||শেয়ার করো তোমার উৎসবের ভ্রমণকাহিনীর|| প্রতিযোগিতা ১৭ ❝কক্সবাজার ভ্রমন❞ 🏖️🏝️ By mohamad786 [10% Beneficiary @shy-fox[

in hive-129948 •  2 years ago 
আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

দেখতে দেখতে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি ১৭ তম প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে ১৭ তম প্রতিযোগিতার টপিক দেওয়া হয়েছে-❝শেয়ার করো তোমার উৎসবের ভ্রমণ কাহিনী❞।আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখন আপনাদের মাঝে তা তুলে ধরবো।🥰🥰🥰

মুসলমানদের বছরে দুইটি ঈদ, একটি ঈদুল ফিতর এবং অন্যটি ঈদুল আযহা। আমরা কিছুদিন আগে দীর্ঘ এক মাস রমজান পালন করে ঈদুল ফিতর ঈদ উদযাপন করলাম। আমরা সকলেই ঈদুল ফিতর ঈদে বেশি আনন্দ করার সুযোগ পাই। তাই আমরা এই ঈদে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। ঈদের ভিতরে সবার সাথে ঘোরার মজাই অন্যরকম।তো আমি এবার ঈদুল ফিতর ঈদের দুই দিন পরে কোনরকম প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা ছাড়াই কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিল।ঈদের দুই দিন আগে থেকে আমার ভীষণ জ্বর এবং ঠান্ডা ছিল।এই অসুস্থতার মধ্যেই আমি ঈদের দিন ঈদের সালাত আদায় করেছি।অসুস্থতার কারণে ঈদের দিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি।এমনকি আত্মীয়-স্বজনের সাথেও আনন্দ করতে পারিনি।ঈদের দিন বিকালে কক্সবাজার থেকে আমার বড় বোন ফোন করলো।আমার বড় বোন তার হাজবেন্ডেরসহ ফ্যামিলি নিয়ে কক্সবাজার থাকে।প্রায় এক বছর হয়ে গেল আপু আমাদের বাসায় আসেনি।আমিও তাদের দেখতে কক্সবাজার যায়নি।ঈদের দিন বিকালে আপু আমাকে ফোন করে হঠাৎ করে কক্সবাজার যেতে বলল।আমি আপুকে বললাম, এই অসুস্থতার মধ্যে আমি এত বড় জার্নি কেমনে করব।আপু আমাকে বলল তাড়াতাড়ি ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে ৫ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দে।আমি আপুকে অনেক বললাম যে কিছুদিন পরে কক্সবাজার যাই, কিন্তু আপু কোনভাবে আমার কথা শুনল না।অনেক জোরাজুরি করার পর আমি কক্সবাজার যেতে রাজি হয়ে গেলাম।তো আমি মোটামুটি একটা প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। আল্লাহর কি কাজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমার জ্বর, ঠান্ডা সব ঠিক হয়ে আমি সুস্থ হয়ে গেলাম।অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি এবং আমার একটি বড় ভাই,তার প্রাইভেটকার নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা জার্নি করার পর শুক্রবার সকাল ১০ টায় কক্সবাজার গিয়ে পৌঁছলাম।আমার বড় আপু, দুলাভাই এবং তার পরিবার আমাকে পেয়ে সবাই অনেক খুশি হলো।

IMG_20220510_013751.jpg

কক্সবাজারের ভৌগলিক অবস্থান
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।এই সুবিশাল সমুদ্র সৈকতকে বাংলাদেশের পর্যটক কেন্দ্রের প্রাণ বলা হয়।কারণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ পর্যটক কেন্দ্র দেশি এবং বিদেশি কোটি কোটি টাকা আয় করছে।যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ দেশ বিদেশের মানুষ ভ্রমন করতে আসে।কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত, যা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত।আমি মনে করি কক্সবাজার সম্পর্কে আপনাদের এত কথা বলার কোন দরকার নেই, কারন আপনারা সবাই কক্সবাজার সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন।

শনিবার সকাল

IMG_20220111_075424.jpg

Location
Device:Poco X2

দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা জার্নি করে সকাল দশটার দিকে কক্সবাজার যাওয়ার পর আমি ঐদিন আর কোথাও ঘুরতে যাইনি।দীর্ঘ সময় জার্নি করার পর শরীর একদম ক্লান্ত হয়ে গেছিল তাই কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তো শনিবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম।সকাল ঘুম থেকে উঠলাম কারণ সকালের সমুদ্র দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে।সকাল সাতটার দিকে আমি সমুদ্রসৈকতে গেলাম। বিচে যাওয়ার পর সমুদ্র পাড়ের বাতাস এবং সমুদ্রের ভয়ঙ্কর গর্জন অনুভব করতে থাকলাম।আমার বড় আপুর বাসা থেকে কলাতলী বিচ একদম কাছে হওয়ায় আমি কলাতলী বিচে গিয়েছিলাম।বিচে অনেকখন থাকার পর প্রচন্ড রোদের কারণে আমি সকাল নয়টার দিকে বাসায় ফিরে আসলাম।

IMG-20220108-WA0019.jpg

Location
Device:Poco X2

শনিবার দুপুর

IMG_20220109_161824.jpgIMG_20220109_162207.jpg

Location
Device:Poco X2

সকালে নাস্তা করার পর আমি, আমার বড় আপু এবং দুলাভাই সমুদ্রে গোসল করার জন্য বাসা থেকে বের হলাম।সকাল ১১ টার দিকে আমরা সমুদ্রে গোসল করার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম।প্রচন্ড রোদের মধ্যে আমরা সমুদ্রে গোসল করতে গেলাম।কলাতলী বিচে যাওয়ার সাথে সাথে অনেকগুলো ক্যামেরাম্যান আমাদের ঘিরে ধরল। তারা বলতে থাকলো আসুন স্যার ছবি তুলে দেই।তাদের কথা না শুনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। কিন্তু হঠাৎ করে একজন ক্যামেরাম্যান এসে আমাদের একটি ছবি দেখালো।সে দূর থেকে আমার একটি ছবি তুলেছিল। সেই ছবিটি দেখানোর জন্য এসেছে।তার তোলা ছবিটি দেখে আমি সন্তুষ্ট হলাম। এবং শিওর হলাম যে সে ভালো ভাবে ছবি তুলতে পারবে।তো তাকেই ছবি তোলার জন্য ঠিক করলাম। সে বলল প্রতি ছবি ৫ টাকা করে।তারপর অনেক জোড়া জোড়ি করে আমি তাকে প্রতিছবি দুই টাকা করে দিতে চাইলাম এবং অবশেষে সে রাজি হলো।

IMG-20220108-WA0018.jpgIMG_20220108_155558.jpg

Location
Device:Poco X2

DSC_0070.JPG

Location
Device:Canon EOS 250D

আমাদের ছবি ওঠা শুরু হয়ে গেল। ক্যামেরামান ভাইয়া আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের স্টাইল দেখাতে থাকলো। আর আমরা ঐভাবে ছবি উঠতে থাকলাম।কিন্তু সাবধান, ওখানকার ক্যামেরাম্যানরা বিভিন্ন ধরনের স্টাইল দেখিয়ে অনেক গুলো ছবি তুলে ফেলে। পরে বলে এতগুলো ছবি হয়েছে এত টাকা দিতে হবে।তখন তারা এমন একটা এমাউন্ট বলে যে কেউ হতবাক হয়ে যায়।তাই সবাই খুব সতর্কতার সাথে ছবি ওঠবেন।

DSC_0075.JPGDSC_0061 (2).JPG

Location
Device:Canon EOS 250D

প্রথমেই আমি সমুদ্রপাড়ের সামনে বালুর উপরে ছবি ওঠতে থাকলাম।প্রচন্ড রোদের তাপে বালু একদম গরম হয়ে গেছে, তাই ওখানে আমি ভালোভাবে ছবি ওঠতেই পারলাম না।তাই আমি বালুর উপর পবেশিক্ষণ ছবি না ওঠে সেখান থেকে চলে আসলাম।

DSC_0131.JPG

Location
Device:Canon EOS 250D

DSC_0155.JPGDSC_0156 (1).JPG

Location
Device:Canon EOS 250D

সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে গেলাম, সমুদ্রের পাড়ে যদি শুয়ে থেকে সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করতে না পারি তাহলে কি চলে।তাই আমি একটা চেয়ার ভাড়া নিলাম। প্রতি ঘন্টায় ৩০ টাকা করে।আমি সেখানে শুয়ে বসে কিছুক্ষণ ছবি ওঠার পর সেখানে আমি আমার বড় আপুকে বসে রেখে আমি সমুদ্রের পাড়ে গোসল করতে নামলাম।

DSC_0303.JPGDSC_0304.JPG

Location
Device:Canon EOS 250D

আমি তো সাঁতার পারি না সেজন্য আমি সমুদ্রে নামার আগে একটি টিউব ভাড়া করলাম।টিউবের ভাড়া ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা করে।টিউব ভাড়া করার পর আমি টিউবের সাথে কয়েকটি ছবি উঠলাম।

DSC_0352.JPG

Location
Device:Canon EOS 250D

অবশেষে আমি সমুদ্রের নোনা পানিতে নামলাম।অসংখ্য মানুষ সমুদ্রে গোসল করতে এসেছে।কত মানুষ হয়েছে তা গোনার মতো না।সমুদ্রে প্রচন্ড ঢেউ এর কারণে একজনের শরীরের সাথে আরেকজন ধাক্কা খাচ্ছে।তাই আমি খুব সতর্কতার সাথে সমুদ্রের পানিতে নামলাম।

DSC_0368.JPGDSC_0369.JPG

Location
Device:Canon EOS 250D

সমুদ্রে গোসল করতে এসেছি সমুদ্রের পানি দিয়ে খেলা না করলে হয় নাকি।তাই আমি প্রথমেই সমুদ্রে নেমে সমুদ্রের পানি দিয়ে খেলা করতে লাগলাম।আমার যে কতই ভালো লাগতেছিল তা মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব না।

IMG_20220510_020005.jpgIMG_20220510_020024.jpg

Location
Device:Canon EOS 250D

IMG_20220509_234555.jpg

Location
Device:Canon EOS 250D

IMG_20220108_170341.jpg

Location
Device:Poco X2

দীর্ঘ চার ঘণ্টা সমুদ্রের পানিতে থাকার পর আমি দুপুর তিনটার দিকে সমুদ্রের পানি থেকে উঠে আসলাম।হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রে গোসল করতে এসেছিল তারা অনেকেই সমুদ্র থেকে উঠে হোটেলে যেতে থাকলো।৪ ঘন্টার মতো সমুদ্রের পানিতে থাকার পর আমারও ভালো লাগতেছিল না তাই আমি বাসায় চলে আসলাম।

IMG_20220108_170346.jpg

Location
Device:Poco X2

শনিবার বিকেল-সন্ধ্যা

IMG_20220108_171536.jpg

Location
Device:Poco X2

IMG_20220108_172349.jpg

Location
Device:Poco X2

বাসায় গিয়ে ফ্রেশ পানি দিয়ে গোসল করলাম। গোসল করে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম।তারপর বিকেলবেলায় সমুদ্রের পারে আবার আসলাম। কারণ সন্ধ্যাবেলায় যদি সমুদ্রপাড়ের সূর্য অস্ত যদি নাই দেখতে পারি তাহলে সমুদ্রের পাড়ে এসে কি লাভ।আমি তো সূর্য অস্ত দেখতে এমনিতেই পছন্দ করি। আবার সমুদ্রের পাড়ে সূর্যাস্ত দেখতে তো আমার আরো বেশি ভালো লাগে।আমি এক ধ্যানের সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।এবং সূর্যাস্ত দেখতে থাকলাম। আস্তে আস্তে সূর্য সমুদ্রের ভিতর অস্ত যাচ্ছে, মনে হচ্ছে সমুদ্রের পানির মধ্যে সূর্য মিশে যাচ্ছে।

IMG_20220108_172421.jpg

Location
Device:Poco X2

IMG_20220108_173301.jpg

Location
Device:Poco X2

আস্তে আস্তে সূর্য সমুদ্রের পানিতে মিশে গেল। সূর্য অস্ত গিয়ে চারপাশ লালচে আকার ধারণ করল।এরকম দৃশ্য দেখতে কার না ভালো লাগে। অনেকেই তো এরকম একটি দৃশ্য দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে এসে সমুদ্রের পাড়ে সূর্য অস্ত দেখে।সূর্য অস্তমিত যাওয়ার মুহূর্ত সম্পন্ন দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।সন্ধ্যাবেলায় সূর্য অস্ত যাওয়ার পর যখন চারপাশ কালো হয়ে গেল তখন আমি আবার বাসায় ফিরে আসলাম।

IMG_20220108_173255.jpg

Location
Device:Poco X2

শনিবার মধ্যরাত

IMG_20220108_215700.jpg

Location
Device:Poco X2

বাসায় ফিরে এসে বড় আপু, দুলাভাই এবং তার পরিবারের সাথে অনেক আড্ডা এবং মজা করলাম।সবার সাথে বাসায় অনেকক্ষণ মজা করার পর রাত ১১ টার দিকে আমরা সবাই রাতের খাবার খেলাম।রাতের খাবার খাওয়ার পর আমরা সবাই মিলে রাত ১২ টার দিকে সমুদ্রের পাড়ে রাতের দৃশ্য উপভোগ করতে আসলাম।রাতের বেলায় সমুদ্রপাড়ের ভয়ঙ্কর গর্জন শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে।তাই আমরা সবাই মিলে রাতের বেলায় সমুদ্রের ভয়ঙ্কর গর্জন শুনতে এবং আকাশে চাঁদ দেখার জন্য সমুদ্রের পাড়ে আসলাম।এছাড়া আরো দেখলাম অনেকে ফানুস উড়াচ্ছে।যা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।সমুদ্র পাড়ে অনেকক্ষণ আমরা সবাই হাঁটাহাঁটি করার পর রাত দুই টার দিকে আমরা সবাই বাসায় ফিরে আসলাম।এভাবে সমুদ্রের পাড়ে একটা সম্পন্ন দিন অতিবাহিত করলাম।

IMG_20220108_220623.jpg

Location
Device:Poco X2

তো ঐদিন অনেকক্ষণ সমুদ্রের পানিতে থাকার ফলে আমি আবারো প্রচন্ড জ্বর এবং ঠান্ডা হয়ে অসুস্থ হয়ে গেলাম।ওষুধ খাওয়ার ফলে এবং আপুর সেবা-যত্ন করার ফলে আমি খুব অল্পসময়ের মধ্যেই আবার সুস্থ হয়ে উঠলাম।


হঠাৎ করেই ঈদ উৎসবে আমি এত সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ করতে পারব এটি কল্পনাতেও কখনো ভাবিনি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে ভ্রমণকাহিনীর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।এই প্রতিযোগিতার ফলে আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার কক্সবাজার ভ্রমণ কাহিনীর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার সুযোগ পেলাম।তার জন্য আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। স্পেশালি শুভ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এরকম একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য। সকলেই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।


ক্যামেরারেডমি পোকো x2
ধরণ❝কক্সবাজার ভ্রমন❞ 🏖️🏝️
ক্যমেরা মডেলCanon EOS 250D
মেবাইলPoco X2
ক্যাপচার@mohamad786
অবস্থানকক্সবাজার, বাংলাদেশ

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

standard_Discord_Zip.gif

banner-abbVD.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই কক্সবাজার যাওয়ার ইচ্ছা আছে কিছু দিনের মধ্যেই। আপনার ভ্রমণকাহিনি পড়ে ও দেখে খুব ভালো লাগলো। কক্সবাজার যাওয়ার ইচ্ছা আরো প্রবল হলো। আপনি খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইলো।

আমার ভ্রমণ-কাহিনী আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আপনিতো দেখছি দারুন একটা জায়গায় ঘুরে ফেলেছেন। আমি তো আপনার পুরো পোস্ট দেখতে দেখতে অবস্থা খারাপ। এত বড় পোস্ট করেছেন তার সাথে এত দারুন দারুন ফটোগ্রাফি। আসলে কক্সবাজারের জায়গার এত সুন্দর জায়গা আর কোথাও হতে পারেন। কক্সবাজার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করা যায় বলার বাহিরে। এত সুন্দর ভ্রমণকাহিনী শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

পোস্টটা খুব বড় হয়ে গেছে।আসলে কক্সবাজার গিয়েছিলাম তো তাই ছবি অনেকগুলো উঠেছি।

উৎসবের ভ্রমণকাহিনীর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনি খুবই দর্শনীয় স্থানটিকে বেছে নিয়েছেন। কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার কারণে অনেকেই সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। আর আপনি তো আপনার আপুর ফোন পেয়ে তার বাসায় গিয়েছেন। এবং সেইসাথে কলাতলী বিচে গিয়ে গোসল করার সাথে সাথে অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করেছেন। আর সেই ফটোগ্রাফি গুলো আজ আপনার প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে কাজ করবে। খুবই ভালো লাগলো আপনার উৎসবের ভ্রমণকাহিনী পড়ে। আশা করি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সফল হবে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আমার ভ্রমণ-কাহিনী আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমন করেছেন। আমার কখনো যাওয়া হইনি কক্সবাজার। কিন্তু ইচ্ছা আছে যাওয়ার। কিন্ত একদিন অবশ্যই যাবো। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।

আপনি যেন খুব শীঘ্রই কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারেন সেই দোয়াই রইল।

বন্ধু তুমি একা একাই গেলে আমাকে নিয়ে গেলে না। কক্সবাজার যাওয়া আমার স্বপ্ন আসলে তোমার টাইটেল দেখে যেতে দেখলাম বেশ মজা করেছো এবং কক্সবাজার তো অনেক ভালো লাগার মতো জায়গা।তোমার ছবিগুলো দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে এবং সুন্দর সুন্দর দৃশ্য তুমি তো বেশ ভালো লাগলো। আশা করি খুব ভালো একটি পজিশনে থাকবে তুমি। শুভেচ্ছা রইল তোমার জন্য

এর পরের বার গেলে তোমাকে নিয়ে যাবোনি বন্ধু।

ঈদ-পরবর্তী আনন্দ-উৎসব খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। আপনার কক্সবাজার ভ্রমণ দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত খুব সুন্দর ভাবে অবলোপন করেছেন। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

আমার ভ্রমণ-কাহিনী আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আপনার ভ্রমণ কাহিনী টা বেশ দারুণ ছিলো ৷ অনেক মজার এবং দারুণ একটি জায়গায় ভ্রমণ করে এসেছেন ৷ এবং ফটোগ্রাফি গুলোও অসাধারণ হয়েছে ৷ আপনার জন্য শুভকামনা রইল

আমার ভ্রমণ-কাহিনী আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানায় উৎসবের ভ্রমণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার এই উৎসবের ভ্রমণ খুব সুন্দর হয়েছে। সমুদ্রপাড়ের অনুভূতি গুলো আসলে বলে প্রকাশ করার মতো না। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর হয়েছে এত সুন্দর ভাবে আপনি তা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তা আসলে বলার ভাষা রাখে না। খুব চমৎকার সময় কাটিয়েছেন তার বলার অপেক্ষাই নেই। এত সুন্দর সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি আপু। মাস্তি আর মাস্তি।

প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ভাইয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি অনেক সুন্দর সময় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে কাটিয়েছেন। প্রতিটি ছবির দুর্দান্ত ছিল ভাইয়া। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার ভ্রমণ কাহিনীর পোস্ট পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আপনি এভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যান।

আমার ভ্রমণ-কাহিনী আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো।আসলেই বৃহতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বাজারে ঈদ উপলক্ষে, তাহলে তো কোন কথাই নাই। বেশ মজা করেছেন মনে হচ্ছে। টিউব ভাড়া ৫০ টাকা করে,জ্বর নিয়ে ও অনেক মজা করেছেন।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

আমাদের দেশে সুন্দরতম জায়গা গুলোর মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম। কক্সবাজার আমারও অনেক ভালো লাগে আমি তিন বার গিয়েছি এখানে আবারো যেতে ইচ্ছা করে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার ভ্রমণ কাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

ওয়াও আপনি কক্সবাজার চলে গেছেন।চারপাশের পরিবেশ তো অনেক সুন্দর লাগছে। আমি পুরো পরিবার সহ গত বছর কক্সবাজার গিয়েছি কক্সবাজারের সৌন্দর্যের মত এত সুন্দর আমার চোখে আর কোথাও পড়িনি। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজা। এর সৌন্দর্য যে কতটা অসীম তা শুধু বাংলাদেশ পর্যন্ত নয় সারা বিশ্বের মাঝে খ্যাত।সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি ফটোগ্রাফি এত চমৎকার দেখাচ্ছে যে আমার একটি করছে আমি এখনই উড়ে চলে যাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।

আমাদের দেশের সুন্দর জায়গা গুলোর মধ্যে কক্সবাজার একটি। এখানে গেলে মন ভালো না হয়ে পারে না। মনে হচ্ছে আপনার ভালুক জ্বর। হঠাৎ করে আসে আবার হঠাৎ করেই চলে যায়। যাই হোক ঈদের পরে বোন দুলাভাইয়ের সঙ্গে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। শুভকামনা রইল

কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে সব ধরনের অসুখ পালিয়ে যায় 😅😅

কক্সবাজার ভ্রমণে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাথা তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য

আমার ভ্রমণ-কাহিনী আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

এত অসুস্থতা নিয়ে তারপরেও এত লম্বা সময় জার্নি করে গেলেন কিন্তু দেখে তো মনে হচ্ছে মজা ঠিকই করেছেন🤪।যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলা দুর্দান্ত ছিল🖤।আর শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য প্রতিযোগিতায়।

এত সুন্দর একটি জায়গায় যাওয়ার পরে কোনো অসুস্থতায় কিছুই মনে হয়না। মাস্তি আর মাস্তি। 🤘

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনেকদিন আগে গিয়েছিলাম। দারুন মুহুর্ত উপভোগ করেছিলাম খুব ভালো লাগে সমুদ্রের তীরে গেলে মনটা ভালো হয়ে যায় ।আপনার উপভোগ্য মুহূর্ত দারুন ছিল আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপনি খুবই সুন্দর একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। আসলে কক্সবাজার জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর। আপনি এখানে আপনার দুলা ভাই এবং বোনের সাথে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন তা কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই ভ্রমণ কাহিনীর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম অনেক দিন হলো। সমুদ্রের কাছে গেলে সকল ক্লান্তি, অবসাদ দূর হয়ে যায়। অনেক ফ্রেশ লাগে সেখানে।
কন্টেস্ট এ অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে আপনি ঈদ পরবর্তী সমুদ্র সৈকত এ ভ্রমণ এর কাহিনি টি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর ভ্রমণের ফটোগ্রফি দেখতে পেলাম। তবে এই গরমের সময়ে কক্সবাজার কখনো যাওয়া হয়নি। কারণ গরমে নাকি তেমন একটা মজা হয় না। তবে আপনাদের কে দেখতে পাচ্ছি খুব সুন্দর ভাবে মজা করে, তারপর ফিরে এসেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

বাহ ঠান্ডা থেকে সুস্থ হয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ এককথায় দারুণ। ভ্রমণের জন্য সমুদ্র বীচ এর চেয়ে আর ভালো কী হতে পারে। দারুণ উপভোগ করেছেন কক্সবাজার ভ্রমণটা। বিশেষ করে শনিবার সকালের প্রথম ছবিতে আকাশ এবং বালুচর যেন একই রুপ ধারণ করেছে। কিছু ছবি ক‍্যামেরার এবং কিছু ছবি আবার ফোন দিয়ে তোলা। সবমিলিয়ে অসাধারণ। হারিয়ে যাওয়ার মতো একটি জায়গা। অসাধারণ ছিল আপনার উৎসবের ভ্রমণটা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

কুয়াকাটা গিয়েছি কিন্তু কক্সবাজার যাওয়া হয়নি। উৎসব মূখর পরিবেশে সমুদ্রের পারে কিছু মূহুর্ত ভালই ছিল। সমুদ্র মানেই তো বিশালতা। আমার ছোট্ট অভিজ্ঞতায় যা পেয়েছি সেটি হল এই বিশালতার সামনে নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র মনে হয়েছিল। সত্যি খুবি সুন্দর একটি স্থানে আপনি ভ্রমন করেছেন। শুভেচ্ছা রইল।

সুন্দরের বর্ণনাকে সুন্দর দিয়েই বলতে হয় সুন্দর ভাষাই কইতে হয়, সুন্দর করে লিখতে হয়, হাতে সুন্দর করে দেখতেও হয়, তা না হলে সুন্দর এর বর্ণনা, কি করে জাগবে। আমি মন্তব্য থেকে পিছু হটে গেলাম। দোয়া করি বিচারকেরা আপনার পোষ্টের রায় দেউক।

প্রতিযোগিতার জন্য আপনি দারুন একটি পোস্ট করেছেন ভাই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার উপস্থাপনা টা ছিল খুব অসাধারণ। আপনার উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে প্রতিযোগিতায় কিছু একটা হবে না আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

প্রথমেই আমি আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই ভাইয়া। যদিও আপনি ঈদের দুদিন আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন তারপরও ঈদের দিনে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চলে গেলেন ঘটনাটা শুনে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আসলে সত্য কথা বলতে এমন সুযোগ বারবার আসেনা আর যখনই আসে আমাদের সেগুলো কে মিস করা ঠিক না। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন ভাইয়া।

বাংলাদেশের সব থেকে দৃশ্যমান জায়গা হলো কক্সবাজার বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এখানে ভ্রমনে আসে।তবে আফসোস দেশে থেকেও এখনো সেখানে ভ্রমন করতে পারি নাই।আপনার ভ্রমন টা দারুন ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। ঈদের সময় এমনিতেই অনেক আনন্দ হয় তার মধ্যে আপনি আবার কক্সবাজার গিয়ে মনে হচ্ছে এই আনন্দটা কে আরো বাড়িয়ে তুলেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। কক্সবাজারের মত এমন জায়গায় গেলে মন খারাপ থাকলেও মন ভালো হয়ে যায়। আমিও একবার সেখান থেকে ঘুরে এসেছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গার মধ্যে কক্সবাজার একটি। আমার কাছে সেখানে অনেক ভাল লাগে। সেখানকার কফি খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার মধ্য রাতের অন্ধকারের দৃশ্য অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।