হ্যালো সবাই কেমন আছেন? আজকাল খুবই গরম অনুভব করছি।সাথে করে ঢাকা সিটিতে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।তাই চলাচলে খুবই সমস্যা অনুভব করতেছি।একদিকে প্রচন্ড রৌদ্রতেজ অন্যদিকে যানযটে অবস্থা একেবারে নাজেহাল অবস্থা।
তে বরাবরের মত আজ ও আমি আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি।
তা হচ্ছে একটি পুকুরকে ঘিরে। এই একটি পুকুরকে ঘিরে আমার বাবা আমাদের পুরো গ্রামে একতা নিয়ে এসেছে।অনেকদিন আগে থেকে আমাদের গ্রামে সরকারী একটি পুকুর রয়েছে যাঁর নাম হচ্ছে জিওসকালী পুকুর নামে।একটির আয়তন হচ্ছে ১৩৫ শতাংশ অনেক বড় একটা পুকুর।
বিগত ২০০০ সালে আমার বাবাসহ মাএ ছয়জন মানুষ মিলে আমাদের উপজিলা অফিস থেকে এই পুকুরটি লিজ আনেন এক বছরের জন্য ৩০০০০ টাকার বিনিময়ে।এই টাকা ছয়জনে মিলে ভাগ করে দিয়েছে।একজনের ভাগে ৫০০০ টাকা করে আসে।তখন এই সময়ে পুকুরে প্রচুর পরিমাণে মাছ ও হয়েছিলো।ফলে আস্তে আস্তে পুকুরের লিজের পরিমাণ ও বেড়ে যায়।
তো এক পর্যায়ে আমার বাবা পুকুরে শেয়ারদার ও বাড়াতে লাগলেন।২০১০ সালে এসে শেয়ারদার ছিলো ৩০ জন আর লিজের পরিমাণ ছিলো ৮০,০০০ টাকা।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে শেয়ারদার আর বাড়ানো হয় তখন শেয়ারদার হয়েছে ৪০ জন।কিন্তু ২০২০ সালে এসে আর ও পাঁচজন শেয়ারদার বাড়ানো হয়।বর্তমানে জিওসকালীর পুকুরে শেয়ারদারের সংখ্যা ৫০ জন আর উপজিলা কর্তৃক পুকুরের লিজের পরিমাণ দুই লক্ষ টাকা।
তো গত ১৯-০৪-২০২২ তারিখে পুকুরে জাল পেলানো হয় মাছ উঠাবে বলে রমাজান মাসে একটু নিজেদের চাষ করা মাছ খাবে সবাই আমার বাবাকে অনুরোধ করলেন যে কিছু মাছ যেন ধরা হয়।তখন সব সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।তো সবার কথা মতে আমার বাবা তাই করলেন।পুকুরে জাল ফেললেন মাছ ও তুললেন।
মাছের কিছু ফটোগ্রাফি ও কিছু কথ। বলে আমার মূল পর্বে প্রবেশ করলাম।
এটি হচ্ছে পুকুরের ছবি অনেক বড় ও গভীরতম পুকুর যেটি মাছ চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত।
এটি হচ্ছে জেলে ভাইরা পুকুরে জাল ফেলার ছবি।জাল পেলে জেলে ভাইরা তাঁদের জাল টানছেন পুকুরের পাশ দিয়ে।
এই ছবি দেখলে যে কেউ মনে করবে এখানে কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে।এতগুলা মানুষ এখানে ভিড় জামায়েত কেন হয়েছে।কিন্তু আসলে তাই কি?
আসলে তাই না কোন দূর্ঘটনা ঘটে নি।এখানে যা ঘটেছে তাই হচ্ছে পুকুর থেকে যে মাছগুলা উঠানো হয়েছে সেই গুলো একটা পলিথিনের উপর রাখা হয়েছে মানুষ তা দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছে।
এখানে দুইজন মানুষকে দেয়া হয়েছে ছোট মাছগুলে বেঁচে বেঁচে আলাদা করে অন্য ঝুড়িতে রাখার জন্য।
আর এই দিকে দুই জন লোককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বড় বড় মাছগুলো কেঁটে টুকরো টুকরো করে দেয়ার জন্য।
আর এইদিকে মানুষের কাজ হচ্ছে ৪৫ ভাগ করে মাছ গুলারে ভাগে ভাগে বসানো।সেই অনুযায়ী উনারা তাই করছেন।
সর্বশেষ যখন ৪৫ ভাগে মাছগুলো ভাগ করা শেষ হয়েছে তখন আমার বাবা একজনকে দায়িত্ব দিলেন যে এক এক করে সবার নাম ডাকার জন্য আর সবাই এক ভাগ করে এক জন করে তাই নিয়ে গেল।
আর আমার নাম ও ঢাকলেন আমি নিজে ও বাজারের ব্যাগে করে মাছ নিচ্ছিলাম।এই যে তাঁর ছবি।
এইভাবে আমাদের গ্রামের ৪৫ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের একতার মাধ্যমে আমাদের গ্রামের একতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।সত্যি বলতে কি এই মানুষ গুলাই গ্রামের উন্নায়নমূলক ও সহযোগিতামূলক কাজে উনারা সবসময় এগিয়ে আসেন।
Device | Location | Photographer |
---|---|---|
Samsung Galaxy M20 | Senbag, Noakhali | Myself & Mokkadesh |
ভালোই মাছ পাওয়া যায় দেখা গেলো। আর লিজ এর পরিমাণ বাড়তে বাড়তে ২ লাখ টাকায় ঠেকেছে। ভাবা যায়। তার মানে কি পরিমাণ মাছ পাওয়া যায়। অবশ্য এটি ছবি দেখেই বুঝতে পেরেছি। তবে ছবিতে কিছু মার্ক দেখতে পেলাম। এটা কেনো ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রক্ত ছিলো প্রচুর পরিমাণে কারণ মাছ কাঁটা হয়েছে তো তাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটি পুকুর কে ঘিরে সবার একাত্মতা সত্যি দারুন একটি ব্যাপার। আর এই মহৎ কাজের জন্য আপনার বাবাকে সেলুট জানাই। পুকুরের মাছ গুলো দেখছি বেশ বড় বড় হয়েছে হাহা☺️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করার পাশাপাশি বর্ণ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এই ধরনের বড় পুকুরগুলোর মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনারা আজকে যত মাছ ধরেছেন তা দেখে মনে হচ্ছে যেন এটি একটি মাছের বড়োসড়ো বাজারে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। আপনাদের গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ না খুবই সুন্দর একটা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit