শীত এবং নিম্মবিত্তদের জীবন।

in hive-129948 •  yesterday  (edited)

আজ- ১৪ই মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শীতকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে শীত এবং নিম্মবিত্তদের জীবন এই শিরোনামে আপনাদের সাথে আর্টিকেল শেয়ার করব।



1000058068.jpg

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভাল আছেন । বেশ কিছুদিন হলে ঠান্ডার পরিমাণ বেশ ভালই পড়তেছে । সত্যি বলতে গত সপ্তাহে যেখানে আমি কম্বল গায়ে দিই নি । সেখানে , গতরাত্রে আমি সারারাত কম্বল ছাড়া ঘুমাতে পারিনি , এতটাই শীত ছিল । তবে আমি মনে করি শীত মূলত আরো একমাস থাকবে । এপ্রিলের শুরু থেকে কিছুটা গরম আবার শুরু হবে । যদিও শীত আমার প্রিয় একটি ঋতু , তবে সবার জন্য শীত প্রিয় ঋতু হয়ে উঠতে পারে না। শীত, প্রকৃতির এক অনন্য ঋতু, অনেকের কাছে উৎসবের আনন্দ বয়ে আনলেও নিম্নবিত্তদের জন্য এটি বেঁচে থাকার এক কঠিন সংগ্রাম হয়ে ওঠে। সমাজের এক শ্রেণির মানুষ যখন শীতকে উপভোগের সুযোগ পান, তখন অন্য শ্রেণির মানুষ বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যান।

বিশেষ করে নিম্মবিত্তদের জন্য শীত অনেক , কষ্ট আর অসহ্য যন্ত্রণা দিয়ে আসে । শীতের শুরু মানেই কম্বল জড়িয়ে বসে থাকা, গরম খাবার খাওয়া, উলের পোশাকে নিজেকে ঢেকে রাখা। কিন্তু নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে এসব স্বপ্নের মতো। ফুটপাতে, বস্তিতে, খোলা আকাশের নিচে যাদের বসবাস, তাদের জন্য শীত শুধু ঠান্ডা নয়, এটি এক ধরনের অসহায়ত্বের প্রতিচিত্র।


1000058069.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

যেমন ধরুন শীতকালে, যারা কাঁচা বাড়িতে থাকে তাদের , শীতের অনুভব টা অনেক বেশি হয় যার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হয় । এছাড়া শীতের সময় , প্রচন্ড শীতে কর্মসংস্থানের অনেক সমস্যা হয় , সকালে বের হতে পারে না কুয়াশার কারণে বিশেষ করে যারা যানবাহন চালক , এরপর আবার যারা সাগরে মাছ ধরতে যায় , তা ধারণা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।
যাদের গায়ে গরম কাপড় নেই, তাদের জন্য শীতের রাতগুলি হয়ে ওঠে অসহনীয়। অনেকেই পুরোনো, ছেঁড়া কাপড়ে দিন কাটান, যা তাদের শরীরকে পর্যাপ্ত উষ্ণতা দিতে পারে না। ফুটপাতে, স্টেশনে কিংবা রাস্তার ধারে বসবাসকারী মানুষের জন্য শীতের রাতে একটি উষ্ণ কম্বল যেন এক বিলাসিতা। নিম্নবিত্তদের অনেকেই দিনমজুর, রিকশাচালক, নির্মাণশ্রমিক বা ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শীতের তীব্রতায় কাজের পরিমাণ কমে যায়, ফলে তাদের দৈনিক আয়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। আয় কমে গেলে খাবার, ওষুধ, আশ্রয়—সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

শীত শুধু একটি ঋতু নয়, এটি সমাজের বৈষম্যের এক নির্মম চিত্রও তুলে ধরে। আমাদের উচিৎ এই বৈষম্য দূর করতে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো। আসুন, আমরা সবাই মিলে শীতার্তদের জন্য কিছু করি—হয়তো আমাদের ছোট্ট একটি উদ্যোগ কারো জন্য আশার আলো হয়ে উঠবে।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমাদের ছোট্ট একটি উদ্যোগ কারো জন্য আশার আলো হয়ে উঠবে।

এই যে শেষের লাইনটা লিখেছেন না ভাই? এটার পিছনে একটা পুরো গল্প লেখা রয়েছে। গল্পটার বিশেষত্ব এরকম যে আপনি কোনো অসহায় কে সাহায্য করলে আপনার হয়তো কিছু হবে না, কিন্তু সেই অসহায় ব্যক্তির দুনিয়া পাল্টে যাবে আপনার সামান্য উপকারেই। আপনি ঠিকই বলেছেন শীত একটি ঋতু নয় ।এটি সামাজিক বৈষম্যের প্রকাশ ঘটায়। আমরা নিজেরাই এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করলে এই বৈষম্য দূরীভূত হবে আশা করা যায়।

অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া। আসলে বর্তমান সময়ে শীতের মধ্যে আমাদের দেশের একেবারে নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা খুবই কষ্টের সাথে জীবনযাপন করে। বিশেষ করে রাত্রেবেলা এবং সকালবেলায় তাদের কষ্টের মাত্রাটা বেশি হয়। যাহোক আমাদের সকলের উচিত আমাদের আশেপাশের নিম্নবিত্ত মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।

শীত প্রকৃতির এক সুন্দর ঋতু হলেও, আমাদের সমাজে এর প্রকৃত অর্থ অনেকের কাছে ভিন্ন। বিশেষ করে নিম্নবিত্তদের জন্য শীত হয় একটি কঠিন সময়, যেখানে তারা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে। আমাদের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করা, যাতে শীতের কষ্ট কিছুটা হলেও কমানো যায়।

বাস্তব সম্মত কিছু কথা লিখেছেন ভাই পড়ে অনেক ভালো লাগলো।শীতের প্রকৃতি সবার কাছে সমান ভালো লাগে না।কারণ যার হয়তোবা অনেক টাকা পয়সার রয়েছে সে বেশ সুখে আছে। কিন্তু রাস্তার পাশে ওই নিম্ন অসহায় দরিদ্র ভাই বোনটি তাদের জীবনটা অনেক কষ্টের।তাইতো আমাদের সকলের উচিত সেই অসহায় দরিদ্র ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানো। সামান্য একটু সহযোগিতায় তাদের মুখে হয়তো ফুটবে এক টুকরো হাসি। বেশ দারুণ লিখেছেন অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।

শীতকাল আমারও খুব প্রিয়। সত্যি বলতে এবারের শীতকাল বেশ উপভোগ করছি। যাইহোক তীব্র শীতে অসহায় এবং নিম্নবিত্ত মানুষদের ভীষণ কষ্ট হয়। তাদের পাশে আমাদের সবার দাঁড়ানো উচিত। এতে করে তারা কিছুটা হলেও ভালো থাকতে পারবে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।