো-৫


1000006072.jpg1000006073.jpg



এবার আমি চামচের সাহায্যে অনেকক্ষণ নারা চারা করার পর পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ ভাজা হয়ে যাবে ।এইতো অনেক সুন্দর ভাবে কাঁচা মরিচ,পেঁয়াজ ,রসুন ভাজা হয়ে গিয়েছে কালারটা অনেক সুন্দর হয়েছে ।
ফটো-৬


1000006120.jpg1000006121.jpg



এবার আমি ভাজা উপকরণগুলোর ভেতর বেটে রাখা ধনেপাতা গুলো দিয়ে দিব। অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর সবগুলো তেলে ভাজা হয়ে যাবে।
ফটো-৭


1000006121.jpg




অবশেষে তৈরি করা হয়ে গেল ধনেপাতা ভর্তা ।আপনাদের যদি রেসিপিটা ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই এমন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পারবেন ।

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️


ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসinfinix note 11pro
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
শ্রেণীরেসিপি
Screenshot_2024_0519_194135.jpg
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzhd7Ad93hjKY7XXqXwCYMpoU77gVuL2GHGFkJzK3LBmmPDKPbSFkaNFXCeqsm5mEKePEnGR2EDVeYe2eA.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শীতকাল মানেই টাটকা তাজা ধনেপাতার মরশুম। এই সময় ধনেপাতার ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতে ধনেপাতার চাটনি অত মা একটু খানি তেতুল জল মিশিয়ে দিতেন তাতে। আমরাও রান্নায় অনেক ধনেপাতা ব্যবহার করে থাকি তবে এইভাবে ভর্তা কখনো করিনি। ধনেপাতা কে সেদ্ধ করে খুব সামান্য পরিমাণ মসলার সংযোজনে এই ধনে পাতার ভর্তা আশা করি খেতে খুবই সুস্বাদু।

ধনেপাতা আমার তেমন একটা পছন্দের না। তবুও আপনার তৈরি করা ধনেপাতা ভর্তা রেসিপি টি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি বেশ দারুন ভাবে ধনেপাতা ভর্তা রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। শীতকালে এই ধনেপাতা প্রায় সব ধরনের রেসিপির মধ্যে ব্যবহার করা হয়।

সহজ এবং মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সত্যি বলতে আপু পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখে চিতই পিঠার সাথে খেতে ইচ্ছে করছে। মজাদার ধনেপাতা ভর্তা রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধনেপাতা আমার খুব পছন্দের একটা খাবার। ধনেপাতার ভর্তা আরো বেশী পছন্দের। আপনার প্রতিটি রেসিপি অনেক লোভনীয় হয়।আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাঁর কারণ আপনি সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করে এবং সেটা ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেন এই জন্য আপনার রেসিপি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।

ধনিয়া পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকার। আমি যতটা জানি এটা ঔষধি পাতা হিসেবে বিবেচিত। এই পাতার রস খেলে বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ হয়। তাই মাঝেমধ্যে শাঁকের মতো ভর্তা করে খেতে পারলে ভালো হয়।

এবার আমি অনেক ধনিয়া বীজ বুনে ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য কথা বেশি একটা গাছ হয়নি। গত বছর আবার অনেকে ধনীয়া গাছ ছিল। আজকে আপনি সুন্দরভাবে ধনিয়া পাতার ভর্তা তৈরি করে দেখিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো এই ভর্তা তৈরি করতে দেখে। আমি কিন্তু এই পাতা কাঁচা খেতে খুব পছন্দ করি।

শীতকালীন সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের ভর্তা রেসিপি খেয়ে থাকি । শীতের সময় ভর্তা রেসিপিগুলো বেশি পরিমাণ ঝাল দিয়ে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ধনিয়া পাতার ভর্তা রেসিপি যেটা আমার খুবই প্রিয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার ভর্তা রেসিপি তৈরি দেখে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ধনেপাতা আমার তেমন একটা পছন্দের না। তবুও আপনার তৈরি করা ধনেপাতা ভর্তা রেসিপি টি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি বেশ দারুন ভাবে ধনেপাতা ভর্তা রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। শীতকালে এই ধনেপাতা প্রায় সব ধরনের রেসিপির মধ্যে ব্যবহার করা হয়।

যে কোন ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি দেখতেছেন মজার ধনে পাতার ভর্তা রেসিপি করেছেন। তবে ধনে পাতা ভর্তা আমি অনেকবার খেয়েছি। খেতে আলাদা একটা ঘ্রাণ লাগে। আর এই ধরনের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত গরম ডাল দিয়ে খেতে বেশ মজাই লাগে। সুন্দর করে ধনেপাতা ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

1000006235.jpg

1000006240.jpg

1000006241.jpg

1000006230.jpg

ধনেপাতার ভর্তা আমাদের তেমন একটা খাওয়া হয়না। এই ভর্তাটা একদমই তৈরি করা হয় না। তবে আপনার রেসিপিতে দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। গরম গরম ভাতের সাথে এরকম ভর্তা দারুন লাগবে খেতে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু।

আমিও ধনেপাতা ভর্তা খুবই পছন্দ করি।দারুণ লাগে খেতে।বেশ কয়েকদিন খেয়েছি ধনেপাতা ভর্তা।আপনি ভীষণ লোভনীয় করে ধনেপাতা রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। দারুণ বানিয়েছেন রেসিপিটি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লভনীয় রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

যদিও আমি ধনিয়া পাতা একদমই খেতে পারি না তবে যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে শুনেছি ধনিয়া পাতার ভর্তা নাকি খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়। সত্যি কথা বলতে আপনার এই রেসিপিটি দেখে খুবই লোভ লাগছে আপু।যাইহোক যেহেতু খাই না তাই নজর দিয়ে লাভ নেই। ধন্যবাদ ধনিয়া পাতার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য

ধনেপাতা খেতে আমি তেমন পছন্দ করি না।তবে আজকে আপনার তৈরি ধনেপাতা ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।এরকম ভর্তা দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে খুবই মজা।ধনেপাতা ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার কাছে শীত কালের সেরা রেসিপি মনে হয় এটাই। আমি ধনিয়া পাতা খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দর করে যত্নসহকারে ধনিয়া পাতা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখতে জ্বিভে পানি চলে আসেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।