আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমার এক ফ্রেন্ড বাংলাদেশে ছুটিতে এসেছে। তো সেই ফ্রেন্ডের বাসা হচ্ছে নোয়াখালীতে। সেই ফ্রেন্ড আমার জন্য কিছু গিফট নিয়ে এসেছে এবং সেই গিফট পাওয়ার অনুভূতি আজকে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক আসার পর থেকেই সেই ফ্রেন্ড প্রচুর ব্যস্ত ছিলো। তাই দেখা করতে আসতে পারেনি। তারপর ৯/১০ দিন আগে, রাতের বেলা আমাকে ফোন করে বললো,পরের দিন আমাদের দিকে ঘুরতে আসবে। কিন্তু প্রথমে সে বনানী বিআরটিএ যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ব্যাপারে,তারপর আমার সাথে দেখা করবে। তাছাড়া ঢাকায় তার আরও কিছু প্রয়োজনীয় কাজ ছিলো, সেগুলো শেষ করতে করতে বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যাবে।
তাছাড়া এটাও বললো যে, সাথে তার ২ জন ফ্রেন্ডকে নিয়ে যাবে। তাই তারা সকাল ৬ টার দিকে নোয়াখালী থেকে রওনা দিয়েছিল। যাইহোক আমিও বাসায় বলে রেখেছিলাম, আমার ফ্রেন্ড সহ মোট ৩/৪ জন লোক বাসায় আসতে পারে। তো আমি বেলা ১২ টার দিকে সেই ফ্রেন্ডকে ফোন দিয়ে জানার চেষ্টা করলাম, তার কাজ কতটুকু সম্পন্ন হয়েছে। সেই ফ্রেন্ড বললো কাজ মোটামুটি শেষ হয়েছে এবং কাজ শেষ করে ফেরার পথে বনশ্রী হয়ে আসবে। কারণ বনশ্রীতে আমাদের খুব কাছের বড় ভাই আলতাফ ভাই থাকেন। তো আমার সেই ফ্রেন্ড রাজুকে বললাম আসার পথে আলতাফ ভাইকে সাথে নিয়ে আমার বাসায় আসার জন্য। তখন রাজু বললো তার সাথে যে ২ জন ফ্রেন্ড রয়েছে, তাদের নাকি বিকেলের মধ্যে নোয়াখালীতে চলে যেতে হবে, কারণ তাদের নাকি জরুরী কি কাজ রয়েছে।
তো রাজু বললো এইবার আমার বাসায় যাবে না,তবে কয়েক দিন পর সে আবার আসবে এবং তখন আমার বাসায় বেড়াবে। যাইহোক রাজু আমাকে বললো আলতাফ ভাইয়ের সাথে দেখা করার পর আমাকে ফোন দিবে এবং আমি যাতে মদনপুর স্ট্যান্ড এর আশেপাশেই থাকি। যাইহোক বনশ্রীতে গিয়ে আলতাফ ভাইয়ের সাথে দেখা করে, মদনপুর স্ট্যান্ডে আসতে আসতে দুপুর ৩ টা বেজে যায়। তো মদনপুরের স্ট্যান্ডের পাশেই তাদের গাড়ি পার্কিং করে, আমি তাদের ৩ জনকে টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলাম। আমাদের মদনপুরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের রেস্টুরেন্ট হচ্ছে টেস্ট অফ টাউন এবং এই রেস্টুরেন্টে আমি অনেক বার গিয়েছি ও আপনাদের সাথে সেগুলো নিয়ে পোস্টও শেয়ার করেছি।
যাইহোক রেস্টুরেন্টে ঢুকতে ঢুকতে রাজু এবং তার ২ জন ফ্রেন্ড বললো আলতাফ ভাইয়ের সাথে দেখা করার পর, একসাথে সবাই লাঞ্চ করেছে,তাই কিছুই খেতে পারবে না। তারপর রেস্টুরেন্টে ঢুকে আমি আমাদের ৪ জনের জন্য ম্যাংগো মিল্ক শেক অর্ডার করলাম এবং ওয়েটারকে বললাম খুব ভালোভাবে ম্যাংগো মিল্ক শেক বানিয়ে দিতে। আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করতে করতে, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাংগো মিল্ক শেক আমাদের টেবিলে দিয়ে গিয়েছিল। ম্যাংগো মিল্ক শেক খেতে সেদিন দারুণ লেগেছিল। কিন্তু ওদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে ছবি তুলতেই মনে ছিলো না। যাইহোক তারপর আমরা ঘন্টা খানেক সেখানে আড্ডা দেওয়ার পর,রাজু বললো তাদেরকে রওনা দিতে হবে। কারণ ইতিমধ্যেই তখন বিকেল ৪ টা বেজে গিয়েছিল। তাই তারা রওনা দিয়ে দিলো,কারণ তাদেরকে সন্ধ্যার আগে নোয়াখালী পৌঁছাতে হবে।
যাওয়ার আগে রাজু আমাকে গিফট দিয়ে গেলো। বাসায় আসার পর দেখলাম কিউ সি ওয়াই ব্র্যান্ডের একটি ইয়ারবাড এবং তিনটি আন্টিফোরামিন নিয়ে এসেছে। এই ইয়ারবাডটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি সবদিক দিয়ে সার্ভিস খুবই ভালো দিচ্ছে। এই কয়েকদিন ইউজ করে বেশ ভালোই লাগলো। তাছাড়া কোরিয়ান এই আন্টিফোরামিন খুবই ভালো। মাথা ব্যথার জন্য এটা খুবই কার্যকরী, তাছাড়া ব্যথা পেলে আন্টিফোরামিন দিয়ে মাসাজ করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আমার বাসার সবাই এটা খুব পছন্দ করে। আমি যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম, একসাথে অনেক গুলো আন্টিফোরামিন নিয়ে আসতাম সবার জন্য। যাইহোক বাসার সবাইকে রাজুর গিফট করা আন্টিফোরামিন দিয়েছি বলে,তারা সবাই বেশ খুশি হয়েছিল। সবমিলিয়ে গিফট পেয়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৮.৭.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
উপহার পেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর আপনার সেই বন্ধু যেহেতু দেশের বাইরে থাকেন তাই ছুটি আসার সময় আপনার জন্য উপহার নিয়ে এসেছেন জেনে খুশি হলাম। বিআরটিএ অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন এবং অন্যদিকে আপনার সাথেও দেখা হয়ে গেছে। উপহার গুলো দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই আপু উপহার পেতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
উপহার পেতে সত্যিই ভীষণ আনন্দ হয়। আর বিদেশী জিনিস পেলে তো কথাই নেই৷
কোরিয়ার ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্র গুলো কিন্তু দারুণ হয়৷
আমিও মাঝে মাঝে ভাবি কেউ যদি আমাকে অ্যামেরিকা থেকে একটা ম্যাকবুক এনে গিফট করত। 🤣🤣🤣
আমি রাশিয়ান একজনকে পটিয়েছি কিচেন ছুরির জন্য। ওনার নিজের ফ্যাক্টরি, নিজেই বানান৷ এবারে দেশে এলে আনবেন উনি। 😀😀
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ্! তাহলে আপনিও খুব শীঘ্রই উপহার পাচ্ছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র আসলেই খুব ভালো হয়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit