ধরন | অপরাধ নাটক |
---|---|
নির্মাতা | স্টুডিও ড্রাগন |
লেখক | পার্ক গো-বুম |
পরিচালক | কিম হি-উইন |
অভিনয়ে | সং জুং-কি, জিওন ইও-বিন, ওকে টাকি-উন, কিম ইও-জীন, কোয়াক দোং-ইওন |
মূল দেশ | দক্ষিণ কোরিয়া |
মূল ভাষা | কোরিয়ান |
পর্বের সংখ্যা | ২০ |
প্রযোজক | লি হ্যাং-সও, হ্যাং সাি-জুং, হাম সেউং-জুন, চো সো-ইয়াং |
ব্যাপ্তিকাল | ৮০ মিনিট |
নির্মাণ কোম্পানি | লোগোস ফিল্ম |
পরিবেশক | টিভিএন, নেটফ্লিক্স |
মুক্তির তারিখ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ |
রিভিউ
সিরিজের প্রথম পর্ব শুরু হয় ইতালির রোমের একটি দৃশ্য দিয়ে। এখানে একজন বিখ্যাত মাফিয়া উকিলের নাম হচ্ছে ভিনসেনজো কাসানো। শুরুতেই ভিনসেনজো তার মৃত বসের দেয়া কিছু অফার নিয়ে এমিলি নামক এক ডনের কাছে যায়। কিন্তু এমিলি ভিনসেনজোর বসের অফারগুলো নাকচ করে তাকে অপমান করে ফিরিয়ে দেয়। ভিনসেনজো সেখানে কিছু না বলে চলে আসে এবং কিছুক্ষণ পর উড়োজাহাজ দিয়ে তেল ছিটিয়ে এমিলির সব জমির ফসল পুড়িয়ে দেয়।
সেখান থেকে ভিনসেনজো তার মৃত বসের লাশের কাছে আসে শেষ বিদায় নিতে। ভিনসেনজোর বস তার ছেলে পাওলো কে পছন্দ করেনা বরং ভিনসেনজো কে নিজের ছেলের মত ভাবতেন। আর তার সব কাজ তাকে দিয়ে করাতেন। পাওলো ভিনসেনজোর বাসায় রাতে অ্যাটাক করে তাকে মারতে চায় কিন্তু ভিনসেনজো আগেই টের পেয়ে লুকিয়ে থাকে এবং পাওলোর লোকজনকে মেরে ফেলে। পরে পাওলোকে সতর্ক করার জন্য পাওলোর প্রিয় গাড়িটি বম্ব ব্লাস্ট করে উড়িয়ে দেয় এবং ওকে বলে আমি ইটালি ছেড়ে চলে যাচ্ছি আমার পিছনে লাগার চেষ্টা করবে না।
এদিকে সাউথ কোরিয়াতে নায়িকা হং চা ইয়াং একজন উকিল এবং সে তার ইন্টার্ন জেং জু বু কে বকাঝকা করছিল। চা ইয়াং কোর্টে তার বাবা হং ইউ চানের (উকিল) বিরুদ্ধে মাফিয়ার পক্ষ নিয়ে ভুল প্রমাণের সাপেক্ষে জিতে যায় এবং এতে তার বাবা ক্ষিপ্ত হয়। এদিকে ভিনসেনজো সাউথ কোরিয়াতে আসে এবং এখানে সে চুরির শিকার হয়। সিকিউরিটি কাউন্সিলের গ্রুপ লিডার ভিনসেনজো আসার খবর পেয়ে যায় এবং তার বসকে কনভেন্স করে তাকে কেসটা দেয়ার জন্য।
এদিকে ভিনসেনজো একটি বিল্ডিং এর সামনে এসে দাঁড়ায় যার নাম গিয়াম প্লাজা। এখানে ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায় পাঁচ বছর আগে ভিনসেনজোর বসের এক বন্ধু সোনা লুকানোর জন্য সাহায্য চাইতে আসলে এই বিল্ডিংটি কিনে দেয় এবং তার নিচে সোনা লুকিয়ে ভাল করে সিকিউরিটি দিয়ে রাখে। বিল্ডিং টি যার নামে রাখা হয়েছে মিস্টার চো ভিনসেনজোকে একটি থাকার জন্য রুম দেয় যেটা ভিনসেনজোর লাগজারিয়াস লাইফ স্টাইলের সাথে যায় না। মিস্টার চো ভিনসেনজোকে পুরো বিল্ডিং ঘুরিয়ে দেখায়। এখানে বিল্ডিং এর ভাড়াটিয়ারা খুবই উৎপাত করছিল। তারা ভিনসেনজোকে কে সন্দেহ করে এবং তাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকমের অঙ্গী ভঙ্গি এবং নাটক করে। তাদের দিকে নজর না দিয়ে ভিনসেনজো সোজা চলে যায় বৌদ্ধদের একটি মন্দিরে।
এই স্থাপনার আশেপাশে থাকা সব জায়গা একটি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির মালিক জেং হ্যাঁ সিউক কিনে নিয়েছে এবং পরদিন তার লোক এসে ভিনসেনজোকে বলে এই বিল্ডিংটি যেন তাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। ভিনসেনজোকে সেই লোককে না করে দেয়। হং ইউ চান ভিনসেনজোকে নিয়ে বিল্ডিং এর ভাড়াটিয়াদের সাথে মিটিং এরেঞ্জ করে এবং তাদের আশ্বস্ত করে যে তাদের বিল্ডিং ছাড়তে হবে না কারন ভিনসেনজো তাদের রক্ষা করবে।
এদিকে মিস্টার চো এর ফ্যামিলির উপর কিছু গুন্ডা আক্রমণ করে এবং মিস্টার চো এর কাছ থেকে জোরপূর্বক দলিলে সাইন করে নেয়। মিস্টার চো ব্যাপারটি ভিনসেনজোকে জানায় এবং ওই সময় তাকে বড় একটি গাড়ি চাপা দেয়। এদিকে সেই গুন্ডাবাহিনী কিছু লোক নিয়ে গিয়াম প্লাজায় এসে ভাড়াটিয়াদের হুমকি দেয় এবং বলে প্লাজা যেন ছেড়ে দেয়। তা দেখে উকিল চা ইয়াং বাধা দেয় এবং তাকে ও সেই লোকগুলো মারধর করতে নেয়। এই সময় ভিনসেনজো এসে গুন্ডা বাহিনীর বসকে সহ সবাইকে মারধর করে এবং বলে তাদেরকে যেন আর এখানে না দেখে। এই পর্ব এখানেই শেষ।
প্রথম পর্বে ভিনসেনজো নামের এক মাফিয়া উকিল ইটালি থেকে দক্ষিন কোরিয়া তার নিজের দেশে আসে সোনা উদ্ধারের উদ্যেশ্য নিয়ে। এখানে এসে সে যে বিল্ডিং এ সোনা লুকিয়ে রেখেছে সেই বিল্ডিং এ কিছু অদ্ভুত ভাড়াটিয়ার সম্মুখীন হয়। সেই ভাড়াটিয়ারা এখানে আতঙ্কে বাস করছে কারন একটি ফারমাসিউটিকেলস কোম্পানির মালিক এই বিল্ডিং কিনতে চায় কিন্তু ভাড়াটিয়াদের জন্য পারছে না। সেই মালিক জেং হাং সুক ভাড়াটিয়াদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিতে চায়। ভিনসেনজোকে পেয়ে তারা আশার আলো পায়।
আশা করি ভিনসেনজো টিভি সিরিজের প্রথম পর্বের রিভিউ আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।