নিঃসঙ্গতা অনেক বড় একটা রোগ ।

in hive-129948 •  2 days ago 

আজ- ১৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শীতকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে নিঃসঙ্গতা অনেক বড় একটা রোগ । এ বিষয়ে আমার নিজের মতামত শেয়ার করব ।



1000055963.jpg


ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভাল আছেন । গত বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামে গরম থাকলেও আজ বেশ ঠান্ডা পড়েছে । ঠান্ডার পরিমাণ এতটাই বেশি যে , চলাফেরা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে । যদিও শীতকালটা আমার বেশ ভালই লাগে । নতুন নতুন পিঠা , নতুন নতুন খাবার খেতে পাওয়া যায় এই শীতকালে । তবে এসে যেন একা থাকাটাও বেশ কষ্টকর , আজ আপনাদের সাথে ঠিক এরকম একটি আবেগ নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে নিঃসঙ্গতা । আসলে ,

নিঃসঙ্গতা একটি মানসিক রোগ, যা মানুষের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। এটি এমন একটি রোগ, যেখানে মানুষ নিজেকে একাকী, বিচ্ছিন্ন এবং পৃথক মনে করে। যদিও নিঃসঙ্গতা সরাসরি কোন শারীরিক রোগ নয়, তবে এটি বিভিন্ন ধরণের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এই অবস্থা প্রায়ই মানুষ সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন অনুভব করে । সামাজিক যোগাযোগের অভাব, আত্মবিশ্বাসের সংকট, মানসিক আঘাত বা প্রযুক্তি নির্ভর জীবনের কারণে অনেকেই মানুষএই সমস্যায় ভোগেন। তবে বিচ্ছিন্নতার জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে ধারণা হয়, সবসময় অন্যমনস্ক থাকা । আমার সাথে সাথে কথা না বলা।

নিঃসঙ্গতার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি হতাশা, উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। শারীরিক দিক থেকেও এটি ক্ষতিকর; দীর্ঘমেয়াদি নিঃসঙ্গতা হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণে মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং এদের জীবন আরও একঘেয়ে হয়ে ওঠে।

তবে নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাউন্সেলিং এবং থেরাপি গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া, নতুন দক্ষতা অর্জন এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা। এসব মজা দূর করতে সাহায্য করে । নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে উঠতে হলে নিজেকে ভালোবাসা এবং জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা জরুরি। এটি কেবল ব্যক্তিগত উন্নতিই আনে না, বরং জীবনকে আরও অর্থবহ করে তোলে।

আমাদের আসলে এই দুইদিনে পৃথিবীতে সাফল্যে সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করে । মিলেমিশে যদি থাকতে পারি, তবে নিঃসন্দ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব । সবাই তাহলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , কারণ প্রকৃতির সাথে থাকলে দূর হয়ে যায় ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি কিন্তু নিঃসঙ্গতা একটি রোগ। আপনি বেশ সুন্দর করে নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তির কিছু উপায়ও তুলে ধরেছেন। নিঙ্গ মানুষগুলো হতাশায় পড়ে নিজের জীবন কে করে দেয় নিঃশ্বেষ। বেশ সুন্দর করে বিষয়টি নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আমার মনে হয় একজন মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন হলে এই সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব সেই সাথে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরী। মানুষ যত গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকে যত টেনশন করে এই সমস্যা ততই বৃদ্ধি পায়।

জীবনের সুন্দর মুহুর্তগুলোকে নিদারুণ কষ্টে পরিনত করতে পারে এই নিঃসঙ্গতা, হৃদয়ের চঞ্চলতাকে মুহুর্তের মাঝে নিস্তেজ করে দেয়। দারুণ লিখেছেন ভাই।

নিঃসঙ্গতা ব্যাপারটা চলে আসে যখন মানুষ একটা খারাপ সময় পার করে। বিশেষ করে রিলেশনে ব্রেকআপ হলে তারপর নিঃসঙ্গতায় ভুগে বেশি মানুষজন। এজন্য এদেরকে আগেই কাউন্সিলিং করা দরকার। এটা মারাত্মক একটা রোগ।

নিঃসঙ্গতা আসলেই অনেক বড় একটা রোগ। আর এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে মানুষের সাথে বেশি বেশি সময় কাটাতে হবে। তাছাড়া কোনো ব্যাপার নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

নিঃসঙ্গতা মানুষের জন্য ক্ষতিকর এগুলো জানার পরেও অনেকেই স্বেচ্ছায় এই নিঃসঙ্গতা একাকিত্ব এগুলো বেছে নেয়। এর অনেক কারণ থাকে। একটা সময় গিয়ে এই একাকিত্বতা এবং নিঃসঙ্গতা মানুষের ভালো লাগতে শুরু করে। মানুষ নিজের মধ্যেই একটা আলাদা জগত তৈরি করে নেয়।।