রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো কচুরিপানা।। 10% beneficiary to @shy-foxsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। কোন একটি কারনে আমার খুব মন খারাপ। আচ্ছা বলেই দেই, কদিন আগে আমার কম্পিউটারের মনিটর নষ্ট হয়েছিল এবং তা নিয়ে আমি একটি পোস্ট করেছিলাম। সেই মনিটর ঠিক করতে গিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্য দিয়েই পার করেছিলাম। যাই হোক অবশেষে রিপ্লেস করে নতুন মনিটর দিয়েছে। তার কিছুদিন পরেই দুদিন আগে আমার হাত থেকে মোবাইল পরে গিয়ে মোবাইলের ডিসপ্লে টা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই মোবাইল দিয়ে আমি দিনের বেলায় অফিসে থেকে আমার বাংলা ব্লগের বেশ কিছু কাজ এগিয়ে নিতাম। আজ দুদিন ধরে তেমন কাজ করতেই পারছি না। দিনের বেলা অফিসের কম্পিউটারে লাঞ্চের সময় বসে অল্প কিছু কাজ করি।আর বাসায় গিয়ে পি সি তে বসে যতটুকু পারছি করছি। যাই হোক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দ্রুত ঠিক করা জন্য। এমনিতে দু এক জায়গাতে কথা বলেছি দেখা যাক কি হয়। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে কচুরিপানা বানানোর পদ্ধতি শেয়ার করব। আমি এই ধরনের রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো ডাই এর কাজগুলোতে নতুন বলা যায়। তবে চেষ্টা করছি দ্রুত হাত পাকা করে নিতে।


IMG_20221102_000627.jpg


কচুরিপানা বানাতে যা যা লেগেছে


রঙ্গিন কাগজ
কাচি
আঠা
পেন্সিল


IMG_20221101_230331.jpg


কচুরিপানা বানানোর পদ্ধতি



আমি দুটি ভিন্ন রঙের কাগজ দিয়ে দুটি ফুল বানিয়েছি। দুটি ফুলের বানানোর পদ্ধতি একই হওয়াতে আমি একটি ফুলের বানানোর পদ্ধতি এখানে শেয়ার করছি।


ধাপ ০১



এই ধাপে আমি একটি A4 সাইজের কাগজকে লম্বালম্বিভাবে ভাজ করে নিয়েছি এবং হালকা একটি বর্ডার লাইন একে দিয়েছি যেন দাগ বোঝা না যায়। বর্ডার লাইন দেয়ার মানে হচ্ছে এই লাইন পর্যন্ত কাটতে হবে। বর্ডার লাইনের উপরে আঠা লাগানোর জন্য স্পেস রাখতে হবে।

IMG_20221101_230428.jpg


ধাপ ০২



এই ধাপে আমি ছবির মত করে ভাজ করা কাগজ কেটে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে কাটা যেন বর্ডার লাইনের নিচে থাকে।

IMG_20221101_230817.jpg


ধাপ ০৩



এই ধাপে আমি ছবির মত করে প্রতিটি কাটা অংশ ভাজ করে নিয়েছি।

IMG_20221101_231602.jpg


ধাপ ০৪



এই ধাপে আমি একটি সবুজ রঙের কাগজ নিয়ে তাকে পাশাপাশিভাবে মাঝ বরাবর কেটে নিয়েছি। এই ভাজ করা অংশ দুটি দিয়ে কচুরিপানার লাঠি বানিয়েছি।

IMG_20221101_230910.jpg

IMG_20221101_231617.jpg


ধাপ ০৫



এই ধাপে ধাপ ৩ এ ভাজ করা কাগজে আঠা লাগিয়ে দিয়েছি এবং তা সবুজ লাঠির মধ্যে সুন্দরভাবে পেচিয়ে নিয়েছি। পেচানোর সময় খুব ধীরে ধীরে পেচাতে হবে যেন এলাইনমেন্ট ঠিক থাকে।

IMG_20221101_231638.jpg


ধাপ ০৬



পেচানোর পর আমি কিছুক্ষন রেখে দিয়েছি যেন আঠা ভালভাবে লাগে। আঠা ভালভাবে লেগে গেলে আমি কচুরিপানার পাতাগুলো একটু একটু করে খুলে দিয়েছি যেন পাতাগুলো কিছুটা ছড়িয়ে থাকে। এই পর্যায়ে আমার কচুরিপানা বানানো সম্পন্ন হয়েছে।


IMG_20221101_231945.jpg


শেষ ধাপ



ঠিক এভাবে আমি হলুদ রঙ্গিন কাগজ দিয়ে আরেকটি কচুরিপানা বানিয়েছি। একটি দেখতে ছাড়া ছাড়া লাগবে তাই দুটি ভিন্ন রঙের বানিয়েছি।

IMG_20221102_000627.jpg


ডিভাইসভিভু
মডেলওয়াই ২১
ক্রেডিট@miratek
বিষয়রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো কচুরিপানা

আশা করি আমার রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো কচুরিপানার ডাই এর কাজ আপনাদের ভাল লেগেছে। পরবর্তীতে আরো ভাল কিছু ডাই প্রোজেক্ট বানিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো কচুরিপানা গুলো দেখতে অসাধারণ হয়েছে। রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস গুলো দেখতে অসাধারণ হয়েছে। নিখুঁত ভাবে পুরো কাজটি সম্পুর্ন করেছেন। চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।

ছোটবেলায় এই ধরনের ফুল বানিয়েছিলাম, স্কুলের চারু কার কালার প্র্যাকটিক্যাল হিসাবে। আজকে অনেকদিন পর আপনার কাছে এই ফুলটি দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো আপনার ডাই প্রজেক্ট টি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আমার বানানো রঙিন কাগজের কচুরিপানা আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু।

কম্পিউটার মনিটর নষ্ট হয়ে গেলে ঠিক না করে রিপ্লেস করাই ভালো। মনিটর ঠিক হলে আবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার আপনার ফোনের ডিসপ্লেটা ভেঙে গিয়েছে এটা আসলেই দুঃখজনক। ফোন সবসময় হাতে থাকে এটা দিয়ে টুকটাক অনেক কাজ করে ফেলা যায়। পিসিতে বসা সেটা সব সময় হয়ে ওঠেনা। আপনার ফোন যেন তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায় এই দোয়াই করছি। আর রঙিন কাগজের দিয়ে বানানো এটাকে আমি ফুল মনে করেছিলাম এটা যে কচুরিপানা সেটা বুঝিনি। তবে জিনিসটা আপনি ভালো বানিয়েছেন।

ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

যাই হোক আপনার কম্পিউটারের মনিটর রিপ্লেস করে নতুন মনিটর পেয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। বলতে গেলে মোবাইলই হচ্ছে আমাদের এখন জীবন সঙ্গী আর আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে যাওয়াতে আপনার কাজের খুব সমস্যা হচ্ছে জেনে খুব খারাপ লাগলো। আপনার মোবাইলটা যাতে তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায় কামনা করছি। তবে আপনার আজকে রঙিন কাগজের তৈরি কচুরিপানার ফুল গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

মোবাইল ছাড়া অনেক কাজ পিছিয়ে যায় আপু। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আসলে কাজে যদি বিলম্ব হয় কিংবা প্রয়োজনীয় জিনিস যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বেশ মন খারাপ হয়। আপনার মন খারাপের বেশ যথেষ্ট কারণ আছে। একদিকে কম্পিউটারের মনিটর নষ্ট হয়েছে অন্যদিকে মোবাইল ফোন। তাই তো আপনি হয়তো ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। তবে যাই হোক ভাইয়া এখন হয়তো ধীরে ধীরে সব কিছুই সামলে নেবেন। আপনার তৈরি করা রঙিন কাগজের এই সুন্দর কচুরিপানা কিন্তু দারুণ হয়েছে দেখতে। খুবই সুন্দর লাগছে।

প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হলে সত্যিই খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপু উৎসাহমুলক মন্তব্য করার জন্য।

রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস দেখতে সুন্দর লাগে। আপনার রঙিন কাগজের তৈরি কচুরিপানা দেখতে সুন্দর লাগছে।কালার গুলো সুন্দর ফুটে উঠেছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই ডাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

আমার বানানো কচুরিপানা আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু।

আপনার ৰানানো কচুরিপানা দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এমন কচুরিপানা বন্ধুদের সঙ্গে বানাতাম। আপনার কচুরিপানাটা দেখতে আমার ছোটবেলার কচুরিপানার মতই।এত সুন্দর ভাবে উপস্হাপনের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

জী ভাইয়া এই ধরনের কচুরিপানা ছোটবেলায় আমিও বানিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমার মন্তব্যের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মন খারাপ হওয়ার বিষয়টি জানতে পারলাম। আসলে মোবাইল ফোন নষ্ট হলে খুব খারাপ লাগে। মনে হয় কি যেন হারিয়ে গেল আমার কাছ থেকে। গতকাল আমার নষ্ট হয়েছিল একবেলা ফোন ব্যবহার করতে পারি নাই। তাতেই অনেক খারাপ লেগেছে। দোয়া করি আপনি আপনার সমস্যা থেকে দূত সমাধান পাবেন আশা করছি।যাই হোক ভাইয়া সব ঠিক হয়ে যাবে আছতে আছতে। এতো কিছু মধ্যে আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে সুন্দর একটি কচুরিপানা তৈরি করেছেন। কাগজের কালার টা দারুন হয়েছে। ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

কয়দিন আগে আপনার কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছিল আবার আপনার মোবাইলটা হাতে থেকে পড়ে ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেছে শুনে খুব খারাপ লাগলো ভাই।ছোটবেলায় পুকুরে কচুরিপানা ভেসে থাকতো সেটা নিয়ে অনেক খেলা করেছি। আর আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কচুরিপানা দেখতে পেলাম। রঙিন কাগজ দিয়ে কচুরিপানা ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

রঙিন কাগজের তৈরি করা কচুরিপানাগুলো অনেক চমৎকার লাগছে। কাগজের তৈরি এই জিনিসগুলো প্রস্তুত করতে অনেক বেশি সময় এবং ধৈর্যেরও প্রয়োজন হয়। আপনি বেশ সুন্দর করে ধাপে ধাপে জিনিসটি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। প্রথমে ছবি দেখে মনে হচ্ছিল খুব কঠিন কিন্তু আপনার উপস্থাপনা দেখে মনে হল আমিও চেষ্টা করলে বানাতে পারব।

এই জন্যই তো বলি কয়েকদিন যাবত আপনাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন। আপনার মোবাইল নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই আপনার সাথে দুদিন যোগাযোগ হচ্ছে না।

আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে কচুরিপানা তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করলেন ভাইয়া। কচুরিপোড়া তৈরি করার ক্ষেত্রে জমৎকার কিছু রঙিন কাগজের ব্যবহার করেছেন।

আমাকে খুজেছেন জেনে ভাল লাগছে। আমার বানানো রঙিন কাগজের কচুরিপানা আপনার ভাল লেগেছে এটাই আমার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আহা আগে কম্পিউটার এর ডিসপ্লে গেলো। এখন আবার আপনার ফোনের ডিসপ্লে গেলো। যাই হোক। রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো আপনার এই কচুরিপানার প্রজেক্ট টি দারুণ সুন্দর হয়েছে। খুবই দক্ষতার সাথে ধাপে ধাপে এই প্রজেক্ট টি সম্পন্ন করেছেন। ভালো লাগলো দেখে।

ভাইয়া সেই লেভেলের চিন্তাধারা তো আপনার। শহরে বসে কচুরিপানার ফুল মাথায় আসলো কিভাবে ভাইয়া। আমি তো এগুলো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারি না। হলুদ রংয়ের ফুলটা বেশি ভাল লাগছে। আসলে চিন্তা করলে কত কিছুই করা যায়। আমাদের চিন্তার অভাব। অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।