সিন্ডিকেট।

in hive-129948 •  15 days ago 

আজ - ৫ই আষাঢ় |১৪৩১ বঙ্গাব্দ, | বর্ষাকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে সিন্ডিকেট নিয়ে আমার নিজস্ব মতামত শেয়ার করব।




1000038291.png
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন । গতকাল রাত থেকে বেশ ভালোই বৃষ্টি পড়ছে আমাদের এখানে , যার কারণে আবহাওয়াটা অনেক টা ঠান্ডা । বেশ ভালো লাগছে ভালো ঘুম ও হচ্ছে। আসলে এবারের বৃষ্টিটা বেশ ভালো সময় এসেছে কেননা, ঈদের পরদিন বৃষ্টি এসেছে , ঈদের দিন বৃষ্টি হলে কোরবানিতে অনেক সমস্যা হয়ে যেত । আর ঈদের পরের দিন বৃষ্টি হওয়াতে বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা একটা আবহাওয়া বিরাজ করছে যার ফলে , সবাই গোস্ত বেশ ভালোই শান্তি মত খেতে পারতেছে । অতিরিক্ত গরম থাকলে সাধারণত গোস্ত তেমন একটা বেশি খাওয়া যায় না । বৃষ্টি হওয়াতে বেশি শান্তিতে সবাই গোস্ত খেতে পারছে ।

যাহোক এবার মেইন টপিকে আসি । সিন্ডিকেট শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত । তবে ঈদুল আযহা আসলে সবচেয়ে বেশি মাথায় আমার ঘুরপাক খায় এই সিন্ডিকেট শব্দটি । কেননা , এক গরু কেনার সময় আরেক হলো জবাইকৃত গরুর চামড়া বিক্রি করার সময় আমরা ভীষণভাবে সিন্ডিকেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে যায় । যেমন ধরেন এবারের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি , কোরবানির ১০-১২ দিন আগে গরুর দাম বেশ অনেক বেশি থাকে , এরপর ৫-৬ দিন পর কিছুটা কমে , এরপর কোরবানির ঠিক আগ মুহূর্তে হুটকরেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা , গরুর দাম আকাশ ছোঁয়া করে তোলে ।

যদিও আমরা ঈদুল আযহার কোরবানি দেয়া হয় আল্লাহকে ভয় করে । কিন্তু তবুও গরুর দামের বিষয়টি অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হয় সব সময় । এই সিন্ডিকেটের কারণে মাঝে মাঝে আমাদের বাজেটের থেকেও অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা বাড়িয়ে তারপর গরু কিনতে হয় যেটা খুবই দুঃখজনক আসলে ।

এরপর আসি গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে । গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে , সিন্ডিকেট বিষয়টা আরো বেশি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হুব বেশি দিন আগের কথা নয় যখন আমরা গরুর চামড়া বা ছাগলের চামড়া , বেশ ভালো দামেই বিক্রি করতে পারতাম । এখানে আরেকটা বিষয় লক্ষ্য নিয়ে যে আমরা সাধারণত সবাই চামড়া বিক্রি করে যে মূল্য পায় সেটি সরাসরি দান করে দিয়ে থাকি। এ টাকাটা আমরা আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে সাধারণত খরচ করি না । এই চামড়া নিয়ম ভালো সিন্ডিকেট অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে , আগে আমরা যে চামড়ার দাম হাজার টাকা পেতাম সেটা এখন বর্তমানে ৪০০ টাকায়ও নিতে চাই না , কিন্তু চামড়া থাকে তৈরিকৃত জুতার দাম আগের থেকে দুই থেকে তিন গুণ বেড়েছে । এর একমাত্র কারণ হচ্ছে সকল চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এক হয়ে তারা ভেবেছে খুব কম দামে তারা চামড়া সংগ্রহ করতে পারবে কেননা তারা চামড়া যদি সংগ্রহ না করে তাহলে এই চামড়ার কোন দাম থাকবে না ।

এভাবে আসলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে । তবে সত্যি কথা বলতে কি যারা আল্লাহকে ভয় করেন , যারা বিশ্বাস করেন যে কি, হ্যাঁ , দুনিয়ার সবকিছুর জবাবদিহিতা আখিরাতে দিতেই হবে , তারা কখনোই ভুল কাজ করবেন না । এ সকল সিন্ডিকেট গুলো ঘরে তুলবে না।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলেই ভাই বৃষ্টি হওয়াতে ওয়েদার অনেকটা শীতল হয়েছে। যাইহোক গরুর চামড়ার দাম দেখে আসলেই অবাক হয়ে যাই। আগে যে চামড়া ১৩০০/১৪০০ টাকা বিক্রি করতাম, সেই চামড়ার দাম এখন ৪০০/৫০০ টাকা। সিন্ডিকেট আমাদেরকে যেভাবে খুশি সেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেট এর কারণে কোনোভাবেই আমরা শান্তি পাচ্ছি না। তাই সিন্ডিকেট না ভাঙ্গলে কোনো শান্তি নেই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ঈদের আগে গরুর দাম সত্যি অনেক বেড়ে যায়। আসলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই কাজগুলো করে। তারা গরুর দাম অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। সবখানে শুধু সিন্ডিকেট আর সিন্ডিকেট। কি আর করার ভাইয়া কিছুই করার নেই।

একটা কথা বলতেই হয় ভাই বাংলাদেশের একটা চক্র একেবারে ইচ্ছা করে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করল একেবারে ইচ্ছা করে। না হলে চামড়ার বাজার এতটা খারাপ কখনোই যাওয়ার কথা না। আর গরুর কথা কী বলব। এখানে অনেক বড় একটা সিন্ডিকেট কাজ করে।