হাই
আমি মোঃ নজরুল ইসলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার জীবনের কিছু বাস্তব ঘটনা শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমার পরিবারে আমরা দুই ভাই ছিলাম। দুজন একসাথে বেশি সময় কাটাতাম। ছোট ভাইয়ার নাম ছিল নাজমুল। সে খুব মেধাবী ছিল এবং খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু আমি যখন এইচ.এস.সি তে পড়াশুনা করি তখন আমার ছোট অস্থুস্থ হয়ে পড়ে তাকে অনেক যায়গায় অনেক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই সবাই বলে গ্যাসের সমস্যা । অনেক চিকিৎসা করিয়েছি। কিছু দিন সুস্থ থাকে আবার সেই সমস্যা দেখা দেয়। শুরু হলো সেই ভয়ানক দিন গুলো। হঠাৎ করে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকায় হাসপাতালে নিয়ে যাই কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস সে সুস্থ হয়না সে খানে আমাদের ছেড়ে চলে যায়। আমার ভাইয়ার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তারপর আমার বাবা-মা অনেক ভেংগে পড়েন এবং পুরো পরিবারের দায়িত্ব আমার উপর। তখন থেকে শুরু হলো আমার জীবনের যুদ্ধ। একটি চাকুরির জন্য অনেক ঘুরাঘুরি করি অবশেষে একটা কোম্পানি থেকে আমাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকলো। আমি তখন মাস্টার্চ ভর্তি হয়েছি মাত্র। আমি পরিক্ষা দেওয়ার জন্য গেলাম পরীক্ষা দিলাম লিখিত, ব্যবহারিক পরিক্ষায় খুবই ভালো করলাম কিন্তু যখন ভাইভা দিতে গেলাম তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আপনাকে যদি আমরা লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেই তাহলে আপনি কি লেখাপড়া করবেন আমি মনে মনে ভাবলাম সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। আমি বললাম হ্যা করবো। তখনি সেই দুঃখের সময়টা শুরু হলো। তখন তারা বলল দুঃখিত আপনি আসতে পারেন, আপনার জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা থাকবে আপনি পড়াশুনা শেষ করে আসেন কিন্তু চাকুরি টা আমার বিশেষ প্রয়োজন ছিল। ফিরতে হলো বাড়িতে খালি হাতে। এরকম ভাবে কয়েক বছর চেষ্টা চালিয়ে গেলাম কিন্তু চেষ্টা কোন কাজে আসেনি। তারপরও সংগ্রাম থামিয়ে রাখিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিছিলাম অবশেষ আপনাদের দোয়া খুবই সম্মানজনক একটি চাকুরি পেয়েছি।
এখন আমি একটি স্কুলের শিক্ষক হিসাবে আছি। এখানে আমার সহকর্মীরা খুবই ভালো। আমাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগীতা করে।
শুধু তাই নয় আমার কর্মস্থলে আমার স্কুলের অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা খুবই ভালোবাসে আমিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে ছোট ছোট কমলমতি শিক্ষার্থীদের ভালোকিছু শিখতে পারে। যাই সবাই দোয়া করবেন যাতি কর্মস্থলে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি।
পরিশেষে আমি বলতে চাই আসলে মানুষ যদি কঠোর পরিশ্রম করে তাহলে তার সফলতা একদিন আসবেই।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।