মজাদার ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি।। 10% beneficiary to @shy-foxsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি।


20220920_143118.jpg


খিচুড়ি আমাদের বাংগালী জাতির বেশিরভাগ মানুষের পছন্দের খাবার। বাসায় মেহমান আসলে, স্পেশাল দিন যেমন হলিডেতে, বৃষ্টির দিনে আমরা খিচুড়ি রান্না করে থাকি। আর খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজাটা অনেকেই পছন্দ করে। হয়ত বুঝে গিয়েছেন আমি আজ আপনাদের সাথে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি শেয়ার করব। খিচুড়ির রেসিপিতে আমি দুই ধরনের ডাল ব্যবহার করেছি। একটি হচ্ছে মুগডাল আরেকটি হচ্ছে মসুর ডাল। আমি জানি আপনারা অনেকেই মুগডাল দিয়ে ভুনা খিচুড়ি খেতে পছন্দ করেন। অনেকেই বাসায় এই পদ্ধতিতে রান্না করে খেয়েছেন। যারা এখনো খিচুড়ি রান্না করেননি তারা আমার এই রেসিপি ফলো করে খিচুড়ি রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। আমার খেতে ভাল লেগেছে আশা করি আপনাদেরও ভাল লাগবে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমি রেসিপির দিকে আগাই।

রান্নার উপকরণ


পোলাও চাল৩ কাপ
মুগডাল১ কাপ
মসুর ডাল১/২ কাপ
পেয়াজ২ টি
আদা বাটা১ চা চামচ
রসুন বাটা১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া১ চা চামচ
গরম মসলাপরিমাণ মত
তেলপরিমাণ মত
লবনপরিমাণ মত


20220920_124430.jpg

20220920_124403.jpg

20220920_124418.jpg

20220920_132842.jpg

20220920_133330.jpg

20220920_132902.jpg


রান্নার প্রনালী


ধাপ ০১



প্রথম ধাপে মুগডাল কড়াইতে ভেজে নিয়েছি। সুন্দর একটি গন্ধ বের হয়েছে। মুগডাল ভেজে ধুয়ে রেখে দিয়েছি। পোলাও চাল ভাল করে ধুয়ে ঝরা দিয়ে রেখেছি। মসুর ডাল ধুয়ে রেখে দিয়েছি। তারপর একটি পাত্রে পোলাও চাল, মুগ ডাল আর মসুর ডাল মিশিয়ে রেখেছি।


GridArt_20221021_150023805.jpg


ধাপ ০২


এই ধাপে কড়াই তে তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে গরম মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে দিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে যেন মসলা পুড়ে না যায়।

GridArt_20221021_150115005.jpg


ধাপ ০৩


এই ধাপে পেয়াজ হালকা বাদামী করে ভেজে তার মধ্যে মসলা দিয়ে পরিমান মত পানি দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।


GridArt_20221021_150642227.jpg


ধাপ ০৪



এই ধাপে মিশানো পোলাও চাল, মুগ ডাল আর মসুর ডাল কড়াই তে দিয়েছি এবং ভাল করে নাড়িয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।


GridArt_20221021_150819120.jpg


ধাপ ০৫



এভাবে কিছুক্ষন নেড়ে চুলায় রেখে দিয়েছি। অন্য একটি পাত্রে ৯ কাপ পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়েছি এবং ফুটানো পানি কড়াইয়ে দিয়ে দিয়েছি। ৯ কাপ পানি দেয়ার একটি ফর্মুলা আছে। পোলাও চাল, মুগডাল আর মসুর ডাল মিলিয়ে মোট ৪.৫ কাপ ছিল এবং আমি তার দ্বিগুণ পরিমান ৯ কাপ পানি দিয়েছি।


GridArt_20221021_160506347.jpg


ধাপ ০৬



এভাবে আরো কিছুক্ষণ আগুনের আচ বাড়িয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলায় রেখে দিয়েছি।


GridArt_20221021_162816263.jpg



ধাপ ০৭



ঢাকনি তুলে দেখি পানি শুকিয়ে গিয়েছে। তখন খিচুড়ি একটু নেড়ে দিয়ে দমে রেখে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি। আমার খিচুড়ি তৈরি হয়েছে।


GridArt_20221021_151200356.jpg


ধাপ ০৮


ভুনা খিচুড়ির সাথে আমার বেগুন ভাজা খেতে খুব ভাল লাগে। তাই এই ধাপে আমি গোল কাল বেগুন কেটে ধুয়ে হলুদ আর মরিচ দিয়ে মেখে নিয়েছি। তারপর ফ্রাই পেনে তেল দিয়ে ভেজে নিয়েছি।

GridArt_20221021_151300854.jpg

GridArt_20221021_151326029.jpg


শেষ ধাপ



এই ধাপে আমি প্লেটে পরিবেশন করে নিয়েছি। খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজা, খাসির মাংস, আমের আচার, লেবু আর সালাদ দিয়ে পরিবেশন করেছি।


20220920_143118.jpg


ডিভাইসস্যামসাং
মডেলএ ৫০ এস
ক্রেডিট@miratek
বিষয়ভুনা খিচুড়ির রেসিপি



আশা করি আমার রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে। আমার কাছে খেতে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এত চমৎকারভাবে ভুনা খিচুড়িগুলো পরিবেশন করে রেখেছেন যে দেখে লোভ সামলাতে পারছি না ।বেগুন ভাজা দেখে তো মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টের খাবার। তাছাড়া মুগ ডাল ও মসুরের ডাল দুটোই একসাথে ব্যবহার করেছেন। তাই স্বাদ নিশ্চয়ই দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আপনি তো দেখছি দারুন রান্নার কারিগর।

পরিবেশন ভাল না হলে খাওয়ার রুচি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। মুগডাল আর মসুর ডাল একসাথে ব্যবহার করলে দেখতে ভাল লাগে আর স্বাদও বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপু।

পোলাওয়ের চালের সাথে দুই পদের ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আর সাথে যদি হয় আপনার দেওয়া বেগুন ভাজি তাহলে তো কোন কথাই নেই। এ ধরনের ভুনা খিচুড়ি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। সাথে আবার একটু মাংস দিয়েছেন আমার তো মনে হচ্ছে এখনই খেয়ে ফেলি আপনার প্লেটটা নিয়ে। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি।

আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে রান্না করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। আমার রান্না করা ভুনা খিচুড়ির রেসিপি আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

মজাদার ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। এমনিতেই আমি ভুনা খিচুড়ি খেতে পছন্দ করি। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি। শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে

ভুনা খিচুড়ি খেতে আমারো ভাল লাগে। বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন, ভাল লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার এই মজাদার ভুনা খিচুড়ি রান্না করার রেসিপিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে এর উপকরণ গুলো এবং এটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটি প্রকাশ করেছেন। আপনার ডেকোরেশন খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে এগুলো উপস্থাপন করায় এগুলো দেখতে খুবই ভালো দেখাচ্ছে। পাশাপাশি আমি এই খিচুড়ি খেতে খুবই পছন্দ করি।

আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে রান্না করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু।

ভুনা খিচুড়ি নাম শুনলে জিভে পানি চলে আসে। সত্যি বলতে খিচুড়ি মানেই ডাল এবং চালের সংমিশ্রণ সাথে অন্য কিছু থাকতে পারে। তবে আপনি দুই ধরনের ডালের কারণে এটি মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।

সত্যিই ভাইইয়া ভুনা খিচুড়ি খেতে অন্যরকম লাগে। আমার খুবই পছন্দের খাবার। মসুর ডাল দিলে খিচুড়ির রঙ ভাল আসে আর টেস্টেও একটু ভিন্নতা আসে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমার ও অনেক প্রিয়, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের রিপ্লে সুন্দরভাবে দেওয়ার জন্য।

খিচুড়ি কমবেশি সবারই পছন্দের। খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে মুগ ডাল দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি। আপনি খিচুড়ি এবং বেগুন ভাজা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। পরিবেশনটা খুবই লোভনীয় ছিল। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

মুগ ডাল ছাড়া ভুনা খিচুড়ি ভাল লাগে না আমার কাছে। সাথে বেগুন ভাজা হলেত কথাই নেই। ধন্যবাদ আপু।

আপনার ভুনা খিচুড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে আমি ও মাঝে মধ্যে বৃষ্টি ও বিশেষ দিনে ভুনা খিচুড়ি রান্না করি। সত্যি দু ধরনের ডাল ব্যবহার করলে খিচুড়ি অনেক মজা হয়। সাথে বেগুন ভাজা থাকলে তো কথাই নেই। আপনার খিচুড়ি দেখে মনে হচ্ছে প্লেট থেকে তুলে খেয়ে নিই,হা হা হা।

আমার ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। আমিও বিশেষ দিনে খিচুড়ি খেতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপু।

ভুনা খিচুরী খুব ভাল লাগে খেতে। আমিও করি, তবে শুধু মুগ ডাল দিয়ে। আপনি খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে রান্নাটা শেষ করলেন।খিচুরীর সাথে বেগুন ভাজি খুব ভালো ই লাগে।অনেক ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

মসুর ডাল দিলে খিচুড়ির এপিয়ারেন্স ভাল হয় আর টেস্টেও কিছুটা ভিন্নতা আসে। খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজাটা আমার খেতে ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

অসাধারণ রান্না করেছেন ভাই আপনি আপনার মজাদার ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপিটি দেখতে খুবই ভালো লাগছে। ধাপগুলো খুবই সুন্দরভাবে সম্পাদন করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আমার রান্না করা ভুনা খিচুড়ির রেসিপি আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

অও,পোলাও চাল দিয়ে দুই ধরনের ডালের সঙ্গে খিচুড়ি তৈরি করেছেন এটা খুবই টেস্টি ও পুষ্টিকর হবে খেতে, বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়া।তাছাড়া এর সঙ্গে বেগুন ভাজি পুরো জমে যাবে।আমি অবশ্য খিচুড়ি মসুর ডাল ও মটর ডাল দিয়ে খেয়েছি আলাদা আলাদাভাবে।তবে সেটা আপনার মত এতটা ঝরঝরে খিচুড়ি নয়।সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা ,বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে ভালো লাগে এটা।ধন্যবাদ ভাইয়া।

জী আপু খেতে খুব মজা হয়েছিল। খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজা খেতে আমার ভাল লাগে।বৃষ্টির দিন এলেই কেন যেন খিচুড়ির কথাই মনে পরে। ধন্যবাদ দিদি।

ভাইয়া আমিও যখন খিচুড়ি রান্না করি তখন আপনার মত মসুর ডালও মুগ ডাল দুটোই ব্যবহার করি ।আপনি পোলাও এর চাল দিয়ে দুই রকমের ডাল দিয়ে চমৎকার একটি ভুনা খিচুড়ির রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপির লাস্টের পরিবেশন টি আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে ।দেখতে এত লোভনীয় লাগছে দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। খুব ভাল ছিল আপনার রেসিপিটি ।ধন্যবাদ আপনাকে।

পরিবেশন ভাল হলে খাবারটা খেতেও ভাল লাগে।
আপনার কাছে আমার রান্না করা ভুনা খিচুড়ির রেসিপি ভাল লেগেছে জেনে আমার ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আমরা এটাকে ঝরা খিচুড়ি বলি। কি যে ভালো লাগে খেতে! যদিও আমি পাতলা খিচুড়ির বেশী ফ্যান। তবে এটাও বেশ ভালো। আর আপনার সাজানো দেখে তো আরোই লোভ লাগছে। আসলে পরিবেশন যদি সুন্দর না হয় তবে খাবার দেখে যে একটা ভক্তি তৈরী হবে সেটা হয় না।ভীষণ ভালো।

কথায় বলে প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুণ বিচারী। আপনার কাভার ফটোটা এত চমৎকার লাগছে, দেখেই ইচ্ছে করছে একটু খেয়ে দেখি। খিচুড়ি বাঙালি কতটা ভালোবাসে এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি অবশ্য আপনার মত এত সুন্দর করে রান্না করতে পারি না। তবে আজ প্রথমবার বেশ মনোযোগ সহকারে আপনার রান্নাটা দেখলাম। কোন একদিন তো অবশ্যই চেষ্টা করব।

ভুনা খিচুড়ি আমার কাছেও খেতে খুব ভালো লাগে।আমি প্রায় সময়ই মসুর ডাল দিয়ে করে থাকি। সবজি মিক্স করলেও ভাল লাগে।ভুনা খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজা অথবা পেঁয়াজ দিয়ে ডিম ভাজা করলে ও খেতে অনেক মজা হয়।আপনি খুব সুন্দর করে রান্নার ধাপ গুলো উপস্থাপনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

আহা। বেগুন ভাজির সাথে খিচুরি ভুনা। জিভে পানি এসে গেলো যে। মসুর ডাল আর মুগ ডাল এর কম্বিনেশন এ ভুনা খিচুরির স্বাদ আরো অনেক গুনে বেড়ে যায়। ভুনা খিচুরি আমারো খুব পছন্দ। আপনি খুব সুন্দর করে সব কিছুর ডেকোরেশন করেছেন যা বেশি ভালো লেগেছে।