বড় আন্টির বাসায় কাজিনদের সাথে গেট টুগেদার । 10% beneficiary to @shy-foxsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আমি আমার আগের একটি পোস্ট এ বলেছি আমার এক খালাত বোন কয়েকদিনের জন্য কানাডা থেকে এসেছে। সে যতবার আসে আমাদের কাজিনদের আড্ডার আয়োজন করে। ত আমার তো আর আগের মত অত সময় নেই।তারপরও আজ সময় বের করলাম। আমাদের যেতে হবে ওয়ারী থেকে মিরপুর মানে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। অফিস থেকে ২ ঘন্টা আগে ছুটি নিয়ে বের হয়ে গিয়েছি। বাসায় পৌছে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে পরিবার নিয়ে বের হলাম। বৃহস্পতিবার মানে ঢাকায় জ্যামের মেলা বসে মানে কোন রাস্তায় কত বড় জ্যাম পড়বে এই নিয়ে প্রতিযোগিতা।


GridArt_20230106_125422979.jpg

যাই হোক প্রায় দুই ঘণ্টা জ্যাম ঠেলে আন্টির বাসায় পৌঁছে সবার সাথে দেখা হয়ে খুব ভাল লাগল। সবাই আমাদের কে পেয়ে খুব খুশি। ছোট আন্টির পরিবার, ছোট মামার পরিবার সবাই মিলে একটি ভাল গেট টুগেদার হয়ে গিয়েছে। যাওয়ার পর দেখলাম আন্টিরা চই পিঠা বানাচ্ছে। তাদের দেখে আমার মেয়েও সাথে যোগ দিয়ে দিল।

IMG20230105230638.jpg

IMG20230105231038.jpg

IMG20230105230644.jpg

পিঠা বানানোর পর আবার আড্ডায় মেতে উঠেছে সবাই। সবাই আমার মেয়ের রাইম, মজার মজার কথা এগুলো উপভোগ করছিল। এই ফাঁকে আমি তাদের বাসার কিছু ছবি তুললাম। আন্টির বাসা অনেক গুছানো এবং সুন্দর । আমি কিছু ছবি শেয়ার করছি।

IMG20230105231349.jpg

IMG20230105231342.jpg

এটি হচ্ছে একটি অন স্পট লাইট। রুমের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয়।

IMG20230105231302.jpg

IMG20230105231239.jpg

IMG20230105231252.jpg

IMG20230105231313.jpg

এগুলো হচ্ছে কিছু সুন্দর শোপিস যা ড্রইং রুম, ডাইনিং রুমে সাজানো আছে ।

IMG_20230106_104221.jpg

IMG20230105231405.jpg

এগুলো হচ্ছে ড্রইং রুমের কিছু ওয়ালম্যাট এবং পেইন্টিং এর ছবি । ওয়ালম্যাট টি তে হাতের কাজ করা।

IMG20230105231417.jpg

উপরের পেইন্টিং গুলো আমার আন্টির ছোট মেয়ের মানে ছোট খালাত বোন নিজের হাতে করেছে । খুব সুন্দর হয়েছে পেইন্টিং গুলো।

IMG20230105231428.jpg

এই হচ্ছে সেই খালাত বোন এবং তার হাসবেন্ড। তারা দুজনেই কানাডিয়ান প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডোর অফিসে জব করে। সেখানে কর্মরত অবস্থায় কানাডিয়ান প্রেসিডেন্ট এর সাথে তোলা একটি ছবি। দেখে ভাল লেগেছে ছবি তুললাম।

IMG20230105232450.jpg

IMG20230105232501.jpg

IMG20230105232743.jpg

IMG20230105232749.jpg

IMG20230106105820.jpg

এবার আসি রাতের খাবারের পালায়। সবাই আড্ডা দিয়ে রাতের খাবার খেতে বসেছি রাত ১টায়। যদিও খুবই অড টাইম কিন্তু একদিন ত অনিয়ম করাই যায় ।
খাবারের আরও আয়োজন ছিল। আমি খাবারের ছবি তুলছিলাম তখন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ছোট আন্টি জিজ্ঞেস করছে খাবারের ছবি তুলছ কেন। আমি লজ্জায় আর তুলতে পারিনি। আসলে আমি একটু রিজার্ভ থাকি তার উপর এভাবে হঠাৎ খাবারের ছবি তুলা দেখে তারাও অবাক হচ্ছিল। তাই সব খাবারের ছবি শেয়ার করতে পারিনি। ছবিতে দেখানো খাবারগুলো হচ্ছে কাবাব, চিংড়ি, পোলাও, সালাদ, চই পিঠা । ছবিতে দেখানো হয় নি যে খাবার তা হচ্ছে মুরগীর রোস্ট, ঝাল তরকারি, ডিমের কোরমা, রেড মিট, কুমিল্লার রসমালাই।

IMG20230105230949.jpg

ডিভাইসঅপ্পো এ ৫৪
বিষয়ঘোরাঘুরি
ক্রেডিট@miratek
লোকেশনমিরপুর, ঢাকা

আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

এত জ্যাম অপেক্ষা করে দুই ঘন্টা পরে ঠিকই আপনি আপনার আন্টির বাসায় পৌঁছেছেন তাহলে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে দারুন লেগেছে ভাই। তবে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কানাডিয়ান প্রেসিডেন্ট জাস্টিস টুডোর সাথে যে ছবিগুলো তুলেছে আপনার খালাতো বোন ও বোনের স্বামী।আপনার রাতের খাবারগুলো মজার ছিল। চিংড়ি রান্নার রেসিপি টা কিন্তু খুব জোস লাগছে। যাহোক দেখে মনে হচ্ছে অনেক আড্ডা দিয়েছেন কারণ রাত একটায় রাতের খাবার খেয়েছেন। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

এই ধরনের ফ্যামিলি গেট টুগেদার গুলো সত্যি খুব আনন্দের হয়। সবাই একসাথে হলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো আস্তে আস্তে মনে উঠে। সব কাজিনরা মিলে বেশ ভালোই আনন্দ করেছেন নিশ্চয়ই। খাবার দাবার বেশ ভালই ছিল দেখছি। আপনার আন্টির বাসা আসলেই খুব গোছানো এবং সুন্দর। ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো। আপনার খালাতো বোন এবং তার হাজবেন্ড কানাডিয়ান প্রেসিডেন্ট এর অফিসে জব করে জেনে ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

ছোট আন্টির বাসায় বেড়াতে গিয়ে আপনি অনেক মজা করেছেন ভাইয়া দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার খালাতো বোন দেখছি অনেক সুন্দর পেইন্টিং করতে পারে। পুরো পরিবার নিয়ে ছোট্ট গেট টুগেদার দেখে ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আন্টির বাসায় বেড়াতে গিয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

বৃহস্পতিবার মানে ঢাকায় খুব জ্যাম তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।আপনি ঘন্টা ২ পর মিরপুর পৌঁছাতে পারলেন। এমন গেট টুগেদার আমারও হয়।বেশ ভাল লাগে আমার। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে,বিশেষ করে কানাডার প্রেসিডেন্টের সাথে আপনার খালাতো বোন ও তার হাসবেন্ডের ফটোগ্রাফি। এই প্রেসিডেন্টকে অমায়িক একজন মানুষ মনে হয়,যদিও ব্যক্তিগতভাবে কেমন তা জানি না। রাতের খাবারে দেখছি অনেক কিছুই খেয়েছেন।আপনারা চই পিঠা বলেন, আমরা বলি সেমাই পিঠা। যাক মেয়েও শেষে হাত লাগালো, তাই তো পিঠা এত লোভনীয় হয়েছে। আমরা ও ছেলেবেলায় এভাবেই পিঠা বানাতে শিখে গেছি,হাতে ধরে কেউ শিখায়নি।সব মিলিয়ে বেশ ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।

মেয়ে কিছু বানিয়েছে কিছু খেয়েছে পিঠা বানানোর আগেই, হা হা হা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ব্যস্ততার মাঝেও ছোট আন্টির বাসায় গিয়ে আপনি বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ৷ আসলে এমন ভাবে সবাই মিলে আড্ডায় বসলে অনেক ভালো লাগে ৷ আপনি আপনার মেয়ে সহ সবাই মিলে বেশ ভালো মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ৷ পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া ও ভালোই ছিলো ৷ যাই হোক ভালো লাগলো আপনার কাটানো সুন্দ মুহূর্ত গুলো দেখে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷

ঠিক বলেছেন সবাই আড্ডা দিলে খারাপ লাগে না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।