# উত্তরার সেই দোকান
2010 সাল 4র্থ বার সব হারিয়ে আবার ঢাকায় আসলাম এক বড় ভাইয়ের অুপ্রেরনায়। উত্তরায় একজনের দোকানে পেটে-ভাতে (থাকা খাওয়ার বিনিময়ে কাজ) একজনের দোকানে কিম্পিউটারের কাজ করি ও প্রশিক্ষন দেই। যেহেতু আমি একা চলতে পারি না তাই সাথে আমার একজন ভাগিনাকে (ইয়াছিন) নিয়ে আসি।
# ইয়াছিন
সেও আমার সাথে দোকানে পুরো সময় দেয় আর আমার রান্না-বান্নাসহ সকল কাজ করে। 1 বছর অতিবাহিত হলেও সে কথা মত কাজ করেনি। কথা ছিল দোকান ভাল চল্লে আমাকে ব্যাবসার অংশ দিবেন। কিন্তু তিনি কথা রাখলে না। মামা ভাগিনা দুই জনই বেগার খাটতে লাগলাম।
এমন অবস্থা দেখে পাশের একজন চা দোকানদার (টং দোকান) নাজির ভাই, বাড়ী আমাদের নোয়াখালী। বল্লেন ভাই আমার পরিচিত একটা সমিতি আছে আমি আপনাকে লোন নিয়ে দিবো আপনি একটা দোকান দেন। তিনি আমাকে অনেকটা জোর করেই নিয়ে গেলেন সমিতির অফিসে।তিনি জিম্মাদার হয়ে আমাকে 20 হাজার টাকা লোন নিয়ে একটা মেচ বাড়ীর ভিতরে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিলেন।
# নজির ভাই
রাস্তার পাশে এত অল্প টাকায় কোন দোকান পেলাম না।ঐ ঘরের মধ্যে যেহেতু ব্যবসা করবো তাই 10 হাজার টাকা অগ্রিম দিতে হল।হাতে আছে আর আট হাজার টাকা 2 হাজার টাকা সমিতি অগ্রিম কেটে রেখেছেন।এটি দিয়ে কিছু পুরাতন টেবিল আর চেয়ার নিলাম। বাড়ী থেকে আসার সময় আমার একটি মনিটর ছিল (এখনও আছে সেটা)
আর বড় ভাই সজিব ভাই বাকীতে একটি পিসি ও প্রিন্টার কিনে দিলেন।
# সবিজ ভাই
সজিব ভাই এর আগে-পরে অনেকবার সাহায্য করেছেন। উনি আবার সব শেষে যে টাকাকা দোকানে বাকী থাকে সেটা আবার আমার দিতে হয় না। বলেন আর অল্প টাকাইতো আছে সেটা আমি দিয়ে দিবো। তুমি চিন্তা করো না। এই দিয়ে শুরু হলো জীবনের আরেকটি ধাপ।
# উত্তরার সেই দোকান
Welcome to Steemit @mkamal007 :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much dear
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit