আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে ভাগ্য খারাপ হলে অনেক সময় কিছুই করার থাকে না। আসলে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি,কিন্তু ভাগ্য সহায় না হলে আমরা সেই কাজে সফল হতে পারি না। আবার ভাগ্য যদি সহায় হয়,তাহলে আমরা ঠিকই সফল হতে পারি। তবে সফল হতে হলে অবশ্যই মন থেকে চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করতে হবে।সৃষ্টিকর্তা চাইলে অবশ্যই আমরা সফল হতে পারি। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক, আসলে ১৪/১৫ দিন আগে আমার এক দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি জেনে আসলেই খুব খারাপ লেগেছে।
আপনাদের সাথে এই ঘটনাটি শেয়ার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আপনারা যাতে এই ব্যাপারে সচেতন হোন। এটাকে আপনারা সচেতনতামূলক পোস্টও বলতে পারেন। যাইহোক আমার সেই দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের নাম হচ্ছে রাসেল। তো রাসেল ভাই আমার চেয়ে কয়েক বছরের সিনিয়র। উনি উনার পরিবার নিয়ে কানাডা তে থাকেন। উনার পরিবার বলতে উনি,উনার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েটার বয়স ৩ বছর এবং ছেলেটার বয়স ১.৫ বছর। তো রাসেল ভাই কানাডায় বিজনেস করেন। উনি ৭/৮ বছর ধরে কানাডায় বসবাস করছেন উনার পরিবার নিয়ে। তো উনি পরিবার নিয়ে গত মাসে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন বেশ কিছুদিনের জন্য। উনি যেহেতু কানাডায় বিজনেস করেন, তাই ১০/১২ দিন বাংলাদেশে থেকে,তারপর একাই কানাডা ব্যাক করেন এবং উনার পরিবার বাংলাদেশে প্রায় ৬ মাস থাকবে।
তারপর ৬ মাস পর উনি কানাডা থেকে এসে উনার পরিবার নিয়ে কানাডায় চলে যাবেন, এমন প্ল্যান করেছিলেন উনি এবং উনার পরিবার। তো রাসেল ভাই কানাডায় ব্যাক করার সপ্তাহ খানেক পর রাসেল ভাইয়ের ওয়াইফ, রাসেল ভাইয়ের বাসা থেকে দুই বাচ্চা সহ উনাদের বাসায় চলে যান ঢাকাতে। ভাবীর বাসা ঢাকা উত্তরা তে এবং ভাবীর বোনের বাসাও সেখানেই। তো ভাবী উনার দুই বাচ্চা সহ উনার বোনের বাসায় বেড়াতে যান ২/৩ দিনের জন্য। যেহেতু কানাডা থেকে অনেক দিন পর বাংলাদেশে ফিরেছে, তাই আত্মীয় স্বজনের বাসায় একটু বেড়াবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। যাইহোক একদিন সন্ধ্যার পর প্রাইভেট টিউটর ভাবীর বোনের ছেলেকে পড়িয়ে, দরজা খুলে বের হয়ে যায়। টিচার চলে যাওয়ার পর ভাবীর বোনের ছেলে দরজা না লাগিয়ে বাথরুমে চলে যায়।
এদিকে দরজা তো একেবারে খোলা। রাসেল ভাইয়ের ওয়াইফ এবং তার বোন ভিতরের রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। রাসেল ভাইয়ের মেয়ে দরজা খোলা পেয়ে, দরজা দিয়ে বের হয়ে সিঁড়ির রেলিং এর যে মাঝখানের অংশ,সেটা দিয়ে উঁকি দেওয়ার পর নিচে পড়ে যায়। ১৫ তলা থেকে একেবারে ৭ তলায় পড়ে যায়। আসলে বড় বড় এপার্টমেন্ট গুলোর সিঁড়ির রেলিং এর অংশটা অনেক বড় থাকে। তারপর রাসেল ভাইয়ের মেয়েকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সে বিগত ১৪/১৫ দিন ধরে আইসিইউ তে রয়েছে। দিনদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ডক্টররা বলছে ৯৩% বাঁচার সম্ভাবনা নেই। ছোট্ট বাচ্চাটা ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। রাসেল ভাই মেয়ের দুর্ঘটনার কথা শুনে,কানাডা থেকে আবারও বাংলাদেশে চলে এসেছে।
আপনারা সবাই এই ছোট্ট মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন। যাতে আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থ করে দেন। আসলে আল্লাহ তায়ালা চাইলে সব ই সম্ভব। এমনিতে রাসেল ভাইয়ের ওয়াইফ নিজের দুই ছেলে মেয়ের অনেক কেয়ার করে থাকে সবসময়। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আর কি। রাসেল ভাইয়ের ওয়াইফ তো খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে এবং শুধু কান্নাকাটি করে মেয়ের জন্য। আসলে রাসেল ভাই এবং তার পরিবারের এমন একটা বিপদ আসবে, সেটা তারা কল্পনাও করেনি। কানাডা থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে অনেক বড় একটি বিপদের সম্মুখীন হতে হলো তাদেরকে। যাইহোক যাদের বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে, তারা অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। কারণ কার কখন বিপদ চলে আসবে,সেটা বলা যায় না। সুতরাং প্রতিটি মুহূর্তে বাচ্চাদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২৪.১১.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্ট পড়ে বাবুর জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে ভাইয়া আমাদের একটু ভুলের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়।আসলে আমরা যতই সাবধানে থাকি না কেন বিপদ আসলে ঠেকানো মুশকিল। দোয়াকরি আল্লাহ যেন তারাতাড়ি রাসেল ভাইয়ের বাচ্চাকে সুস্থ করে তোলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাচ্চাটি আইসিইউ তে ভীষণ কষ্টে আছে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit