এই গরমে সুস্থ থাকা জরুরী।

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ - ২৭ই,চৈত্র |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




man-ga3173d4dc_1920.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকালে? আশা করি ভালো আছেন। তবে এই গরমে কয়জনে ভালো আছেন তো এখন প্রশ্নবিদ্ধ। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড গরম পড়ছে। আমাদের এদিকের আজকে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি। তবে গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে মনে হচ্ছে যেন ৪০ ডিগ্রীর উপরে তাপমাত্রা। অবশ্যই বেলা বাড়ার সাথে সাথে অর্থাৎ মধ্য দুপুরের দিকে এখনকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি থেকে আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।

গতকাল আমাদের এদিকে গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রীর উপরে। আরে কয়েকদিন ধরে গড় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ এর মধ্যেই রয়েছে। গ্রীষ্মকালের শুরুতে এমন তাপদাহ নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই এমন উষ্ণ ওয়েদার থাকে । তবে সব থেকে বেশি কষ্ট হয়েছে রমজান মাসে এমন তাপমাত্রা হওয়ায়। রমজানের শুরুর দিকগুলো কিছুটা শীতল ছিল এবং তখন রোজা গুলো রাখতে বেশ সহজ ছিল। তবে এখন এ প্রচন্ড তাপদাহে মানুষের এই রমজান গুলো পালন করতে আসলে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য এই কষ্টগুলো নিশ্চয়ই কিছু না।

এ গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে সকলের স্বাস্থ্য সচেতন থাকবেন আর চেষ্টা করবেন ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারগুলো কম খাবার। কেননা সারাদিন রোজা রাখার পর খালি পেটে যখন এই সকল ভাজাপোড়া গুলো আমাদের নিয়মিত খাওয়া হয় তখন তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এছাড়া প্রচন্ড গরমে তেলে ভাজা খাবার গুলো আরো বেশি খারাপ প্রভাব ফেলে। তেলে ভাজে খাবার গুলো পরিহার না করলে গ্যাস্টিকের সমস্যা এসিডিটি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধির পেতেই থাকবে।

কয়েকদিন আগের ঘটনা, আমাদের পাশের ফ্ল্যাটটাতে একজন পারমাসিস্ট থাকেন। এলাকাতে ওনার বেশ পুরনো এবং বড় একটি ফার্মেসির দোকান রয়েছে। সকল ধরনের ওষুধ পত্র তার কাছে পাওয়া যায়। আর প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে আমাদেরও প্রায় সকল ওষুধ পত্র ওনার ওই ফার্মেসী দোকান থেকে কেনা হয়। যাই হোক, রাত দুইটা বা তিনটার দিকে দেখলাম সকলে ধরাধরি করে অনেকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন যাবত পেটে ব্যথায় জাতীয় সমস্যা নিয়ে ভুগছেন। তবে তিনি সেটিকে খুব একটা প্রাধান্য দেননি। কিন্তু ঐদিন হঠাৎ করে পেটে ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাকে ঐ মধ্যরাতেই তাকে হসপিটালে নিয়ে যেতে হয়েছে। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তেমন কোন সমস্যা খুঁজে পাননি। তাই কিছুটা সুস্থ হলে একগাদা ওষুধ দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

দু-তিন দিন মোটামুটি ভালো থাকলেও আবার শুরু হয়েছে তার পেটে ব্যথা এবার আর পেটে ব্যথা কোনোভাবেই কমছে না। এরপর ডাক্তার পরিবর্তন করে অন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি জানান প্রচন্ড গ্যাস্ট্রিকের কারণে তার এই সমস্যাটি হয়েছে। তার এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাটিকে অবহেলা করার কারণে ভয়ংকর অবস্থা ধারণ করেছে। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাটিকে খুব সাধারণ চোখেই দেখি। কিন্তু এটি মধ্যে সাধারণ কোনো বিষয় নয়। দীর্ঘদিনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে কোন এক সময় বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যায়।

আমাদের আশেপাশে কিংবা পরিবারে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এই ভয়ংকর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার শিকার। অন্য সময় গুলোতে এই সমস্যাটি কিছুটা অল্প মাত্রায় থাকলেও রমজান মাসগুলোতে এই সমস্যাটা প্রত্যেকের আরো বেড়ে যায়। আর এই মূল কারণ হচ্ছে খালি পেটে ওই সকল ভাজাপোড়া গুলো। সুস্থ থাকতে হলে আমি মনে করি ওই সকল ভাজাপোড়া গুলো কিছুটা পরিহার করা উচিত। আর এই রমজানে নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই বেশি করে পানি এবং শরবত পান করা উচিত। যদিও আমাদের এবারে কনটেস্টের আয়োজন করা হয়েছে ভিন্ন ধরনের শরবত। আমি তো অপেক্ষায় আছি সকলের ভিন্ন ভিন্ন শরবত দেখার। আর ওই শরবত গুলো থেকে আমার পছন্দের শরবত গুলো বাসায় বানানোর ট্রাই করব।

যাইহোক আজ অনেক লেকচার দিয়ে ফেললাম। আর কিছু বলতে চাই না। তো চেষ্টা করবেন ভালো থাকার সুস্থ থাকার। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আসলে ভাইয়া যে পরিমাণ গরম পড়ছে এখন পানির তৃষ্ণায় যেন গলা ফেটে যায়। আজ সারাদিন রোজা রেখেই সন্ধ্যায় প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। এ সময় তেলে ভাজা জিনিস খেলে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়ে যেটি আপনার প্রতিবেশীর হয়েছে। আসলে অল্প ব্যথা থাকা অবস্থায় আরো সচেতন হওয়া উচিত ছিল তার। যাইহোক আমাদের সবার সুস্থ থাকতে বেশি পানি পান করা উচিত আমিও আপনার সাথে একমত।

প্রচন্ড এ গরমে রোজা রাখার পর আমর সবাই ভাজাপোড়া খেতে পছন্দ করি । কিন্তু তা শরীরের জন্য খুব খারাপ। তাই আমাদের ইফতার স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে করা উচিত। সেক্ষত্রে চিড়া কলা একটি উত্তম খাবার। আর প্রচুর পরিমানে পান পান করা। সুন্দর সময় উপযোগি লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে ভাই। রিয়েল ফীল তাপমাত্রা আরো কয়দিন পর 40 ও ছড়িয়ে যাবে যা অবস্থা দেখছি।

যাইহোক সারাদিন রোজা রেখে আমাদের উচিত বেশি বেশি পানি পান করা। এতে শরীরে পানির ঘাটতি কমবে আর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।

আমাদের এদিকে তো আজকের তাপমাত্রা 37 ডিগ্রি। আসলেই প্রথম কয়েকটি রোজা প্রায় ঠান্ডা ওয়েদারে কেটেছে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আমরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাটা কে একদমই সাধারণ চোখে দেখি। তবে এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাটাই আস্তে আস্তে অনেক বড় একটি ক্ষতি হতে পারে। সারাদিন রোজা রাখার পর খালি পেটে ভাজা পোড়াটা না খাওয়াই উচিত। বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শরবত প্রশান্তি এবং তৃপ্তি দুটোই দেয়। মোটামুটি বেশ কয়েকটি শরবতের রেসিপি আমিও দেখেছি। বেশ ভালো লেগেছে।

ভাই আর বলিয়েন না প্রায় কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম আর তাপদাহ হচ্ছে ৷ গ্রামে আবার অন্য রকম রাতে ঠান্ডা আর দিনের বেলা রোদ আর গরম ৷ আর এ রকম আবহাওয়া পরিবর্তন জন মানুষের জীবন অনেকটাই সমস্যা হচ্ছে ৷ তবে নিজেকে ভালো রাখার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আর পরিমিত পানি পান করা খুবই জরুরি ৷

আসলেই ভাইয়া সারাদিন রোজা রেখে যখন তেলে ভাজা ফাস্টফুড গুলো খাওয়া হয় তখন আসলেই এসিডিটি সমস্যা হয়। তবে হালকা পরিসরে ফল খেলে বোধ হয় সেটা বেশি ভালো হয়। যাই হোক আমরা সবাই কিন্তু আপনার মতই মজার মজার সব ইউনিক শরবতের রেসিপি দেখার অপেক্ষায় আছি।

রমজানের শুরুতে আবহাওয়া অনেকটা শীতল ছিল। তখন রোজা রাখতে একেবারেই কষ্ট হয়নি। তবে কয়েকদিন যাবৎ প্রচন্ড রোদ উঠছে বাহিরে। তাই রোজা রাখতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে কয়েকদিন যাবৎ। এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং শরবত খেতে হবে। সাথে ফলমূলও খেতে হবে। তবে ভাজাপোড়া যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি সুস্থ থাকার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে হবে। তাহলেই আমরা সুস্থ শরীরে সবগুলো রোজা রাখতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

খুবই সময়োপযোগী একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া। বর্তমান রমজান মাসে সত্যি অতিরিক্ত তাপমাত্রা সহ্য করা খুবই কঠিন। তাই আমাদের সকলের উচিত এই তাপদহয়ের সময় সারাদিন রোজা থেকে তেলে ভাজা খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা। একই সাথে আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সার্বিকভাবে সচেতন থাকতে হবে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।